Posts

Showing posts with the label সাদিয়া সুলতানা

সাদিয়া সুলতানার গল্প

Image
  বন্ধু বন্ধুই      ১.   এ তদিন পর স্কুল খুলবে! এ কথা ভাবলেই সাদমানের বুকের ঠিক মাঝখানে কেমন কেমন করছে। এক সপ্তাহ ধরে কত কী যে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। সাদমান কাউকে বলতেও পারছে না। আর কাকেই বা বলবে। অফিস থেকে ফিরে বাবা-মা তো ওর স্কুলড্রেস, জুতো, ব্যাগ, সুরক্ষা সামগ্রী ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ওর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না।

সাদিয়া সুলতানার গল্প

Image
কাঁটা মৌমিতা মাছ খেতে পছন্দ করে না। মাছের শরীরে কীভাবে যেন একটার পর একটা কাঁটা সাজানো থাকে। কিছু কিছু কাঁটা আবার ছুরির মতো ধারালো। মা মাছের কাঁটা বাছার সময়ই মৌমিতা আতংকে থাকে এই বুঝি মাছের কাঁটা মায়ের হাতে ফুটে গেল। মা কিন্তু দিব্যি ডান হাতের দুই আঙুল দিয়ে মাছের কাঁটা বেছে ফেলে। তারপর লেবু আর ডাল দিয়ে মাছ ভাত মাখিয়ে মৌমিতাকে খেতে দেয়। মৌমিতা নিজের হাতেই খেতে পারে। মা বলে ক্লাস টুতে পড়া মেয়ের নিজে হাতেই খাওয়া উচিৎ। তবে বাবা মাঝেমাঝে একটু বেশি বেশি বলে। বাবা বলে, মৌমিতার নাকি নিজের হাতে মাছের কাঁটা বেছে খাওয়া উচিৎ।

সাদিয়া সুলতানার গল্প

Image
ইচ্ছে বেলুন ফায়জা আধা ঘন্টা ধরে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। কান্না চেপে রাখতে রাখতে ওর ছোট বুকের ভেতরটা ব্যথা করছে। ফায়জার মন খুব খারাপ। মা আজ ফায়জাকে মেরেছে। ফায়জার পিঠে চড় দিয়েছে মা। অথচ মা সবসময় বলে, বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলা নিষেধ। সবসময় তাদের সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে হয়। অথচ মা নিজেই ওকে চড় দিয়েছে। যদিও মা খুব জোরে চড় দেয়নি। ফায়জা তাতে ব্যথাও পায়নি। তবু ফায়জার বুক ব্যথা করছে। বুঝতে পারছে ফায়জা ব্যথাটা পিঠে নয় বুকের ভেতরে লেগেছে। ঘটনাটা ঘটার পর থেকেই ফায়জার মা বালিশে মুখ গুঁজে আছে। কোথায় চড় খেয়ে ফায়জার কাঁদবার কথা তা না, মা’ই জোরে জোরে কাঁদছে। রাইসা চুপচাপ খাটে বসে টিভি দেখছে। যেন কিছু হয়নি। রাইসা ফায়জার তিন বছরের বড় কিন্তু রাইসার কর্মকা- দেখলে মনে হয় ও ত্রিশ বছরের বড়। বড় আপি হলে যে বড় ভাব করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কাজও করতে হয় তা রাইসা বোঝে না। এই যে মা যখন ফায়জাকে মারল তখন তো রাইসা এগিয়েই এলো না। উল্টো মিটিমিটি হাসল! যেন বেশ হয়েছে, মার খেয়েছে! আর ঠিক তখন শিলার মা এগিয়ে এসে ফায়জাকে কোলে তুলে না নিয়ে গেলে ফায়জার কান্না আর ঠেকানোই যেত না। শিলার মা ফায়জাদের বাসায় কাজ করে। শিলা ফায়জার সমান...