Posts

Showing posts with the label লুৎফর রহমান রিটন

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
  য়্যারোপ্লেনে লেখা ছড়া বাঁশ ঝাড়ে কী থাকে রে?-- বাঁশ বাঁশ বাঁশ! ঝিঁঝিঁ ডাক শুনতে কি-- পাস পাস পাস? পুকুরে সাঁতার কাটে-- হাঁস হাঁস হাঁস! ডাবের ভেতরে মজা--শাস শাস শাস! কাশবনে শাদা শাদা-- কাশ কাশ কাশ! বৎসরে থাকে বারো-- মাস মাস মাস! ভুল পথে কেনো তুই-- যাস যাস যাস! ইশকুলে কানমলা-- খাস খাস খাস! কাতুকুতু লাগে বুঝি?-- হাস হাস হাস! সেল, মানে মূল্যটা-- হ্রাস হ্রাস হ্রাস! ভেবে দ্যাখ করতে কি-- চাস চাস চাস? বড় হয়ে কাটবি কি-- ঘাস ঘাস ঘাস? একশোতে তেত্রিশ?-- পাশ পাশ পাশ! তুই ফেল? চড় খাবি-- ঠাস ঠাস ঠাস! ০৮ জুন ২০২২ আকাশ পথ, হিউস্টন টু টরন্টো এলটিচ্যুড ৩১,৫০০ফিট লোকাল টাইম সকাল ০৯টা ১০মিনিট

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
সুকুমার ও আমি যে পেয়েছে শৈশবে সুকুমার রায়কে তার মজা আজীবন, তাকে আর পায় কে! লাল মলাটের বই মাঝে অই ম্যাঁও-টা বেড়ালটা কতো প্রিয়! আমি তার ন্যাওটা! শৈশবে কৈশোরে ফ্যান্টাসী বেশুমার শৈশব রাঙালেন জাদুকর সুকুমার। পায়ে পায়ে ছায়া হয়ে পিছু নেয় ফূর্তি গড়েছেন অপরূপ অদ্ভুত মূর্তি! ঘাটে ঘাটে ঘটে কতো কাণ্ড ও কীর্তি সুকুমার ছাড়া কেউ শৈশবে ফিরতি?

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
  ইঞ্জেকশন ইঁদুর ছানার জ্বর থার্মোমিটার মুখের ভেতর জোরসে ঠেঁসে ধর। সাঁই সাঁই সাঁই থার্মোমিটার জ্বর মেপে দেয় শিঘ্রি-- একশো সাতাশ ডিগ্রি! ইঁদুর আপুর ছুটোছুটি কই পাবে ডাক্তার? টেম্পারেচার বেড়েই চলে ইঁদুর ছানাটার! জ্বরের ভীষণ তেজ ঘুড়ির মতো কাঁপতে থাকে ইঁদুর ছানার লেজ! বাবা ইঁদুর মোবাইল ফোনে ডাকলো এম্বুলেন্স পুত্রস্নেহে মা ইঁদুরটা হারিয়ে ফেলে সেন্স! বুক কাঁপানো ভয় ধরানো বাজিয়ে সাইরেন-- দ্রুত গতির এম্বুলেন্সটা চলে এসেছেন! হাসপাতালের ইমার্জেন্সি। ভীষণ রকম ভিড় ইঁদুর-বেড়াল-কুকুর পেসেন্ট। সকলে অস্থির! ডাক্তার দেয় ইঞ্জেকশন মস্ত বড় সুঁই! ইঁদুর কাঁদে উঁই উঁই উঁই উঁই... [অটোয়া ০৯ অক্টোবর ২০২১]  

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
ভূতের রাজার কাছে দরখাস্ত  ভূৎফর রহমান রিটন টক ঝাল না মিষ্টি প্রিয়? কী খেতে চায় ভূতরা? ভূতের প্রিয় ধুতুরা ফুল অর্থাৎ কী না ধুত্‌রা। ভূত খেতে চায় ঝাল-টকটক চটপটি আর ফুচকা? জবাব পেতে বইয়ের পাতায় দু'চোখ-ভুরু কুঁচকা। ভূত কখনো আইসক্রিম খায়? ঝালমুড়ি খায়? মিষ্টি? কোন মিষ্টি পছন্দ তার? অনেক বড় লিস্টি? সেই তালিকায় সন্দেশ নেই? বুন্দিয়া নেই? নিমকি? ভূত ছানাদের প্রিয় ছড়া হাট্টিমা টিম টিম কি? ভূতের প্রিয় লাল করলার কঠিন তেতো ভর্তা লাল করলার জ্যাম-জেলি খায় ভূতের বড় কর্তা।

