অপেক্ষা যু গে যুগে জড়বস্তু নিয়ে কম গল্প লেখা হয়নি। আবার এমন অনেক গল্পও রয়েছে যেগুলোতে জড়বস্তুর মতো তুচ্ছ জিনিস দ্বিতীয়টি নেই। আমার এই গল্পটিতে জড়বস্তুর ভূমিকা আছে, আবার নেই। গল্পটি শুরু হবে একটা বাসস্ট্যান্ড থেকে, বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বাসস্ট্যান্ডের বেঞ্চটা থেকে। সকাল ৮ঃ০০ টা বাজে, মজনু মিয়া বাসস্ট্যান্ডের বেঞ্চে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। আশেপাশে ব্যস্ত মানুষের আনাগোনা তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করছেনা। এতটুকু পড়েই অনেক পাঠক বুঝতে পারছেন মজনু মিয়া একজন গৃহহীন মানুষ। কিছুটা ঠিকই। তবে তার একটা ঘর আছে, একটা পরিবারও আছে। মূলত তাদের কারণেই বাড়িঘর ফেলে সে একটা ছাউনি দেয়া বাসস্ট্যান্ডে। পেশায় মজনু একজন রিকশাচালক। একটা জরাজীর্ণ, আধভাঙা রিকশার মালিক সে। তার শরীরের অবস্থাও তার রিক্সার মতো। নইলে এমন ব্যস্ত সময়ে যেখানে কোনো রিকশাওয়ালাকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা সেই সময় সে ঘুমাচ্ছে। মজনুর শরীরে অনেক রোগ বাসা বেঁধেছে ডাক্তার বলে দিয়েছে ভালো বিশ্রাম আর চিকিৎসা দরকার যাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। প্রায় সবসময়ই সে দুর্বল থাকে। তাই ঠিকমত রিকশা চালাতে পারে না। প্রায় সারাদিনই দিনই তাকে বাসস্ট্যান্ডে পাওয়...