নিলয় নন্দীর গল্প

মাটির রং লাল দড়ি ধরে টানতে টানতে শামলীকে নিয়ে উঠোনে ঢোকে কাশেম। প্যন্টের দড়িটা ওর কখন ছিঁড়ে গেছে , কোমড়ের কাছটা টেনে এনে বাঁধতে থাকে একসাথে। এই ফাঁকে শামলী উঠোনের কোনে ফুলগাছে মুখ গুঁজে দিতে যায়। কাশেম দৌড়ে গিয়ে গলার দড়িটা হাতে তুলে নিয়ে ফিরে আসে , ‘ ও খালা , শামলীকে এই ধারে বেন্ধে দেব না গোয়ালে তুলে রাখব ? ’ ‘ গোয়ালেই তুলে রাখ বাবা , ’ শানুর আম্মা বারান্দা থেকে হাত নাড়ে। ‘ আবু ভাই পরে ধোঁয়া দিয়ে আসবে যা। ’ গরুটাকে গোয়ালে বেঁধে রেখে কাশেম ফিরে আসে। শানুর আম্মা আঁচলে বেঁধে রাখা পয়সাটা কাশেমের হাতে দিয়ে ভ্রু কুঁচকান , ‘ বেশি মিষ্টি খেলে পেটে কী হয় , জানিস ? ’ কাশেম উঠোনের কোনে গিয়ে মাথা চুলকায় , হাত নেড়ে ডাকে শানুকে। শানু গিয়ে মাথায় দেয় এক চাপড় , ‘ যা বাড়ি যা ! ’ ‘ শানু ভাই , ’ কাশেমের গলার স্বর খাদে নেমে আসে , ‘ মফিজ কাকার দোকেনে কী দেখেছি জানো ? ’ ‘ কী ? ’ ‘ পতাকা ! বাংলা দেশের পতাকা ! ’