সোনিয়া রহমানের কবিতা

 SR (Sukumar Roy) এর “আবোল-তাবোল” থেকে

SR (Sonia Rahman) এর “যা-তা-বোল



  শ্যামাদাস! শুনছো নাকি! কিম্ভূত এক খবর এ!

রামগরুড়ের ছানারা সব পড়তে যাবে ইশকুলে!

করেছে জারি ‘একুশে আইনবোম্বাগড়ের রাজা-

বিজ্ঞান শিক্ষা ঠিক না হলে একুশ রকম সাজা ।

বুঝিয়ে বলার কাজ নিয়েছে প্যাঁচা আর প্যাঁচানি,

তাই না শুনে কুমড়োপটাশ দিল বিষম চ্যাঁচ্যানি ।

অবাক কাণ্ড? কী মুশকিল! তাহলে আর বলছি কি!

ছায়াবাজি শিক্ষা দেয়া আহ্লাদীদের কাজ নাকি?

দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম’ ও ‘শব্দ কল্প দ্রুম’ সূত্রে গেল প্যাঁচ লেগে,

ডানপিটে ওই ট্যাঁশগোরু তাই ছুট লাগাল ভীম বেগে ।

খুঁড়োর কল এ জং ধরেছে, এখন হবে কী উপায়?

গন্ধ বিচার না শেখালে বিজ্ঞানে আর কী শেখায়!

বড়বাবুর ‘গোঁফচুরি’র মামলা এবার রায় হবে;

সৎপাত্র এখন থেকে হাতগণনা ক্লাশ নেবে ।

কাতুকুতু বুড়োর ভয়ে শিখবে সবাই হুলোর গান,

গানের গুঁতো খেয়ে হবে কাঁদুনেরা পালোয়ান

হাসছো তুমি? ভাবছো নাকি বানিয়ে এসব গল্প বলা!

শুনে এসো, সাক্ষ্য দেবে ওই হুঁকোমুখো হ্যাংলা

হাসোনি তো? আচ্ছা বোসো, বুড়ির বাড়ি চেনো কি?

ঠিকানা জানো? ভালো রে ভালো, নোটবইতে লিখে নিই।

ইশকুলেতে বুড়ি এখন খিচুড়ি রাঁধা শেখাবে;

বাবুরাম সাপুড়ে তার সাপখেলাটা দেখাবে

ভয় পেও না! এসব তো বিজ্ঞানেরই শিক্ষা,

ন্যাড়া বেলতলায় যায় কবার?- গুণতে দেবে দীক্ষা।

কী বললে? তখন থেকে আবোল-তাবোল বকছি?

দেখাচ্ছি, রোসো! ফসকে গেল! কাল তোমাকে দেখছি!

 

 


Comments

Popular posts from this blog

ভিনদেশী রূপকথা

আতনিন বিন জহির

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা