বেগম জাহান আরার গল্প

একজন রূপার কথা - তুই বড়ো বিপদে ফেলিস ঝুমকি। খুব বিরক্ত হয়ে বলেন মারিয়াম। - কি বিপদ মা ? - বুঝতে পারছিস না ? - কি বুঝবো ? বলবে তো ? - গা থেকে সোয়েটার খুলে রূপাকে দেয়ার কি দরকার ছিলো ? - ওর শীত লাগছিলো মা। - ওদের এতো শীত লাগে না। - কি যে বলো না মা ? শুধু আমাদেরই শীত লাগে ? আমার তো আরও সোয়েটার আছে , তাই না ? একটা দিলাম তো কি হলো ? - দেখলি না , তোর মামির মুখ কেমন হয়ে গেলো ? - দেখিনি তো! কেনো হলো ? - কেনো যে কিছুই বুঝিস না ? - আমার জিনিস কাউকে দিলে মামির ক্ষতি কি মা ? - এটা কি তোর নিজের বাড়ি ? যেমন খুশি তেমন চলবি। - বা রে , নিজের মামার বাড়ি কি পরের বাড়ি হলো ? - তুই সত্যিই অবুঝ। তোকে কিছু বলাই বৃথা। তবে কাজটা ঠিক করিসনি। একমাত্র মেয়েকে বেশি বকা ঝকা করতেও পারে না মারিয়াম। তাহলে মেয়ের বাবার গোস্বা উঠে যাবে। নিজের বাড়িতে ঝুমকি যা করে করুক। পরের বাড়িতেও তাই করতে হবে ? সাড়ে তিন বছর পর এসেছিলো ভাইয়ের বাড়িতে। মেয়ের জ্বালায় সেটাও হবে না আর মনে হয়। রূপাকে সোয়েটার দেয়াটা ঠিক নয় কেনো , সেটা কিছুতেই তেরো বছরের মেয়ে ঝুমকির মাথায় আসে না। কতো বয়স হবে মেয়েটার ? ...