পারভীন সুলতানার গল্প

শেওড়া গাছের লাল পেত্নী রোজ ভোরে ঘুম ভাঙ্গে আমার। ভোরের মিষ্টি বাতাস জানালা ডিঙ্গিয়ে চোখে-মুখে আদর বুলিয়ে বলে-ওঠো রুদ্র , আর কত ঘুমাবে! বাইরে কী চমৎকার দিন তোমার জন্য অপেক্ষা করছে! আর একটুকও দেরি না করে স্যান্ডেলে পা গলিয়ে বাথরুমে গিয়ে মুখ ধোয়ার সাথে সাথে ঘুমের আলস্যও ধুয়ে ফেলি। তারপর বাইরের বাতাসের সমুদ্রে ঝাঁপ দিই একটা! আমাদের বাসার সামনে রেল-লাইন , সাপের মতো একে-বেঁকে দূর দিগন্তে চলে গেছে। রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করি।ছন্দোময় তালে কাঠের স্লিপার ডিঙ্গাই। রেললাইনের দুই ধারে কত নাম না জানা ঝোঁপ-ঝাড় বেগুনি ফুল ভরা বিষ কলমি , আকন্দ ঝোঁপ। এগুলোর গায়ে আবার সই এর মতো জড়াজড়ি করে আছে স্বর্ণলতা। রেললাইনের ঢালে বড়আঁশ শেওড়া গাছে দুনিয়ার পাখি এসে বসে! কত আশা নিয়ে থাকি , শেওড়া গাছটায় যদি একটা ভূত দেখা যায়!