Posts

Showing posts with the label নাহার তৃণা

বাদুর কেন রাতেই শুধু ওড়ে

Image
ভাষান্তর: নাহার তৃণা বনের ইঁদুর আর বাদুরের মধ্যে ভারি বন্ধুত্ব। যখনই সুযোগ পায় দুই বন্ধু গপ্পো করতে বসে। রোজ ওরা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করে। এত বন্ধুত্ব থাকার পরও বাদুর মনে মনে ইঁদুরকে হিংসে করতো। ইঁদুর মাটিতে কেমন দিব্যি ছুটে বেড়ায়। সে বেচারী সেটা পারে না। বাদুরটা কিন্তু এটা ভেবে দেখেনি, সে পাখি না হয়েও পাখির মতো উড়তে পারে ইঁদুর সেটা পারে না। আর ওসব নিয়ে ইঁদুরটার কোনো দুঃখও নেই। বাদুরকে সে সত্যিই বন্ধুর মতো ভালোবাসে। বন্ধুকে কেউ হিংসে করে নাকি!

নাহার তৃণার গল্প : তিব্বতের স্বর্পরানী

Image
তিব্বতের সর্পরাণী এই গল্প অনেক অনেক বছর আগের। গল্পের জন্ম তিব্বত নামের ছোট্ট এক দেশে। ইতিহাস বই পড়ে তোমরা অনেকেই নিশ্চয়ই জেনেছো, তিব্বত দেশটা কোথায়? অতি পুরনো সভ্যতার ধারক ভারত আর চীন, এই দুটি দেশের মধ্যবর্তী স্হানে তিব্বত নামের দেশ বা তিব্বতি সভ্যতার বিকাশ ঘটে। তিব্বতের পূর্বদিকের পাহাড়গুলো তিব্বত আর চীনের মধ্যে সীমান্ত হিসেবে অবস্হিত। অন্যদিকে পৃথিবী বিখ্যাত উঁচু পাহাড় হিমালয় ভারত ও নেপালের রাজ্যগুলো থেকে তিব্বতকে আলাদা করে রেখেছে। পাহাড় ঘেরা দুর্গম তিব্বত এলাকায় চাইলেই হুটহাট কারো পক্ষে ঢুকে পড়া সম্ভব ছিল না। প্রাকৃতিক আর রাজনৈতিক নানা বাধা নিধেষ ছিল। আর কে না জানে যত বেশি বাধা, তত বেশি তাকে ডিঙানোর নেশায় মানুষ মরিয়া হয়। বৌদ্ধধর্মের যাবতীয় জ্ঞান সঞ্চয়ের আশায় অনেক বৌদ্ধপণ্ডিত দুর্গম পথের যন্ত্রণা সহ্য করে তিব্বতে গিয়েছিলেন। গোটা ভারত জুড়ে যখন বৃটিশদের রাজত্ব চলেছে তখন বৃটিশরাও গোপনে অনেককেই তিব্বতে পাঠায় সেই রাজ্যের সভ্যতা, বৌদ্ধধর্ম, ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য। আমাদের এই গল্প, তারও অনেক আগের। যে সময়কার গল্প, সে সময় তিব্বতের এক দুর্গম এলাকায় মিষ্টি পানির এক ঝরনা ছিল। ভাবছো,...

নাহার তৃণার ফিচার

Image
আজব পার্সেল   "নানান রকম চিঠি আসে নানান রঙের খামে প্রাপক থাকে ডানদিকে তার প্রেরক থাকে বামে।" বাড়িতে এরকম নানা রঙ আর আকারের খামেভরা চিঠিপত্র আসতে দেখো হয়ত তোমরা। হয়ত বলছি কারণ এখন আর ডাকে চিঠিপত্র কেউ তেমন পাঠায় না। গ্রাম থেকে দাদা-দাদি, নানা-নানি কিংবা বিদেশে থাকা মামা-চাচা-ফুপি-খালামণিদের লোভনীয় স্ট্যাম্প বসানো চিঠি খুব একটা কী আসে এখন? উহু, আসে না। একথা হলপ করে বলতে পারি, আমাদের ছোটোবেলার মতো ডাকপিওনের ব্যাগে বয়ে এখন আর তোমাদের বাড়ি বাড়ি ওরকম নানান রকমের চিঠিপত্র খুব একটা আসে না। অফিসিয়াল কাজের, বিদ্যুৎ-টেলিফোনের বিল, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র ছাড়া প্রিয়জনদের চিঠি আজকাল আর তেমন আসে না। আসবে কেন বলো দেখি? যোগাযোগের এখন সাত সতেরোটা খোলা জানালা। সেসব জানালা গলে প্রতিদিন তোমরা প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগে থাকার সুযোগ পাচ্ছো। আমাদের সময় এতসব ব্যবস্হা তো ছিলই না। চিঠি ছিল যোগাযোগের একটা মাধ্যম। বিশেষ করে গ্রামের বা দূর দেশের আত্মীয়রা চিঠিতেই যোগাযোগ করতেন। টেলিফোনও তখন মোবাইল হয়ে হাতে হাতে ঘুরে বেড়ানো শুরু করেনি এখনকার মতো এতো জোরেশোরে। অনেকের কাছে চিঠিই ছিল যোগাযোগের ভরসা।   ভাবছো...

