Posts

Showing posts with the label মারজানা সাবিহা শুচি

মারজানা সাবিহা শুচির গল্প

Image
   মায়ের কাছে খা বার টেবিলের চারপাশে ঘুরে ঘুরে তিন চাকার সাইকেলটা চালাচ্ছে তিয়া। সামনের কাল্পনিক পথচারীদের হুশিয়ার করে চেঁচিয়ে উঠছে মাঝে মাঝে- “সরে যাও সরে যাও! আসছে আমার পাগলা ঘোড়া!” হঠাৎ বাইরে যাওয়ার দরজাটার গায়ে নখের আঁচড়ের শব্দ পেয়ে সাইকেল ফেলে ছুটে গেল সে হন্তদন্ত হয়ে।

মারজানা সাবিহা শুচির ছড়া

Image
অভিধানের কথা ছোটো ছোটো বন্ধুরা শোনো মন দিয়ে - কিছু কথা বলি আজ অভিধান নিয়ে । অভিধান যেন এক শব্দের বাড়ি , সাজানো গোছানো সব আছে সারি সারি । কোনো কথা শুনে যদি না বোঝো মানে - খুঁজে দেখো অভিধানে আছে কোন্ ‌ খানে । পাতা খুলে দেখে নাও যেটা দরকার , অর্থ , বানান আর শব্দের ব্যবহার । মজা পাবে রোজ যদি পাতা ওল্টাও নতুন শব্দ কিছু রোজ শিখে নাও । অনেক নিয়ম আছে বাংলা বানানে , বুঝে যাবে রাখো যদি চোখ অভিধানে । যদি তুমি হতে চাও বড়ো লিখিয়ে , হেলাফেলা কোরো নাকো বানান নিয়ে । ভাষারও সম্মান আছে মনে রাখা চাই , ভুলভাল বানানে লেখা মানা তাই । কাজেই জরুরি শেখা - শুদ্ধ বানান , পড়ার টেবিলে তাই চাই অভিধান ।    

মারজানা সাবিহা শুচির ভ্রমণ কাহিনী

Image
সিগিরিয়া রকঃ এক রোমাঞ্চকর পাথুরে যাত্রা ছোট বন্ধুরা, তোমরা কি সিগিরিয়া জায়গাটির নাম শুনেছ? শ্রীলংকার এই পাহাড়ি অঞ্চলে খুব উঁচু এক পাহাড়ের উপর রয়েছে অনেক কাল আগের এক দুর্গ কিংবা রাজার বাড়ি। সেই বিশাল পাহাড় যাকে কিনা একটিই পাথরখণ্ডের মত লাগে তার নাম সিগিরিয়া রক। সেখানে আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম ২০১৯ সালের এপ্রিলে, সেই বেড়ানোর গল্পটা আজ তোমাদের বলব। তার আগে বলি কী ভাবে এখানে দুর্গ আর রাজার বাড়ি গড়ে উঠলো। প্রায় দেড় হাজার বছর আগের কথা। রাজ্যের আসল উত্তরসূরি মগগালানাকে বঞ্চিত করে সিংহাসন দখল করে রাজা হলেন তারই ভাই কাশ্যপ, পরাজিত ভাই পালিয়ে গেলেন রাজ্য ছেড়ে। রাজা তো হলেন কাশ্যপ, মনে শান্তি নেই মোটে। এই বুঝি ভাই ফিরে এলো প্রতিশোধ নিতে, এই বুঝি সাধের প্রাণটা যায় যুদ্ধে! রাজা কাশ্যপ রাজধানী অনুরাধাপুরে থাকতে পারলেন না ভয়ে। চলে এলেন সিগিরিয়ায়, ৬৬০ফুট উঁচু সিগিরিয়া রকের উপরে গড়ে তুললেন রাজপ্রসাদ। এর আগে নানা সময়ে এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আশ্রম ছিল।

