Posts

Showing posts with the label সোফি পারোভি রেইন

সোফি পারোভি রেইনের ধারাবাহিক গল্প

Image
বন্দী সাতদিন -৫ ইউনা হাঁটতে হাঁটতে একটি দরজার সামনে দাঁড়াল। দরজাটি অন্য দরজা গুলো থেকে দূরে অবস্থিত। তার মধ্যে খোদাই করে লেখা রুম ২০১। রুমটি অন্য রুম গুলো থেকে ভিন্ন দেখে ইউনা ওই রুমটি একবার কী আছে দেখতে ঢুকল। এইদিকে জিমি গিয়ে পৌছালো কাফেতেরিয়াতে। সেখানে পৌছে সে ভাবতে লাগলো, মূল দরজা কোন দিকে হতে পারে। হুট করে তার মনে হল তার আগে যেখানেই যাক না কেন তার সব দরকারি জিনিসগুলো নিয়ে রাখা উচিত। সে ক্যাফেটেরিয়া থেকে ৩ টি আপেল ও ৩ বোতল পানি নিলো। আশেপাশের থেকে একটি ব্যাগ এ সব ভরে নিলো। ভরে সে আবারও হাঁটা শুরু করলো। তাকে বের হওয়ার দরজা খুঁজতে হবে। মিকাসা অনেকদূর এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম এর জন্য বসলো। বসে থাকতে থাকতে সে একটি জানালা লক্ষ করলো। সে পুরো বাসায় একটা জানালা ও দেখেনি। সম্ভবত তারা বাসাটিতে বাইরে না দেখতে পাওয়ার মত বানিয়েছে। একটি জানালা দিয়েছে বাতাস পাস করার জন্য। সে বাইরে তাকিয়ে আশেপাশে তার চেনা চেনা মনে হতে লাগলো। বাইরে ভালভাবে দেখার জন্য যেই সে জানালা খুলতে গেলে, চারিদিকে সাইরেন বাজতে শুরু করলো। আর কিছু না ভেবে মিকাসা দৌড়ানো শুরু করলো। পিছনে তাকিয়ে দেখল ডাক্তার লারি ও জো আর বব ১ দৌড়ে আসছে। ...

সোফি পারোভি রেইনের ধারাবাহিক গল্প

Image
বন্দী সাতদিন     দিন- ৪ পরের দিন মিকাসাদের ঘুম ভাঙে অনেক দেরী করে। ঘুম থেকে উঠে তারা সব কিছু ঝাপসা দেখে। তিন জনেরই মাথা ভারী ভারী লাগে। তারা মনে করতে পারে না কী হয়েছিল রাতে তাদের সাথে। তারা যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল ডঃ ল্যারি তাদের ম্যামোরি ইরেজ করে চলে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায় কাজ করতে ডঃ ল্যারির সুবিধা হয় তাই তিনি তাদের ঘুম পাড়িয়ে তারপর স্মৃতি মুছে দেয়ার কাজ করেন।

সোফি পারোভি রেইনের ধারাবাহিক গল্প

Image
বন্দী সাতদিন দিন-২ সকালে বব-২ নাস্তা দিয়ে গেল তাদের। নাস্তা ছিল দুইটা করে রুটি, আলু ভাজি আর ডিম। খাবার গুলো ছিল স্বাদহীন, পানসে। ওরা খাবার অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করে রেখে দিলো , খেতে পারল না। ধূসর রঙের দেয়াল গুলোর মাঝে কাঠ রঙের দরজা যা বাইরে থেকে আটকানো ছিল। ছাদের নিচে ছোট্ট ঘুলঘুলি দিয়ে দিনের আলো প্রবেশ করছিল ঘরের ভেতর। এছাড়া আর কোনো আলো নাই ঘরে। কোথাও কোনো শব্দ নাই। চড়ুইয়ের কিচিরমিচির আর কাকের কা কা শোনা যাচ্ছিল শুধু। মিকাসারা অনুমান করতে পারছিল না তারা ঠিক কোথায় আছে।