নাহার তৃণা'র গল্প

Image
যদি এমন হতো পিঙ্কির মনটা বেজায় খারাপ। প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে আসার পর ওদের চুপচাপ বাড়িটা ওর হইহই’য়ে যেমনটা ভরে ওঠে; আজ সেরকমটা হয় নি। কারণ পিঙ্কির মনটা আজ সত্যিই খারাপ। স্কুল ফেরতা পিঙ্কিকে অনেকবার জিগগেস করেও মামণি উত্তর পান নি কেন ওর মন ভার।

নাহার তৃণার অনুবাদ গল্প

Image
  ক্ষীণদৃষ্টির ভাইদের গল্প চীন দেশের এক শহরের শেষপ্রান্তে বিশাল এক বাড়িতে তিন ভাই বাস করতো। তিন ভাইয়েরই চোখের অবস্হা ছিল বেশ খারাপ। চোখে ভালো দেখতে না পারার কারণে তিন ভাই তাদের ব্যবসাবাণ্যিজ্য ঠিকঠাক দেখাশোনা করতে পারতো না। বিশেষ করে টাকা-পয়সা লেনদেনের ব্যাপারটা। ছোট ভাই ঠিক করলো, এখন থেকে সে টাকা পয়সার দিকটা দেখাশোনা করবে।  তাই সে বাকি ভাইদের উদ্দেশ্য করে বললো , "বড় ভাইয়ের চোখের অবস্হা খুবই খারাপ, তিনি ঠিক মতো দেখতেই পান না কত টাকা তাকে দেয়া হলো বা তিনি অন্যকে কত দিলেন।" সে আরো বললো। "লোকেরা তার দুর্বলতার সুযোগ নেবার চেষ্টা করে।" "তুমি যেন কত্ত দেখো চোখে," টিটকারি দিয়ে ওঠলো মেজো ভাই। "যদি এমনটা চিন্তা করে থাকো, যে আমাদের টাকাপয়সার লেনদেন তারই করা উচিত যে আমাদের মধ্যে চোখে সবচে' ভালো দেখে, তাহলে আমি বলবো সেটি হচ্ছি আমি। টাকা পয়সা লেন-দেনের দায়িত্বটা আমাকেই দেয়া উচিত। কারণ তোমাদের দু'জনের চেয়ে আমার চোখের দৃষ্টি অনেক ভালো।"

নাহার তৃণার গল্প

Image
 অ্যান্ড্রোক্লস আর সিংহের গল্প বহু বহু বছর আগে অর্থ-বিত্তে বলবান মানুষেরা গরীব মানুষদের সাথে ভারী নিষ্ঠুর ব্যবহার করতো। এখন যেমন পশুর হাটে গরু-ছাগল ইত্যাদি বেচা-কেনা হতে দেখো না তোমরা? ঠিক সেভাবে গরীবদের ধরে এনে বিক্রি করা হতো। তাদের দিয়ে অমানুষিক ভাবে খাটিয়ে নেওয়া হতো। এইসব অসহায় মানুষেরা ‘দাস’ হিসেবে পরিচিত ছিল। সেরকম এক দাসের গল্প এটা। সে বহুকাল আগের কথা। রোমে অ্যান্ড্রোক্লস নামে এক গরিব দাস থাকতো। তার মালিক ছিল খুবই নিষ্ঠুর প্রকৃতির। অ্যান্ড্রোক্লসের সাথে মালিকটা একটুও সদয় ব্যবহার করতো না। সে কারণে একদিন সুযোগ বুঝে অ্যান্ড্রোক্লস মালিকের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেল। পালিয়ে এসে বেশ কিছু দিন অ্যান্ড্রোক্লস হিংস্র পশুতে ভরপুর গভীর এক জঙ্গলে লুকিয়ে থাকলো। কিন্তু সেই বনে খাবার খুঁজে পাওয়া ছিল ভীষণ কষ্টের। দিনের পর দিন, ঠিক মতো খেতে না পেয়ে অ্যান্ড্রোক্লস দুর্বল আর অসুস্হ হয়ে পড়লো। তার মনে ভয় ধরলো এভাবে না খেয়ে থাকতে থাকতে ফট্ করে একদিন সে মরে যাবে। মরণটা যেন শান্তিতেই হয় সেরকম একটা চিন্তাতেই অ্যান্ড্রোক্লস কাছেই এক গুহায় কোনো রকমে হাঁচড়েপাচড়ে ঢুকে নেতিয়ে পড়লো। শরীর দুর্বল থাকায় অল্প স...

গল্প

Image
রঙিন ঘুড়ির দিন নাহার তৃণা   - এই আপু কী করো ওখানে বসে ? - চুপ ! আয় , খাবি একটু ? - চট করে আশপাশটা দেখে নেয় তপু । তারপর একান ওকান হাসি দিয়ে  আপুর সামনে হাত পেতে দাঁড়ায় । ভর দুপুরে বাড়ির সবার ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে দু ' ভাইবোনে প্রাণপনে চুকুম চাকাম সহকারে দাদির আচারের বোয়াম যতদূর পারা যায় সাবাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।   বড়রা ভারী নিয়মের যাঁতাকলে রাখে । এটা করা যাবে না , ওটা খাওয়া যাবে না যখন তখন । হতচ্ছাড়া এতসব নিয়মের চোখ রাঙানি কাঁহাতক সহ্য করা যায় ?  বেশি বেশি চকোলেট খাওয়া চলবে না দাঁতে কিলবিল লেগে যাবে । যখন তখন আচার খেলে পেট কামড়াবে । যখনই তানিয়া দাদির কাছে বায়না করে দাদি ঠিক এমনটাই বলেন । কই ? পেট তো কামড়ায়নি এখন পর্যন্ত ! - কিরে তোর পেট কামড়াচ্ছে ?