মারজানা সাবিহা শুচির গল্প

Image
পতাকার পিছনের কান্নাগুলো “বাবুই বাবুই তাড়াতাড়ি আয়, দাদু খাচ্ছেন! বাবুই তার পুতুলগুলো সাজাচ্ছিলো, পাপাইয়ের চাপা গলার ডাক শুনে সব ফেলে ছুট লাগলো। দুই ভাইবোন একদৌড়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে ভাল মানুষের মতো মুখ করে বসলো, একটা চেয়ারেই দুইজন গাদাগাদি করে। একসাথে বসলে নিজেদের মধ্যে গুঁতোগুঁতি আর হাসাহাসি করতে সুবিধা হয় যে! বসির দাদু খাচ্ছেন। বাবুই পাপাইকে মা আগেই খাইয়ে দেন। অন্যদিন হলে ওরা এতোক্ষণে বিছানায় উঠে বালিশ নিয়ে মারামারিটা শুরু করে দিতো। আজ দাদুর খাওয়া দেখবে বলে অপেক্ষায় ছিলো। শুধু কি আজ, ওরা দুইদিন ধরে প্রতি বেলায়ই দাদুর খেতে বসার অপেক্ষায় থাকছে। দুদিন আগে ওদের বাবার এই মামাটি বেড়াতে এসেছেন, আর যেই না উনি খেতে বসলেন ওরা তো অবাক! এমনিতে কত শান্ত-শিষ্ট, খেতে বসলেই কেমন যে হয়ে যান! এক হাতে থালাটা আগলে রাখেন আর এক হাতে গাপুস গুপুস করে খেতে থাকেন। যেন খুব তাড়া আছে, এক্ষুনি খেয়ে শেষ না করলে যেন আর খাওয়াই হবেনা। আর চারপাশে কেমন ভয়-ভয় রাগ-রাগ চোখে তাকাতে থাকেন! দাদু অত বুড়ো নন কিন্তু খাওয়ার সময় মুখটা কেমন বুড়োটেও লাগে।

একুশের ছড়া- মারজানা সাবিহা শুচি

Image
  একুশের ছড়া   খোকন বলে , একুশ কি মা দেখতে সেটা কেমন ? মা হেসে কন , শোনো খোকন , আমি তোমার যেমন ! খোকন বলে , ধুত্তুরি ছাই তাই কখনো হয় ! তুমি আমার নয়নমণি একুশ তো তা নয় ! মা বললেন , হয়রে খোকন বুঝবি বড় হলে , বাংলার যে নয়নমণি একুশ তাকেই বলে !

কবিতা - মারজানা সাবিহা শুচি

ষোলোই ডিসেম্বর   ছোট্টসোনা আজকে শোনো খুব প্রিয় সে কাহিনী, বিজয়-সূর্য আনলো জিতে বীর মুক্তি-বাহিনী। কাহিনীটা একাত্তরের ডিসেম্বরের ষোলো, তবে তোমায় জানতে হবে তার আগে কী হলো।

কবিতা

Image
অমি এবং কাকের ছড়া মারজানা সাবিহা শুচি   ঘরের পাশে কদম গাছে ডাকছিল এক কাক , “ দূর্ ‌ রো পাজি ” - অমির দাদু দিলেন রেগে হাঁক । কাণ্ড দেখো ! কাকটা কিনা জানলাতে দেয় উঁকি , “ রে বেয়াদব ” - বলেন দাদু , “ পড়বি নাকি ঢুকি ! ” কাকটা তখন কা - কা করে নাড়তে থাকে ডানা , দেখলো অমি , কাকের পিছে একখানা তার ছানা । ওরে ওরে ছোট্ট ছানা , কাঁদছে বুঝি ক্ষুধাতে ! দৌড়ে গেল অমি তাদের সেই কথাটাই শুধাতে । ভড়কে গিয়ে ঝাপটে পাখা উড়েই গেল দুইজনা , হায় হায় ইশ্ ‌ কাকের বাবু লজেন্সটা যে নিলোই না !