Posts

Showing posts with the label জুলাই ২০২১

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
ভূতের রাজার কাছে দরখাস্ত  ভূৎফর রহমান রিটন টক ঝাল না মিষ্টি প্রিয়? কী খেতে চায় ভূতরা? ভূতের প্রিয় ধুতুরা ফুল অর্থাৎ কী না ধুত্‌রা। ভূত খেতে চায় ঝাল-টকটক চটপটি আর ফুচকা? জবাব পেতে বইয়ের পাতায় দু'চোখ-ভুরু কুঁচকা। ভূত কখনো আইসক্রিম খায়? ঝালমুড়ি খায়? মিষ্টি? কোন মিষ্টি পছন্দ তার? অনেক বড় লিস্টি? সেই তালিকায় সন্দেশ নেই? বুন্দিয়া নেই? নিমকি? ভূত ছানাদের প্রিয় ছড়া হাট্টিমা টিম টিম কি? ভূতের প্রিয় লাল করলার কঠিন তেতো ভর্তা লাল করলার জ্যাম-জেলি খায় ভূতের বড় কর্তা।

মারজানা সাবিহা শুচির ভ্রমণ কাহিনী

Image
সিগিরিয়া রকঃ এক রোমাঞ্চকর পাথুরে যাত্রা ছোট বন্ধুরা, তোমরা কি সিগিরিয়া জায়গাটির নাম শুনেছ? শ্রীলংকার এই পাহাড়ি অঞ্চলে খুব উঁচু এক পাহাড়ের উপর রয়েছে অনেক কাল আগের এক দুর্গ কিংবা রাজার বাড়ি। সেই বিশাল পাহাড় যাকে কিনা একটিই পাথরখণ্ডের মত লাগে তার নাম সিগিরিয়া রক। সেখানে আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম ২০১৯ সালের এপ্রিলে, সেই বেড়ানোর গল্পটা আজ তোমাদের বলব। তার আগে বলি কী ভাবে এখানে দুর্গ আর রাজার বাড়ি গড়ে উঠলো। প্রায় দেড় হাজার বছর আগের কথা। রাজ্যের আসল উত্তরসূরি মগগালানাকে বঞ্চিত করে সিংহাসন দখল করে রাজা হলেন তারই ভাই কাশ্যপ, পরাজিত ভাই পালিয়ে গেলেন রাজ্য ছেড়ে। রাজা তো হলেন কাশ্যপ, মনে শান্তি নেই মোটে। এই বুঝি ভাই ফিরে এলো প্রতিশোধ নিতে, এই বুঝি সাধের প্রাণটা যায় যুদ্ধে! রাজা কাশ্যপ রাজধানী অনুরাধাপুরে থাকতে পারলেন না ভয়ে। চলে এলেন সিগিরিয়ায়, ৬৬০ফুট উঁচু সিগিরিয়া রকের উপরে গড়ে তুললেন রাজপ্রসাদ। এর আগে নানা সময়ে এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আশ্রম ছিল।

সাদিয়া সুলতানার গল্প

Image
কাঁটা মৌমিতা মাছ খেতে পছন্দ করে না। মাছের শরীরে কীভাবে যেন একটার পর একটা কাঁটা সাজানো থাকে। কিছু কিছু কাঁটা আবার ছুরির মতো ধারালো। মা মাছের কাঁটা বাছার সময়ই মৌমিতা আতংকে থাকে এই বুঝি মাছের কাঁটা মায়ের হাতে ফুটে গেল। মা কিন্তু দিব্যি ডান হাতের দুই আঙুল দিয়ে মাছের কাঁটা বেছে ফেলে। তারপর লেবু আর ডাল দিয়ে মাছ ভাত মাখিয়ে মৌমিতাকে খেতে দেয়। মৌমিতা নিজের হাতেই খেতে পারে। মা বলে ক্লাস টুতে পড়া মেয়ের নিজে হাতেই খাওয়া উচিৎ। তবে বাবা মাঝেমাঝে একটু বেশি বেশি বলে। বাবা বলে, মৌমিতার নাকি নিজের হাতে মাছের কাঁটা বেছে খাওয়া উচিৎ।

নিমরার আঁকাআঁকি

Image
রঙ তুলির জগত নদীর তীরে গ্রাম

ফাহ্‌রিয়াল রহমানের গল্প

Image
ছায়ার ছায়া গাড়িতে বসে ভিডিও গেমসে এতটাই ডুবে ছিলাম যে রেজাউল চাচু ঠিক কখন থেকে নক করছিল গাড়ির জানালায় টেরই পাইনি। হঠাৎ তাকাতেই দেখি আমার প্রিয় একটা লেস চিপসের প্যাকেট হাতে অস্থির হয়ে ইশারায় আমাকে ডাকছে। তাড়াতাড়ি করে জানালার গ্লাসটা নামাতেই প্যাকেটটা আমার হাতে দিল, ঘামে ভিজে একসার চাচুর হাতে থেকে প্যাকেটটাও কেমন ভেজা ভেজা। আমি বা আম্মু যখন গাড়িতে বসে থাকি বিশেষ করে আম্মু থাকলে তখন রেজাউল চাচু বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে।গাড়ি চালানো ছাড়া ভেতরে বসে থাকতে চায় না। আমরা এসিতে বসা আর ও কাঠফাটা রোদে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। আম্মু বা আমি কত বলি ভেতরে বসতে, তার এককথা গরীব মানুষ এসিতে বেশিক্ষণ বসে থাকলে অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে। বাসায় আমাকে আদর করে ডাকে ' বাবান', স্কুলে হাসিন আর রেজাউল চাচু মায়াভরা একটা নামে ডাকে সবসময়।

সোফি পারোভি রেইনের গল্প

Image
বন্দী সাতদিন পর্ব-২ জিমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলো। চারদিক ঝাপসা দেখাচ্ছে। দুই মিনিট পর তার চোখের দৃষ্টি পরিষ্কার হল। সে দেখল মিকাসা ইউনাকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করছে। মিকাসা যখন দেখল জিমি উঠে গেছে মিকাসা দৌড়ে জিমির কাছে গেল। মিকাসাঃ জিমি! তাড়াতাড়ি উঠে পরো। চারজন অপহরণকারী আমাদের অপহরণ করেছে। জিমি একথা শুনে ভয়ে কথা বলা ভুলে গেল। মিকাসা জিমিকে শান্ত করে বলল, “ জিমি, এখন ভয় পেলে চলবে না! চলো আগে ইউনাকে উঠাই। আমি সব বুঝিয়ে বলছি তারপর। আমাকে এখন সাহায্য করো"।