অনিন্দিতা গোস্বামীর ধারাবাহিক উপন্যাস

অবাক পৃথিবী


                     

 (গত সংখ্যার পর)

দুই

তিমধ্যেই পাড়ার কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়ের দল মঞ্চের ওপরে ব্যাটারির সাহায্যে ফিট করে ফেলেছে একটা মাইক এবং দুপাশে দুটো টিমটিমে আলো। দাদা দিদিদের এ হেনো ব্যবস্থায় রোরো এবং তার বন্ধুরা খুবই খুশি।ঘোষকের দায়িত্ব নিয়েছে শায়কদা।শায়কদা বলল,মৃত্যু যখন আমাদের আসন্ন,আমরা যখন মরবই তখন ভয় পাব কেন?জন্মিলে মরিতে হবে,অমর কে কোথা কবে?অন্য দাদারা পিছন থেকে আওয়াজ দিল,আগে।

 

শায়ক আবার বলল,হ্যাঁ আমরা বরং ভাগ্যবান সকলে একসঙ্গে মরতে পারছি এবং খুব ধীরে ধীরে জরা যন্ত্রনাহীন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে।তাই আসুন আমরা এই ক্ষণটিকে উপভোগ করি আর মৃত্যুকে জীবনের একটি অংশ বলে দেখিয়েছিলেন যে মহাকবি, আসুন তাকেই আমরা স্মরণ করি।এখন আমাদের সামনে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রথীনকাকু। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি একটি বিশেষ গান গাইবার জন্য।

রথীনবাবু গান ধরলেন, আমি ভয় করব না ভয় করব না, প্রথম দু লাইন গাইতে গলাটা একটু কেঁপে গেল, যেন কনফিডেন্স পাচ্ছেন না।কিন্তু যখন দেখলেন সকলেই তার সঙ্গে হাততালি দিয়ে গাইছেন তিনি তখন খুব জোরের সঙ্গে গাইতে আরম্ভ করলেন, 'দু'বেলা মরার আগে মরব না ভাই মরব না/ আমি ভয় করব না ভয় করব না।' গাইতে গাইতে অনেকে কাঁদতে লাগলো, কাঁদতে কাঁদতে অনেকে চোখও মুছতে লাগলো হাতের পাতা দিয়ে।

এরপর এগিয়ে এলেন গোবিন্দ নস্কর, কাঁপা কাঁপা গলায় মাইক হাতে নিয়ে আবৃত্তি করতে লাগলেন, 'চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য উচ্চ যেথা শির'..এরপর শায়ক ফের মাইক হাতে নিল,বলল,অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন, জানিনা ফুরাবে কবে এই পথ চলা।আমরা জানিনা এ কোন মহাবিষ্ময়,আমরা সঠিক অনেক কিছুই জানিনা যেমন জানিনা আমরা কিরকম ভাবে বেঁচে আছি?আমরা একটু একটু করে যে সাধের পৃথিবী তৈরি করেছি তা কতটা অনিশ্চিত, কতটা অদ্ভুত। আমরা যেটুকু জানি সেটুকুও হয়তো প্রাণপণ অস্বীকার করি গতির আনন্দে। আমাদের মধ্যে আজ উপস্থিত আছেন জ্যোতি জেঠু,অধ্যাপক জ্যোতিরিন্দ্র মল্লিক, আমরা বোধহয় অনেকেই জানিনা তিনি একটি কলেজে ভূগোল পড়ান।তাঁর কাছে আমরা জানতে চাইব এই চলন যদি চলতেই থাকে তবে কি হতে পারে?এই যে আমরা একটা গতি টের পাচ্ছি,যেন আমরা একটা খুব ধীর গতির যানবাহনে চড়ে আছি,এটা ঠিক কি কারণে হচ্ছে বলে মনে হয়?যেহেতু আমাদের সমস্ত সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তাই জ্যেঠুর বক্তৃতা আমাদের কিছুটা আলো দেখাতে পারবে বলে আমরা মনে করছি।আসুন জ্যেঠু, আমাদের কিছু বলুন।

