সোফি পারোভি রেইনের ধারাবাহিক গল্প
বন্দী সাতদিন
পরের দিন মিকাসাদের ঘুম ভাঙে অনেক দেরী করে। ঘুম থেকে উঠে তারা সব কিছু ঝাপসা দেখে। তিন জনেরই মাথা ভারী ভারী লাগে। তারা মনে করতে পারে না কী হয়েছিল রাতে তাদের সাথে। তারা যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল ডঃ ল্যারি তাদের ম্যামোরি ইরেজ করে চলে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায় কাজ করতে ডঃ ল্যারির সুবিধা হয় তাই তিনি তাদের ঘুম পাড়িয়ে তারপর স্মৃতি মুছে দেয়ার কাজ করেন।
সকালের নাস্তায় তাদের ডিম আর রুটি দেয়া হয়। পাশের বাথরুমে একে একে তিনজনে ফ্রেশ হয়ে আসে। বসে আগে ওরা আলোচনা করে নেয়, আজ কি করবে। ওরা তিনজন পেট পুরে নাস্তা করে নেয় কারণ আজ তাদের অভিযানে নামতে হবে। এই চারদিনে তারা মোটামুটি প্ল্যান করে ফেলেছে কীভাবে কি করবে। চারদিক চুপচাপ, কোন শব্দ আসছিল না।
বব-২ তাদের ঘরের বাইরে পাহারায় আছে, এটা জিমিরা জানতো। তাদের নাস্তা শেষ হয়ে গেলে সে প্লেট গুলো নিয়ে যাবে। এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছে মিকাসা, ইউনা এবং জিমি। বব-২ প্লেট গুলো নিতে বরাবর বারটায় ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। ঘড়ি টিকটিক করছে, তারা দম বন্ধ করে বসে আছে আক্রমনের জন্য। হৃৎপিণ্ডের ধুপ ধুপ শব্দ তারা নিজেরাই শুনতে পাচ্ছিল। ১১:৫৭...১১:৫৮...১১:৫৯...১২:০০! সবাই প্রস্তুত!
খুট করে একটা শব্দ হলে ওরা তিনজনেই লাফ দিয়ে উঠে। সতর্ক হয়ে থাকে তারা কারণ এখনই দরজা খুলবে। বব-২ দরজা খুলতেই ইউনা দৌড়ে গিয়ে তার হাত কামড়ে দিল। বব-২ হকচকিয়ে যায়। কি হচ্ছে বোঝার আগেই জিমি বব-২ এর উপরে উঠে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। মিকাসা ওড়না দিয়ে তার হাত বেঁধে ফেলে। দুই মিনিটে সবকিছু করে তারা সাথে সাথে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। যাওয়ার আগে রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় যেন সে বাইরে বেরুতে না পারে। বব-২ কথা বলতে পারে না তাই সে ‘আ আ আ’ করতে লাগলো। প্ল্যান অনুযায়ী তারা তিনজন পরস্পরের দিকে ইশারা দিয়ে তিন দিকে দৌড় দিল।
পুরো বাড়িতে কোথাও কোন শব্দ ছিল না। এতো বড় বাড়ি আর এতো গুলো রুম কেমন সব গোলকধাঁধার মত। তাদের প্ল্যান ছিল তিনজন তিনদিকে গিয়ে পুরো বাসা খুঁজে মেইন ডোর বের করবে। যে আগে খুঁজে পাবে সে দৌড়ে বাসার বাইরে গিয়ে আগে পুলিশকে ডেকে নিয়ে আসবে। ততক্ষণ সবাই নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার এবং মেইন ডোর খোঁজার চেষ্টা করবে।
তারা কী পারবে পরিকল্পনা মত কাজ করতে?
[চলবে...]
I’m so excited for the next part!
ReplyDelete