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
একটি 'শাদা-কালো' ছড়া সাবরিনাদের দুইটা বেড়াল একটা কালো একটা শাদা, নরম নরম সিল্কি পশম একটা দিদি একটা দাদা। সারাক্ষণই মিয়াও মিয়াও সাবরিনাদের কোলটি ঘেঁষে, সাবরিনারাও করতে থাকে কচলা কচলি, ভালোবেসে। দুইটা বেড়াল খুব আদুরে খুব পছন্দ খাদ্যি-খাবার, যেটাই পাবে লাফিয়ে খাবে চাকুম চুকুম করবে সাবাড়।

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
হারাধনের দশটি ছেলে হারাধনের দশটি ছেলে হারিয়ে গেছে ভাই হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি কোথায় খুঁজে পাই? দশটি ছেলেই দেশের প্রেমিক দেশেরই গান গায় স্বাধীনতার জন্যে জীবন বিলিয়ে দিতে চায়। অত্যাচারী শাসকগুলোর মসনদে দেয় হানা হারাধনের দশটি ছেলের নাম সকলের জানা। ইংরেজদের দুঃশাসনের তখন গ্রহণকাল দুইশো বছর নিপীড়নের,রক্তে ভেজা,লাল। একটি ছেলে বললো বিদায় দে মা ঘুরে আসি ফাঁসির দড়ি গলায় পরেও মুখে অটুট হাসি। সোনালি অক্ষরে লেখা সেই ছেলেটার নাম দুঃসাহসী মরণজয়ী দীপ্র ক্ষুদিরাম।

লুৎফর রহমান রিটন - ছবির গল্প

Image
নদীর আঁকা ছবি - 'বৃষ্টি'     ছোট্টবেলায় আঁকার হাতটা খুবই চমৎকার ছিলো নদীর। প্রচুর ছবি আঁকতে চাইতো। ওকে রঙ-তুলি আর কাগজ কিনে দেয়া হতো। নদী আঁকতো। ওর ছবি আঁকার মুড যখনই আসতো তখনই আঁকতে বসতো সে। এর সঙ্গে সকাল বিকেল কিংবা ছুটির দিনের কোনো সম্পর্ক ছিলো না। সপ্তাহে দু'দিন ওকে ওর মা নিয়ে যেতো শিশু একাডেমিতে, গান আর ছবি আঁকার ক্লাশে। সারাদিন আমি বাইরে বাইরে থাকতাম। নানান ধরণের কাজ আমাকে করতে হতো সংসারের খর্চাপাতি সংগ্রহের জন্যে। সেই কারণে সেই সকালে বেরিয়ে ফিরতে ফিরতে রাত। ফিরে এসে দেখতাম ডায়নিং টেবিলের ওপর নদী ওর আঁকা নতুন ছবিটা রেখে দিয়েছে, আমাকে দেখাবে বলে। ছবির ওপরে দু'তিনটে পেপারওয়েট, যাতে বাতাসে উড়ে না যায় ছবিটা। খুব আগ্রহ নিয়ে জেগে থাকতো সে। নতুন ছবিটা দেখে বাবাই কি বলে সেটা শোনার জন্যে। সারাদিন নানান হ্যাপা আর ধকল শেষে ক্লান্ত-শ্রান্ত-ধ্বস্ত আমি বাড়ি ফিরে নদীর আঁকা দুর্দান্ত ছবিটা দেখে মুহূর্তেই চাঙ্গা হয়ে উঠতাম। শাদা কার্টিজ পেপারটায় অনিন্দ্যসুন্দর বর্ণিল কিছু মুহূর্তকে ধরে রাখতো নদী। ওর আঁকা ছবিগুলো বরাবরই ছিলো উজ্জ্বল বর্ণাঢ্য। ২. 'এড সাম স্পাইস টু ইয়োর লাইফ'-...