জ্যোতিরিন্দ্র মৌলিক বলতে উঠলেন। সামান্য গলা খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে বললেন, আমাদের সমস্ত বোধের অতীত চলে গেছে এই মহাবিশ্ব। আমরা এতদিনের পড়াশোনা, গবেষণা সমস্ত কিছু কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে গেছে সব। আজকে তো আমার শেষের সে দিন উপস্থিত। আজ সকলের কাছে এ কথা স্বীকার করতে আমার দ্বিধা নেই যে এতদিন অধ্যাপনা করলেও আমি যে বিষয় নিয়ে পড়েছি তার অনেক কিছুই জানিনা।পড়েছি এবং পড়িয়েছি অনেকটাই ফাঁকি দিয়ে।আসলে আমাদের দেশে ভূগোল পড়া হয় ফিজিক্স না জেনে।তাই বহু ব্যাখ্যাই শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছে রয়ে যায় তথ্যনির্ভর। এই হয় আর ঐ হয়,কেন হয় তার সঠিক ব্যাখ্যা আমরা পাইনি আমাদের অধ্যাপকদের কাছে আবার আমরাও দিতে পারিনি আমাদের ছাত্রদের। তবু আজ যখন বাচ্চারা আমার কাছে কিছু জানতে চেয়েছে আমি যেটুকু জানি তা বলবার চেষ্টা করব।কিন্তু বাকি ব্যাখ্যাটুকু যদি পদার্থবিদ্যায় জ্ঞানী গতিসূত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞ কোনো মানুষ এখানে থেকে থাকেন তিনি যেন বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আরো সুস্পষ্ট ধারণা আমাদের কাছে তুলে ধরেন। মরবার আগে তবু সত্যিটুকু জেনে যেতে পারব এই বা কি কম আনন্দের।উসখুস করে উঠল রোরো,উফ মা জ্যেঠু তো আসল কথা বলছেই না! রোরোর মুখ চেপে ধরল অরণ্যা,চুপ করে শোন না,এখুনি বলবেন।

মাঠের কোণে উবু হয়ে বসে ছিল চর এলাকার কিছু লোক,তাদের একজন চেঁচিয়ে উঠল,আপনেরা আমাগো এট্টু ঘুমাইতে দেন না, সেই থেকে খাড়াইয়া খাড়াইয়া কি বকতিছেন।বকার আছে এমনি বকেন,মাইকডারে বন্ধ করেন।একে মশার কামড় তার উপর আপনাগো ওই ভ্যানর,ভ্যানর।আমরা তো হগগল বছরই বন্যার সময় মাঠে উইঠা আসি।তাঁবু খাটাইয়া থাহি।কই আপনাগো মত তো চেল্লাই না।

গোলমাল শুনে শায়কদা এবং তার দলবল ছুটে গেল ঐ চর এলাকার লোকজনদের থামাতে।রোরো চেঁচিয়ে উঠল, জ্যোতি জ্যেঠু তুমি বল আর্থকুয়েক টা কখন থামবে? আমরা কখন বাড়ি যাবো? রোরোর কথায় জ্যোতি মৌলিক রুদ্ধ কন্ঠে বলে উঠলেন, জানি না বাবা জানি না।আমি যেটুকু জানি সেটুকু বলছি বাবা। হয়ত সবকিছুর মূলেই আছে ঐ গতি। হয়ত ঐ গতির জন্যই পৃথিবী তার উপরিভাগের সমস্ত কিছুকে তার কেন্দ্রের দিকে টেনে রেখেছে।শিশু বয়স থেকে হয়ত ঠিক এইটুকুকেই আমরা মহাকর্ষ বলে জেনে এসেছি। মহাকর্ষীয় বল হয়তো একটা কেন্দ্রাভিগ ও বল ছাড়া আর কিছুই নয়। এই নিয়ে নিউটন আর আইন্সটাইনের মধ্যে বিরোধ আছে।কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা ঠিক যে অবস্থায় আছি তার মধ্যে এই তথ্যের কচকচানি শুনতে কারো ভালো লাগবে না।খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে আগে মনে করা হতো সূর্যের সঙ্গে কোন ধূমকেতুর সংঘর্ষের ফলে জলে ঢিল পড়লে জল যেমন ছিটকে ওঠে তেমনি কয়েক ফোঁটা বস্তুকণা ছিটকে গিয়ে তৈরি করেছিল গ্রহগুলি।কিন্তু সে তথ্য কবেই বাতিল হয়ে গিয়েছে। আধুনিক যুগে, এই তো সেদিন ১৯২৯ সালে এডুইন হাবল বললেন ছায়াপথ গুলি পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে,ফলে বিশ্ব পরিসর ক্রমশই স্ফীত হচ্ছে।ফ্রিডম্যান আরো ব্যাখ্যা করে বলেন এর কারণ হচ্ছে আজ থেকে ১৫০০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়েছিল এক প্রচন্ড কেন্দ্রীয় বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে। তখন মহাবিশ্বের আয়তন ছিল শূন্য, ঘনত্ব ছিল অসীম, সময় তখন শুরুই হয়নি। মহাবিশ্বের জন্মের তিন মিনিট দুই সেকেন্ড পরেই তাপমাত্রা কমতে কমতে নেমে আসে ১০০ কোটি ডিগ্রিতে যেখানে জন্মমুহূর্তে তাপমাত্রা ছিল ১০,০০০ কোটি ডিগ্রি কেলভিন।