সোফি পারোভি রেইনের গল্প

Image
বন্দী সাতদিন পর্ব-২ জিমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলো। চারদিক ঝাপসা দেখাচ্ছে। দুই মিনিট পর তার চোখের দৃষ্টি পরিষ্কার হল। সে দেখল মিকাসা ইউনাকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করছে। মিকাসা যখন দেখল জিমি উঠে গেছে মিকাসা দৌড়ে জিমির কাছে গেল। মিকাসাঃ জিমি! তাড়াতাড়ি উঠে পরো। চারজন অপহরণকারী আমাদের অপহরণ করেছে। জিমি একথা শুনে ভয়ে কথা বলা ভুলে গেল। মিকাসা জিমিকে শান্ত করে বলল, “ জিমি, এখন ভয় পেলে চলবে না! চলো আগে ইউনাকে উঠাই। আমি সব বুঝিয়ে বলছি তারপর। আমাকে এখন সাহায্য করো"।

সোফি পারোভি রেইনের গল্প

Image
বন্দী সাতদিন   প্রথম খন্ড অনলাইন ক্লাসে ঢুকে ইউনা বুঝলো আজকে আর ক্লাস হবে না। গ্রীষ্মের ছুটি। ইউনা তাড়াতাড়ি মিকাসা ও জিমি কে কল করে গুহার কাছে আসতে বলল। গুহাটা তারা খুঁজে পেয়েছিল কিছুদিন আগে। সেদিন থেকে গুহাটা হয়ে যায় একদম তাদের। সেখানেই তাদের সময় কাটে। এই গোপন জায়গার কথা তারা তিনজন ছাড়া আর কেউ জানে না। গুহাটা তাদের বাসার থেকে দূরে, জঙ্গলের ভেতরে। গুহার পাশ দিয়ে গেছে ছোট একটা নদী,নদীর দুই পাশে অসংখ্য নুড়ি পাথর।

সোফি পারোভি রেইনের গল্প

Image
দু’টি বিড়ালের অভিযান—৪ (শেষ পর্ব)  জেলে তার বন্ধুকে বলল, “আজকে ঝুড়িটা কেমন ভারী ভারী লাগছে।“ তার বন্ধু বলল, “ আজ মনে হয় বেশি মাছ পেয়েছিস তুই। কথা না বলে তাড়াতাড়ি বাজারে চল! দেরী হয়ে গেলে সব মানুষ চলে যাবে।“ নীল-বাজার পৌছে যেই জেলে ঝুড়িটা খুললো অমনি দৌড় দিলো মিল্কি। জেলে চিৎকার করে উঠলো। সে ভেবেছে বিড়াল সব মাছ খেয়ে ফেলেছে। বাজারে বিড়ালের পেছনে সবাই ছোটাছুটি শুরু করলো। বাজারে লাগলো তুলকালাম কাণ্ড। মিল্কি ছুটতে ছুটতে এসে পৌঁছালো নীল-বাজার আবাসিক এলাকায়। হাঁটতে হাঁটতে মিল্কি তার হারানো মা’কে দেখতে পেলো। সে গিয়ে মা’কে জড়িয়ে ধরলো। মা বলল,” কী রে তুই! তুই এখানে কীভাবে এলি?” মিল্কি সব খুলে বললো প্রিয় মা’কে। মা মিল্কিকে বলল,” আমি তোদের রেখে পালিয়ে যাইনি কিন্তু! আমি বারান্দা দিয়ে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম। আমি আর বাসার উপরে উঠতে পারিনি। বাসার নিচে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম যাতে কেউ আমাকে দেখে। কিন্তু কেউ এলো না। তাই এখানে ঘুরে বেড়াই।“ মিল্কি বলল,” চলো মা বাসায় যাই। তুমি আমাকে বাসার সামনে নিয়ে চলো।“ মিল্কি আর তার মা বাসার নিচে বসে থাকে। কিছুক্ষণ পড়ে দেখে খালা বাসায় ঢুকছে। অমনি তারা মিয়াও মিয়াও করে ডাকতে থা...

