Posts

Showing posts with the label কবিতা

দিলারা মেজবাহ এর কবিতা

Image
  উঠান বাড়ি আমরা থাকি পুকুর পাড়ে  লালবাড়িটির পাশে। বকুলগুলো পড়ছে ঝরে সবুজ মাঠের ঘাসে আমরা থাকি টিনের ঘরে বৃষ্টি টাপুরটুপুর।  টিয়া নাচে চালতা গাছে ঘুঘু ডাকা দুপুর।  রাতের বেলা জোনাক জ্বলে তারাবাতির খেলা  শাপলা জলায় লাল সাদা ফুল বায়োস্কোপের বেলা। সকালবেলায় পড়াশোনা, সন্ধ্যাবেলা পড়ি। পড়াশোনা খেলাধুলা সবই আমরা করি শীতের সকাল ভাপা পুলি আমরা যখন খাই, ডালার মধ্যে বিশ তিরিশটি এক পলকে নাই!  ইলিশ ভাপা ডাল খিচুড়ি  গরমাগরম ভাই  আমাদের এ উঠান বাড়ি দওয়াত দিতে চাই।  আসবে কিনা জানি নাতো ডাকছি বারংবার।  উঠান ভরা চাঁদের আলো না দেখেলেই হার।  পুকুর পাড়ে ঝোপা ঝোপা ভাঁটফুলেরও মেলা হাঁসগুলো সব সাঁতার কাটে দেখে কাটে বেলা। বুনোফুলের বাহার কত,ফোটে ঝোপে একা কী তার শোভা! বাসবে ভালো পেলে তোমার দেখা।। 

বাদশা আলমের কবিতা : একটি স্বপ্নের মৃত্যু

Image
  একটি স্বপ্নের মৃত্যু   শোন , আগামীদিনের বাংলাদেশের কাণ্ডারি আজ তোমাদের একটি স্বপ্নের মৃত্যুর কথা বলি। যে স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছিল ১৫ আগস্ট , ১৯৭৫ তোমরা ভাবছো গল্প বলছি - কার গল্প ?     হ্যাঁ , আমি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কথা বলছি। হ্যাঁ , আমি শেখ রাসেলের কথা বলছি। বয়স ছিল তার মাত্র ১০ বছর , রেখেছে পা ১১ তে ছোট্ট সোনা রাসেল বাবু কাটতো দিন দুষ্টুমিতে।   বাবাকে সে কাছে পেত না বেশি কারনটা কী জানো তোমরা ? করছে লড়াই দেশের স্বাধীনতার জন্য বাবা তার আনবে ছিনিয়ে বিজয়।   তাই তো বাবার ব্যস্ত সময় কাটছে যে দিন জেলখানায় ছোট্ট সোনা রাসেল বাবু ডাকছে বাবা নিজের মাকে।   বাবা তাকে বাসতো ভালো অনেক বেশি মা , ভাই - বোনের ছিল নয়নের মনি। বাসায় ফিরে   বাবা শেখ রাসেল ডাকতো দৌড়ে এসে কোলে সে বাবার উঠতো ।   মাঝে মাঝেই বলতো , বাবা কোথায় যাও ? বঙ্গবন্ধু বলতো হেসে তোমার হাসি কিনতে। সবাই মিলে আজ এই করেছি পণ দেশটাকে ...

অঞ্জলী দে নন্দীর কবিতা

Image
ফুটবল ফুটবল - আমার পায়ে। জার্সি - আমার গায়ে। আমার ফিটের বুটস ছুটে চলে; এগোয় মাঠে, লাগিয়ে নিয়ে ফুটবলে, আমার ডান-বুট। শর্ট মারি। ছুটি। হেড দিই। গোল দিয়ে জিতে, কাপ নিই। খাই ফ্রেস ফ্রুট।

সোনিয়া রহমানের কবিতা

Image
  SR  (Sukumar Roy)  এর “ আবোল-তাবোল ” থেকে SR  (Sonia Rahman)  এর “ যা-তা-বোল ”   ও শ্যামাদাস! শুনছো নাকি! কিম্ভূত এক খবর এ! রামগরুড়ের ছানা রা সব পড়তে যাবে ইশকুলে! করেছে জারি ‘ একুশে আইন ’ বোম্বাগড়ের রাজা - বিজ্ঞান শিক্ষা ঠিক না হলে একুশ রকম সাজা ।

লুনা রাহনুমার কবিতা

Image
  জল   টলমল   মেঘ   বৃষ্টি     জল কলকল - বাবার কোলে চড়বে বলে না ঘুমিয়ে জাগছে খুকি বাবা কখন বাড়ি আসবে , বল ?

পারভীন সুলতানার তিনটি কবিতা

হিম হিম শীত শীতের মলিন আকাশ রঙটা ধুসর বা কাশ মেঘে থাকে মেখে   হুহু হিমেল বাতাস ঠাণ্ডা কী যে মাতাস শীত বুড়িকে হেঁকে।

কবিতা - জুয়াইরাহ বিনতে জুলফিকার

Image
  খেয়াল হঠাৎ এলো করোনা সবার মনে ভাবনা কী জানি কী হয় সবার মনে ভয়। মাঝামাঝি সময় করোনার কেউ পাত্তা দেয় না আর কেউ পরে না মাস্ক ধোয় না কেউ হাত। ভাবে করোনায় করেছে  তারা বাজিমাত এসব দেখে করোনা হাসে মানুষ নিজের খেয়ালেই ভাসে। ......................................... (সপ্তম শ্রেণি, বয়স-১৩)

