Posts

Showing posts with the label মোহিত কামাল

মোহিত কামালের গল্প

Image
উপকারের প্রতিদান   একা একা ঘাস আর গাছের কচি কচি লতাপাতা খাচ্ছিল জেব্রা । জায়গাটা বেশ খোলামেলা। আশেপাশে ঘন জঙ্গল বলতে যা বোঝায় তা তো নয়-ই, বরং বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে হাঁটুসমান ঘাস আর ঘাস। এখানে বাঘ বা সিংহ আসে না বললেই চলে। তাই জেব্রা ছিল নিশ্চিন্তে, জাবর কাটায় মগ্ন । হঠাৎ ঘাসের ভেতর চলাচল করা কীটপতঙ্গ আর নাম না-জানা পাখিদের মধ্যে একটা শোরগোল শুনতে পেয়ে মাথা তুলে তাকাল ও।

মোহিত কামালের গল্প

Image
টুঙ্গিপাড়ার হিমালয় পুকুরপাড়ে আছে একটা আমগাছ। ঝাঁকড়া মাথার গাছটার একটা ডাল পুকুরের পানির ওপর ঝুঁকে আছে। ডালের সবুজ পাতারা চিকচিক করছে ভোরের কাঁচা সোনা রোদের পরশ পেয়ে। পাতার আলো প্রতিফলিত হচ্ছে পানিতে, ঝিকমিক করছে। পানিতে বয়ে যাওয়া চোখ ধাঁধানো দৃশ্যটা মনোযোগ দিয়ে দেখছে ডালে বসা একটা মাছরাঙা পাখি। আর পুকুরঘাটে বসে পাখির দিকে চেয়ে আছে এক কিশোর, খোকা। মাছরাঙাটার দেহের তুলনায় মাথা বড়ো। লম্বা, ধারালো, চোখা ঠোঁট, খাটো পা আর খাটো লেজ রয়েছে ওর। গায়ের রং উজ্জ্বল। পাখনায় আর মাথায় নীলের ওপর ফিরোজা রঙের বুটি, চোখের নিচ থেকে লাইনের মতো মেরুন-সাদা রঙের মেশানো টানটা সুন্দর। আর বুকের দিকটা সোনালি রঙের! সুন্দর পাখিটা প্রাণভরে দেখতে মোটেও ক্লান্তি লাগছে না। মাছরাঙার চোখের নিশানা পানিতে, আর খোকার নিশানা মাছরাঙার মনোযোগী চোখের দিকে। তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মনে পড়ে গেল দাদুর বলা-কথা। দাদুভাই বলেছিলেন, ‘তিন রকম মাছরাঙা আছে : গাঙ মাছরাঙা, পান মাছরাঙা আর গেছো মাছরাঙা। এটা গেছো নাকি পান মাছরাঙা, দেখে চিনতে পারল না খোকা। ধরে নিল গাছে বসা মাছরাঙাটা আসলে গেছো মাছরাঙা।