সোফি পারোভি রেইনের ধারাবাহিক গল্প

Image
দু ’ টি বিড়ালের অভিযান-৩ মিল্কি আর কিছু করতে না পেরে পুকুর পাড়ে বসে পড়ে। সে চারদিক তাকাতে লাগলো। পানি দেখে তার ভয় লাগছিল। হঠাত সে পুকুরে আরেকটা বিড়াল দেখতে পেলো। ধবধবে শাদা। আসলে সেটা ছিল মিল্কির প্রতিবিম্ব। মিল্কি তাঁকে দেখে জিজ্ঞেস করে, “এই তুমি কে? তোমার নাম কী?” বিড়ালটি কোন উত্তর দিল না “এই তুমি কথা বলছ না কেন?” মিল্কি আবার জিজ্ঞেস করলো। এইবার মিল্কি বোকার মত তাকে ধরতে গেলো আর পড়ে গেলো পুকুরের পানিতে। সে অনেক চেষ্টা করলো সাঁতার কাটতে কিন্তু ডুবে গেলো গভীর পানিতে। ছটফট করতে করতে সে জ্ঞান হারাল। কিন্তু জ্ঞান হারানোর আগে সে বুঝতে পারলো কে যেন তাকে কামড়ে ধরেছে। সেই পুকুরে থাকতো এক বোয়াল মাছ। সে অনেকক্ষণ ধরে বিড়ালটাকে লক্ষ্য করছিল। বিড়ালটার পড়ে যাওয়া সে দেখেছে। সে বিড়ালটাকে অনেক কষ্ট করে পানি থেকে তুলে পুকুরের পাড়ে এনে রাখল। বোয়াল মাছটি পানি থেকে বিড়ালটিকে দেখতে লাগলো। সে অপেক্ষা করতে লাগলো বিড়ালটির জ্ঞান ফেরার জন্য। এদিকে লিলি খুঁজে পাচ্ছে না সিল্কি আর মিল্কিকে (আসলে যে জিনজার)। সে কেঁদে কেটে একাকার করে রেখেছে পুরো বাসা। বাসার সবাই তাদের কমতি অনুভব করছিল। দুষ্টু খালাও মন খারাপ করে কা...

ধারাবাহিক গল্প- সোফি পারোভি রেইন

Image
দু ’ টি বিড়ালের অভিযান- ২ সিল্কি খালার ভাবসাব দেখে বুঝে গেল এটা খালার কাজ। সে অনেক ভেবে চিন্তে বাসা থেকে বের হওয়ার প্ল্যান করলো। খালা যখন ময়লা ফেলতে বাইরে যায় তখন সেও আস্তে করে চলে যাবে। কিন্তু লিলি সবসময় তার কাছে থাকে। মিল্কিকে দেখতে না পেয়ে লিলিও খুব চিন্তিত। সেও সব জায়গায় খুঁজেছে কিন্তু মিল্কিকে খুঁজে পায়নি আর সেজন্য সিল্কিকে সবসময় কাছে কাছে রাখে। তাই সিল্কি ভাবল তাকে এমন করে বের হতে হবে যেন লিলি দেখতে না পায়। যেদিন লিলির ক্লাস থাকবে সেদিন তাকে বের হতে হবে।

ধারাবাহিক গল্প

Image
দু ’ টি বিড়ালের অভিযান-১ সোফি পারোভি রেইন সিল্কি আর মিল্কি দুই ভাইবোন। ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে তাদের আলাদা করে নিয়ে আসা হয়। বাসার ছোট মেয়ে লিলি বিড়াল খুব পছন্দ করে। তার জন্য সিল্কি আর মিল্কিকে বাসায় আনা হয়। সিল্কির গায়ের পশম ঝলমলে তাই লিলি তার নাম রাখল সিল্কি আর মিল্কির গায়ের পশম দুধের মত শাদা তাই তার নাম রাখল মিল্কি। সিল্কি আর মিল্কি তাদের নতুন মালিককে পছন্দ করলো না। অথচ লিলি ওদের অনেক আদর করে। কিন্তু সিল্কি আর মিল্কি মনে করে মানুষ মানেই বিপদ। তাছাড়া তাদেরকে মা’র কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছিল বলেও তাদের মন খারাপ থাকতো। তাই কিছুদিন পরেই তাদের মাকে আনা হল কিন্তু মা’টা কোন দিক দিয়ে পালিয়ে গেলো।  আবারও সিল্কি, মিল্কি একা হয়ে গেল।