রিংকি তানিয়াকে বলল,না তান্নু আর নেওয়া যাচ্ছে না।সো বোরিং, নে চল অন্তক্ষরী খেলি।রোরোও মাকে কনুয়ের ধাক্কা দিয়ে বলল,মা ঘুম পাচ্ছে। এ তো সবাই জানে মা।জ্যেঠু তো বিগব্যাং থিওরি বলছে। অনু বিরক্ত হয়ে বলল,আঃ শোন না,নিশ্চয়ই এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে ব্যাপারটার।জ্যোতিবাবু শুনেছি খুব জ্ঞানী মানুষ।

জ্যোতি মৌলিক বললেন, সেই তাপ বিকিরণের জন্যই এখনো পৃথিবী শীতল ও সংকুচিত হচ্ছে। পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন হলেও অভ্যন্তর ভাগ এখনো উত্তপ্ত। ফলে অনবরত তাপ বিকিরণ করে চলেছে। তাপ বিকিরণের ফলে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ সংকুচিত হওয়ায় শিলাস্তরের গঠন বিন্যাসের সামঞ্জস্য নষ্ট হয়ে যায় আর পুনরায় সামঞ্জস্য বিধানের প্রক্রিয়ার জন্য ভূত্বক কেঁপে ওঠে।

এইবার রণদীপদা বলল,কাকু এত কঠিন করে বললে কেউ কিছু বুঝতে পারছে না।সহজ করে বলুন। সবার বোঝার মতো করে বলুন। এখানে তো অনেক বাচ্চারা আছে,আবার অনেক এমন মানুষও আছেন যারা কখনো ভূগোল পড়েনই নি।

জ্যোতি মৌলিক বললেন কিন্তু সংক্ষেপে বলতে গেলে সেই ওপর ওপর বলা হয়ে যাবে,গোড়া থেকে বলা হবে না।

শায়কদা এক ঠ্যাঙে একটা লাফ মেরে বলল,ও কাকু অত বলে আর কাজ নেই,বইয়ের নামটা বলে দিন, সময় মতো পড়ে নিলেই হবে।এখানে ভীষণ মশার কামড়। জ্যোতি মৌলিক ভীষণ রেগে উঠে বললেন,সরি আমি এইভাবে পড়াতে পারব না।যদি কেউ সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার মতো থাকেন,আসুন না বুঝিয়ে বলুন।

টুকটুক টুকটুক করে মঞ্চে উঠে এলেন মলি দিদা।বললেন দশ বছর হয়ে গেলো আমি রিটায়ার করেছি।পড়িয়েছিও একটা বাচ্চাদের স্কুলে।তাই বেশি কিছু আমি জানিনা জ্যোতির মতো। তবে একটুখানি চেষ্টা করে দেখি তোমাদের কিছু বোঝাতে পারি কিনা। আমি জানি খুব সামান্য তাই আমার এই বক্তৃতা কিন্তু শুধুমাত্র ঐ পুচকি বাচ্চাগুলোর জন্যই। যাদের আমি রোজ বিকেলে চকোলেট খাওয়াই,যারা আমাকে চকোলেট দিদা বলে।জানতো বন্ধুরা ওই গলে যাওয়া ক্যাডবেরি চকোলেটের মতই একটা জিনিস আছে আমাদের এই মাটির নিচে।নিচে মানে কিন্তু একটুখানি নিচে নয় অনেক নিচে। কত নিচে জানো?১০০ কিলোমিটার থেকে ৩৫০ কিলোমিটার, কখনো কখনো ৭০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত। আর কি মজার ব্যাপার, সেই থকথকে ঘন বস্তুটার ওপরে কতগুলো টিনের পাতের মতো ভেসে আছে আমাদের এই দেশগুলো। আবার জানো,তোমাদের ঐ জ্যোতি জ্যেঠু বললেন না পৃথিবী এখনো তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হচ্ছে,তা ওপরটা যত ঠান্ডা হয়েছে,শক্ত হয়েছে,ভেতরটা তো ততটা হয়নি,সেখানে এখনো প্রচন্ড গরম। তাই সেই ক্যাডবেরির মতো বস্তুটা সেখানে টগবগ করে ফুটছে। ভাত ফোটে যখন দেখবে ভাতের দানাগুলো কেমন ওপর থেকে নিচ, নিচ থেকে ওপর করে ঘোরে।কেন বলত?ওটাকে বলে পরিচলন স্রোত বা কনভেকশনাল কারেন্ট। তা ঐ ঘন বস্তুটা ফুটছে বলে ওটার মধ্যেও ঐ কারেন্ট চলছে আর তা ঐ পাতগুলো কে ধাক্কা মারছে। পাতগুলো ও একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলেছেন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘুরছে তার ফলেও মহাদেশীয় ও মহাসামুদ্রিক পাতগুলো এগিয়ে যেতে পারে কিম্বা জোয়ার ভাঁটার জন্যও পাতগুলো গতিশীল হতে পারে।তবে বিজ্ঞানীরা কেউই এখনো একমত হতে পারেন নি। ভাব একবার আমরা একটা টগবগে ফুটন্ত জিনিসের ওপরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছি।সেটা আবার সবসুদ্ধ বনবন করে ঘুরছে।তাতেও আমাদের কত সাহস,দুমদাম বোমা ফাটাচ্ছি। মস্ত বড় বড় বাড়ি বানাচ্ছি।আরে আমরা যে এখনো পর্যন্ত বেঁচে আছি সেটাই আশ্চর্যের। কী জানি বাবা এই যে লোকে এত এটমবোম ফাটাচ্ছে , তার জন্যই পৃথিবীর ভেতরের অংশের তাপ বেড়ে গেল কিনা! আর তাপ বাড়লে তো আরো জোরে ফুটবে ঐ ঘন বস্তুটা। এবং আরো জোরে ঠেলা দেবে পাতগুলোকে।

কোটি কোটি বছর আগে তো আর মহাদেশ গুলো এখনকার জায়গায়ই ছিল না।ধাক্কা খেতে খেতে সব স্থান বদল করেছে। তা স্থান বদল আগে যখন ঘটেছে এখনো ঘটতে পারে।কিন্তু মুশকিল হলো তখন পৃথিবীতে মানুষ ছিল না এখন আছে।মানুষ আছে,সভ্যতা আছে। কিন্তু মহাদেশগুলো যদি ধাক্কা মারে মহাসাগরগুলো কে তবে জল ফুলে উঠে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের সাধের সভ্যতা। প্রবল ভূমিকম্পে ভেঙে পড়বে গাছপালা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট।ইতিমধ্যেই হয়তো দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে না তো কিছুই। এই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র উপায় ছিল চাঁদে চলে যাওয়া।হায় এতদিনে নীল আমস্ট্রং এর স্বপ্নটা যদি সত্যি করা যেত! 

চাঁদে যদি বসতি স্থাপন করা যেত একটা, তবে হয়তো আমরা না বাঁচলেও বেঁচে যেত আমাদের সভ্যতাটা। এইটুকু বলে চোখ মুছতে মুছতে মঞ্চ থেকে নেমে এলেন চকলেট দিদা। সারা মাঠ তখন নিঃশব্দে নাক টানছে।ক'এক মিনিট, তারপরেই সমবেত হাততালিতে ফেটে পড়ল চারপাশ। শায়কদা মাউথপিস ধরে চিৎকার করে বলল,আমরা ছিলাম,আমরা আছি,আমরা থাকব।উপায় একটা আমাদের কিছু বার করতেই হবে। কী করে তা আমরা জানি না।তবে আমি বিশ্বাস করি উপায় একটা কিছু বেরবেই।আমি একটা গান ধরছি।আমি অনুরোধ করবো সবাইকে আমার সঙ্গে গলা মিলাতে।শায়কদা গান ধরল,উই শ্যাল ওভার কাম,উই শ্যাল ওভার কাম,উই শ্যাল ওভার কাম সাম ডে।ওহো ডিপ ইন মাই হার্ট আই ডু বিলিভ,উই শ্যাল ওভার কাম সাম ডে। 

(চলবে)


 

 

Comments

Popular posts from this blog

ভিনদেশী রূপকথা

আতনিন বিন জহির

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা