Posts

Showing posts with the label ডিসেম্বর ২০২১

ফারিহা শাহরিনের গল্প

Image
কেহেতু কেহেতু শব্দটা জিনিয়ার নিজের আবিষ্কার। স্কুল থেকে ফেরার পর সে তার আবিষ্কারের কাহিনি বলতে বলতে কানের পোকা বের করে ফেলেছে সবার। ক্লাস থ্রির একটা মেয়ে এত কথা বলতে পারে সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। ষান্মাসিক পরীক্ষায় খারাপ করার পর বন্ধুরা তাকে নিয়ে ক্লাসে হাসাহাসি করেছিল তারও শোধ নেয়া হয়ে গেছে আজ। ম্যাডাম বলেছে জিনিয়া এক বিশেষ রকমের জিনিয়াস। তাকে শব্দবিজ্ঞানী উপাধি দেয়া হয়েছে শিরিন ম্যাডামের পক্ষ থেকে।

মোহিত কামালের গল্প

Image
উপকারের প্রতিদান   একা একা ঘাস আর গাছের কচি কচি লতাপাতা খাচ্ছিল জেব্রা । জায়গাটা বেশ খোলামেলা। আশেপাশে ঘন জঙ্গল বলতে যা বোঝায় তা তো নয়-ই, বরং বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে হাঁটুসমান ঘাস আর ঘাস। এখানে বাঘ বা সিংহ আসে না বললেই চলে। তাই জেব্রা ছিল নিশ্চিন্তে, জাবর কাটায় মগ্ন । হঠাৎ ঘাসের ভেতর চলাচল করা কীটপতঙ্গ আর নাম না-জানা পাখিদের মধ্যে একটা শোরগোল শুনতে পেয়ে মাথা তুলে তাকাল ও।

শেখ আফনান রুহিনের গল্প

Image
 রুহিন আর তার বন্ধুরা     একদিন রুহিন দেখল একটা বিড়াল। রুহিন সেই বিড়ালটাকে আদর করলো। সেই বিড়ালটা আমার বন্ধু। আমি বিড়ালটাকে ঘরে নিয়ে গেলাম। তার পরের দিন আমি আর বিড়াল বাহিরে গেলাম। তারপর একটা কুকুর দেখলাম। আমি কুকুরটাকে বিস্কুট খাওয়ালাম। কুকুরটা আমার বন্ধু। পরশুদিন আমি আর বন্ধুরা নানাবাড়ি গেলাম। তারপর নানার সাথে ঘুরতে গেলাম। তারপর একটা ছাগল দেখলাম। ছাগলটাকে পাতা খাওয়ালাম। ছাগলটা আমার বন্ধু। সবাই মিলে হাঁটতে গেলাম। তারপর একটা ভেড়া দেখলাম। ভেড়াটাকে আমি আদর করলাম। ভেড়াটাও আমার বন্ধু। একদিন সবাই মিলে অস্ট্রেলিয়াতে গেলাম। তারপর একটা ক্যাঙ্গারু দেখলাম। ঘাস খাওয়ালাম। তারপর একটা হানি বেজার্স দেখলাম। খুব কষ্ট করে হানি বেজার্সের বন্ধু হলাম। মিশরে গেলাম। উট দেখলাম। ক্যাকটাস গাছ খাওয়ালাম। উটও আমার বন্ধু। আমরা সাতটা বন্ধু একসাথে থাকি। গল্প শেষ। [শেখ আফনান রুহিন। মডেল একাডেমি প্রথম শ্রেণি। বয়স ৭]

শেখ আনাহিতা মিতিনের আঁকা ছবি

Image
 ইচ্ছে রঙে আঁকি শেখ আনাহিতা মিতিন, দ্বিতীয় শ্রেণী, মডেল একাডেমি

অনিন্দিতা গোস্বামী'র ধারাবাহিক উপন্যাস

Image
অবাক পৃথিবী   (গতসংখ্যার পর) পর্ব - তিন   মলি রায় ওরফে চকলেট দিদা টুকটুক করে মঞ্চের পাশ দিয়ে হেঁটে নিজের জায়গায় ফিরছিলেন। খপ করে মলি দিদার দুহাত চেপে ধরলেন জ্যোতি জেঠু, বললেন চলে গেলে তো চলবে না,এখনো অনেক বাচ্চা বলছে ওদের অনেক প্রশ্ন আছে।যে কোনো বক্তৃতার শেষেই তো প্রশ্ন উত্তর পর্ব হয়,চলুন আমরা বরং দুজনেই গিয়ে মঞ্চে দাঁড়াই,যে যার মতো উত্তর দিই। প্রথমটায় খুব রাগ হচ্ছিল আপনার ওপর কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম নিজের দুর্বলতাটা স্বীকার করে নেবার মধ্যে একটা আনন্দ আছে।মলি দিদা বললেন কিন্তু ওরা তো এখন গান গাইছে।জ্যোতি জেঠু বললেন, তা গাক না,ওদের গান শেষ হলেই না হয় উঠব বরং।

অমিত মজুমদারের ছড়া

Image
মান ও কচু আস্ত একটা দিনের শেষে রোদ ফুরালো বলে একটু ঘুরেই ফেরার নামে আকাশ গেলো চলে। ভাবতে পারো দিচ্ছে ওরা কোন মুলুকে পারি ? মান যেখানে একটা প্রতীক সমস্যা হয় তারই। মানের লড়াই ঘুড়ির লেজেও বাঁধছে সামিয়ানা উড়েই আকাশ পারলে ছুঁতে আসল যাবে জানা। আকাশ আমার দস্যি বালক দু’পাশ থেকে শুরু এই দেখি রোদ এই তো মেঘে ডাকছে গুরুগুরু। বৃষ্টি নামলে উঠোন জুড়ে জল জমে যায় প্রচুর বিপদ ভীষণ বাড়তে থাকে মানের সঙ্গে কচুর কচুর মানেই লুকিয়ে থাকছে শিকড় সংস্কৃতির কে দেখেছে তাদের নজির ভীষণই সম্প্রীতির ? বলতে পারো জলের ওপর নৌকো যখন ভাসে ঠিক তখনই নদীর ঘাটে জোয়ার কেনো আসে ? মান চেয়েছো পাবেই সাথে কচুও পাবে ফ্রিতে মান ও কচু মানিকজোড়ে চাইছো একটা নিতে ? তুমি এবং তোমার ছায়া পৃথক করতে পারো ? সূর্য এলেই মাথার ওপর কাছে আসবে আরও। সবই মান ও কচুর খেলা মানতে চাওনা মোটে কপাল মন্দ থাকলে দেখবে কচুপোড়াই জোটে।

মানহার আঁকাআঁকি

Image
  ইচ্ছে  র ঙে  আঁকি  ১.  ২.  ৩.  ৪.  ৪.  ৫.

হৃষিতার আঁকাআঁকি

Image
  ইচ্ছে  র ঙে  আঁকি হেমন্ত বিকেল। ধানা কাটা হচ্ছে। ধান কেটে বোঝাই করে বাড়ির উঠোনে এনে মাড়াই করা হচ্ছে। নতুন চালের পিঠা তৈরী হচ্ছে। আবহমান গ্রাম বাংলার এই অপরূপ দৃশ্যটি তুলে এনেছে হৃষিতা সেন গুপ্তা।

সাহিরার আঁকাআঁকি

Image
    ইচ্ছে  র ঙে  আঁকি ১. ২.

সুমায়লার আঁকাআঁকি

Image
  ইচ্ছে  র ঙে  আঁকি ১. ২.

সৌম্যর আঁকাআঁকি

Image
  ইচ্ছে র ঙে আঁকি ১. ২. ৩. ৪. [আঁকিয়ে: সৌম্য দাশ, প্রথম শ্রেণী]

অদিতি ঘোষ দস্তিদারের গল্প:

Image
নীল সায়রের নীরব ব্যথা বাড়ি জুড়ে হই হই। দাদু দিদাকে পর্যন্ত মামা মামি নিয়ে এসেছেন সেই হাওড়ার আন্দুল থেকে টানা গাড়িতে। জামশেদপুর থেকে পিসি পিসেমশাই। বন্ধুরা আসবে সন্ধেবেলা। সুমনদের দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার বাড়ি এখন একেবারে সরগরম।  কাল সকালেই ট্রেন। হাওড়া থেকে মুম্বাই। ক্লাস শুরু হতে কয়েকদিন বাকি। মুম্বাইয়ে দিদির বাড়িতে দুদিন থেকে তারপর কলেজ ক্যাম্পাসে গোয়ায়। এই কলেজটা সুমন বেছেছে বলে ঠাকুমা খুব খুশি। খানিকটা নিশ্চিন্তও। আদরের নাতি এই প্রথম বাড়ি ছেড়ে কোন বিদেশ বিভুঁইতে গিয়ে পড়বে -তবু তো দিদিটা মোটামুটি কাছাকাছি থাকবে। সিনেমার পোকা ঠাকুমা জানেন, ‘বম্বে থেকে গোয়া’ বাসে করেই যাওয়া যায়!

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
  ইঞ্জেকশন ইঁদুর ছানার জ্বর থার্মোমিটার মুখের ভেতর জোরসে ঠেঁসে ধর। সাঁই সাঁই সাঁই থার্মোমিটার জ্বর মেপে দেয় শিঘ্রি-- একশো সাতাশ ডিগ্রি! ইঁদুর আপুর ছুটোছুটি কই পাবে ডাক্তার? টেম্পারেচার বেড়েই চলে ইঁদুর ছানাটার! জ্বরের ভীষণ তেজ ঘুড়ির মতো কাঁপতে থাকে ইঁদুর ছানার লেজ! বাবা ইঁদুর মোবাইল ফোনে ডাকলো এম্বুলেন্স পুত্রস্নেহে মা ইঁদুরটা হারিয়ে ফেলে সেন্স! বুক কাঁপানো ভয় ধরানো বাজিয়ে সাইরেন-- দ্রুত গতির এম্বুলেন্সটা চলে এসেছেন! হাসপাতালের ইমার্জেন্সি। ভীষণ রকম ভিড় ইঁদুর-বেড়াল-কুকুর পেসেন্ট। সকলে অস্থির! ডাক্তার দেয় ইঞ্জেকশন মস্ত বড় সুঁই! ইঁদুর কাঁদে উঁই উঁই উঁই উঁই... [অটোয়া ০৯ অক্টোবর ২০২১]  

আদনান সৈয়দের ছড়া

Image
মেছো ভূত আর গেছো ভূতের ছড়া (ছবি: চারুলতা সৈয়দ। বয়স ৭ বছর) বাড়িটা কি ভূতের বাড়ি লাগছে মনে ধন্ধ! ভেতরটা যে আবছা মতন বাইরে থেকে বন্ধ!! অমাবস্যা চাঁদনি রাতে ছায়াগুলো সব আসে ফিসির-ফাসির শব্দ করে নাকি গলায় কাশে!!

ফাহ্‌রিয়াল রহমানের কলাম

Image
  খালামণির নলেজ বক্স   ইনাইনার মনে আজ খুব আনন্দ । কতদিন পর আবার সব খালাতো ভাই বোনেরা একসাথে হয়েছে। করোনার কারণে এতদিন কেউ কারোর বাড়িতে যায়নি । গতকালই চিটাগাং থেকে খালামণি এসেছে সাথে এনেছে নানুর রান্না চিটাগাংয়ের বিখ্যাত কালাভুনা, মেজবানি মাংস আর চালের আটার রুটি। নানুর হাতের মজাদার রান্না খেতেই সবাই ওদের বাড়িতে এসেছে, সাথে আম্মু আর খালা মনিদের রান্না তো আছেই। আম্মুরা ব্যস্ত কিচেনে । ছোট খালা মনি ব্যস্ত তার বাহিনী নিয়ে। জ্যোতি, সিয়াম ,নাফি, ইনাইনা আর আইনান হলো ওর বাহিনী। এরই মাঝে এল পাশের ফ্ল্যাটের নোভা। ওর নামটা শুনে খালামণি সবাইকে প্রশ্ন করল " বলো তো নোভার আগে সুপার বসালে কি হয়? "   -" সুপারনোভা "   একযোগে সবার উত্তর ।   এবার বল এর অর্থ কী ?   এবার আর কেউ রা করে না । খালামণি এমনি এমনি প্রশ্ন করার মানুষ নয় সেটা ওরা ভালোমতো জানে ।   "সুপারনোভা হলো মৃত নক্ষত্র ।   কিন্তু আমাদের নোভা হলো জীবন্ত নক্ষত্র । যার নামের অর্থ মনোযোগী, আনন্দদায়ক ।"   "বাহ্ নোভার নাম টা তো দারুন বিজ্ঞানে অর্থ আছে এমনি ও অর্থ আছে । " আইনানের কথায় সবাই হো ...

নাহার তৃণার ফিচার

Image
আজব পার্সেল   "নানান রকম চিঠি আসে নানান রঙের খামে প্রাপক থাকে ডানদিকে তার প্রেরক থাকে বামে।" বাড়িতে এরকম নানা রঙ আর আকারের খামেভরা চিঠিপত্র আসতে দেখো হয়ত তোমরা। হয়ত বলছি কারণ এখন আর ডাকে চিঠিপত্র কেউ তেমন পাঠায় না। গ্রাম থেকে দাদা-দাদি, নানা-নানি কিংবা বিদেশে থাকা মামা-চাচা-ফুপি-খালামণিদের লোভনীয় স্ট্যাম্প বসানো চিঠি খুব একটা কী আসে এখন? উহু, আসে না। একথা হলপ করে বলতে পারি, আমাদের ছোটোবেলার মতো ডাকপিওনের ব্যাগে বয়ে এখন আর তোমাদের বাড়ি বাড়ি ওরকম নানান রকমের চিঠিপত্র খুব একটা আসে না। অফিসিয়াল কাজের, বিদ্যুৎ-টেলিফোনের বিল, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র ছাড়া প্রিয়জনদের চিঠি আজকাল আর তেমন আসে না। আসবে কেন বলো দেখি? যোগাযোগের এখন সাত সতেরোটা খোলা জানালা। সেসব জানালা গলে প্রতিদিন তোমরা প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগে থাকার সুযোগ পাচ্ছো। আমাদের সময় এতসব ব্যবস্হা তো ছিলই না। চিঠি ছিল যোগাযোগের একটা মাধ্যম। বিশেষ করে গ্রামের বা দূর দেশের আত্মীয়রা চিঠিতেই যোগাযোগ করতেন। টেলিফোনও তখন মোবাইল হয়ে হাতে হাতে ঘুরে বেড়ানো শুরু করেনি এখনকার মতো এতো জোরেশোরে। অনেকের কাছে চিঠিই ছিল যোগাযোগের ভরসা।   ভাবছো...