কবিতা - মারজানা সাবিহা শুচি

ষোলোই ডিসেম্বর   ছোট্টসোনা আজকে শোনো খুব প্রিয় সে কাহিনী, বিজয়-সূর্য আনলো জিতে বীর মুক্তি-বাহিনী। কাহিনীটা একাত্তরের ডিসেম্বরের ষোলো, তবে তোমায় জানতে হবে তার আগে কী হলো।

কবিতা - আহসানুল হক

অসীম সাহস  সেদিন  ওরা যুদ্ধে গেল স্বপ্ন নিয়ে বুকে  ওড়াবে যে বিজয় নিশান স্বাধীন দেশে সুখে  বুকের ভেতর তেজ ছিল খুব  কে ওদেরকে রুখে  ?  বিজয় পেলাম, পতাকাও পেলাম স্বদেশ ভূমি  যাদের ত্যাগে পেলাম এসব শ্রদ্ধায় তাদের চুমি!  যায়নি তো বাদ কিশোর -যুবা এই যে যেমন 'রুমী' অযুত বোনের আব্রু গেছে  যায়নি তো বাদ সুমি!

কবিতা - খালেদ হামিদী

মাস্ক   ফিরোজা , আসমানি , নানা সার্জিক্যাল মাস্কে ঢাকা মুখে ঈভ টিজিঙের বুলি অব্যাহত। তবুও বিকট গোঁফের বীজাণু থেকে কতোটুকু রক্ষাই বা মেলে জীবিকা সকাশে ছোটা অনাগ্রহী আমার চলনে ? জানে কি বখাটে যুবা অণুজীব চারদিকে ছড়াতে সক্ষম এমনকি কিছু আবৃত মুখের ভাষা , দূরে ? দস্যু কিংবা প্রতারক নয় শুধু , মুখোশে কারুরই লুকানো যায় না মুখ বলেই কি উদোম আননে কোভিড বিস্তারে দক্ষ এরই মধ্যে অনেকেই খুব! পোশাক শিল্পের মেয়ে , তাই মোর সুতি আচ্ছাদনে ঠোঁট প্রসাধনবিহীন , ওরা কেউ দেখে না নাকফুলও। তাই কি লেখে না কেউ আমাদের জন্যে মুখবন্ধ ? জানার আগেই শুনি চকিত আলাপে: কারা যেন পরিয়েছে নানা দেশে শল্য চিকিৎসকের মুখোশ ভাস্কর্যের মেরিলিন মনরো , মার্টিন লুথার কিং , নিপুণ নগ্নিকা , ষাঁড় , জিসাস ও গৌতম বুদ্ধকে!   (০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০,  চট্টগ্রাম)    

কবিতা

Image
  শিশুর প্রশ্ন নার্গিস আফরোজ বানু বাবা, বাবা! আমার পাশে একটু খানি বসবে? আমার আছে প্রশ্ন কিছু, সত্যি করে বলবে? বলো বলো সে সব কথা জানতে আমি চাই যা,  আমার আছে অনেক পুতুল তোমার কেন নাই তা? হাঁটি না তো, ছুটি আমি; তুমি কেন ছোটো না? যখন তখন কাঁদি আমি তুমি কেন কাঁদোনা? হাসছো কেন! না না, আমি মোটেও পাক্কু বুড়ি না, লাঠি হাতে কোমর বেঁকে কখনো তো চলিনা। আমায় বলো পড়ো পড়ো, তুমি কেন পড়োনা? আমি কেন ছোট্ট এত, তোমার মত বড় না?  ছোট্ট বলেই সকাল সকাল ঘুমটা আমার যায় না, জেগেই দেখি নেই যে তুমি , কান্না কি মোর পায়না !

কবিতা

Image
দুরন্ত বন্ধু আরিশা নাসমিয়া আরিশা, অনিরুদ্ধ আর অলক্ত, আমরা খুব দুরন্ত। এখান থেকে ওখানে ঝাঁপ দিয়ে পড়ি খিলখিল করে হেসে খাই গড়াগড়ি। মাঠে নেমে লাফ দেই ঝপ ব্যথা পেয়ে কচ্ছপের মতো হাঁটি থপথপ। ভাইয়া বলে আমরা তিনজন  তিন তিনটি শয়তান। শুনে আমরা খুব মজা পাই  ভাইয়াকে বলি খুব মজা পাচ্ছি ভাই। ভুলবো না কখনো এই বন্ধুদের কথা ভুলব না কখনো এই ছেলেবেলার কথা। ---------------------------- [আরিশা নাসমিয়া, চতুর্থ শ্রেণী, ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়]

কবিতা

Image
অমি এবং কাকের ছড়া মারজানা সাবিহা শুচি   ঘরের পাশে কদম গাছে ডাকছিল এক কাক , “ দূর্ ‌ রো পাজি ” - অমির দাদু দিলেন রেগে হাঁক । কাণ্ড দেখো ! কাকটা কিনা জানলাতে দেয় উঁকি , “ রে বেয়াদব ” - বলেন দাদু , “ পড়বি নাকি ঢুকি ! ” কাকটা তখন কা - কা করে নাড়তে থাকে ডানা , দেখলো অমি , কাকের পিছে একখানা তার ছানা । ওরে ওরে ছোট্ট ছানা , কাঁদছে বুঝি ক্ষুধাতে ! দৌড়ে গেল অমি তাদের সেই কথাটাই শুধাতে । ভড়কে গিয়ে ঝাপটে পাখা উড়েই গেল দুইজনা , হায় হায় ইশ্ ‌ কাকের বাবু লজেন্সটা যে নিলোই না !