সোফি পারোভি রেইনের ধারাবাহিক গল্প
সকালে বব-২ নাস্তা দিয়ে গেল তাদের। নাস্তা ছিল দুইটা করে রুটি, আলু ভাজি আর ডিম। খাবার গুলো ছিল স্বাদহীন, পানসে। ওরা খাবার অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করে রেখে দিলো , খেতে পারল না।
ধূসর রঙের দেয়াল গুলোর মাঝে কাঠ রঙের দরজা যা বাইরে থেকে আটকানো ছিল। ছাদের নিচে ছোট্ট ঘুলঘুলি দিয়ে দিনের আলো প্রবেশ করছিল ঘরের ভেতর। এছাড়া আর কোনো আলো নাই ঘরে। কোথাও কোনো শব্দ নাই। চড়ুইয়ের কিচিরমিচির আর কাকের কা কা শোনা যাচ্ছিল শুধু। মিকাসারা অনুমান করতে পারছিল না তারা ঠিক কোথায় আছে।
ইউনা, মিকাসা, জিমি এতক্ষণে ঠিক করে ফেলেছে তারা কী করবে। তারা ভেবে দেখল তাদের এই ঘর থেকে বের হওয়ার একমাত্র সুযোগ হলো যখন বব-২ তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসে। ইউনাকে যখন প্রথম ধরে আনা হয় এই বাসায় তখন সে পালানোর চেষ্টা করেছিল এবং সে সময়েই সে মোটামুটি বাসাটার অনেক জায়গা দেখে ফেলেছে। তাই বাসাটা সম্পর্কে তার একটা ধারণা আছে। তাদের মূল পরিকল্পনা হচ্ছে বব-২কে কাবু করা। কিন্তু একদিনে তাকে কাবু করা সম্ভব না যেহেতু সে বেশ শক্তিশালী এবং বিশাল দেহের অধিকারী। একটু ভেবে চিন্তে ঠিক করতে হবে কীভাবে তাকে কাবু করা যায়। এখন আর তাদের ভাবার সময় নাই একটু পরেই ডঃ ল্যারি আসবে তাদের মেমোরি ইরেজ করতে।
কিছুক্ষণ পর...
ডঃ ল্যারি এলো, সাথে নিয়ে এলো বিশাল এক যন্ত্র, যার একটি অংশ দেখতে গামলা বা বোলের মত। ডঃ ল্যারির গায়ে সাদা এপ্রোন, বিশাল টাক মাথায় অল্প কিছু শাদা চুল, মুখে হালকা শাদা দাঁড়ি। বব আর বব-২ মিলে যন্ত্রটা বয়ে নিয়ে এলো। মিস রিক্কা ফোনে কথা বলতে বলতে রুমে ঢুকল। ডঃ ল্যারি যন্ত্রটি সেট করে প্রথমে জিমিকে একটা চেয়ারে বসতে বলল। জিমি ভয় পেয়ে যায়। সে কিছুতেই চেয়ারে বসতে চায় না। ইউনা , মিকাসাও ভয় পেয়েছে অনেক। ইউনা ডঃ ল্যারিকে জিজ্ঞেস করলো...
আমাদের আপনি কি করবেন? ওই যন্ত্রটা কী? ওটা দিয়ে আপনি আমাদের কী করবেন?
ডঃ ল্যারি বলল...
এটা মেমোরি ইরেজ করার যন্ত্র। এটা দিয়ে তোমাদের মেমোরি ইরেজ করা হবে।
আমরা কী করেছি? আমাদের যেতে দিন, আমরা কাউকে কিছু বলবো না।
না, সেটা আর হয় না। তোমাদের মেমোরি মুছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিস রিক্কা। মাত্র সাতদিন লাগবে।
জিমি ভয় পেয়ে ছুটে গেলো ঘরের এক কোণে। বব তাকে জোর করে ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। বব-২ তার হাত চেপে ধরলো। মিস রক্কা তখনো ফোনে কথা বলছিল।
ডঃ ল্যারি জিমির মাথায় গামলার মতো জিনিসটা বসিয়ে দিয়ে যন্ত্রটার সুইচ চালু করে দিলো। ঘরঘর একটা শব্দ হতে লাগলো। জিমি আসতে আসতে ঘুমিয়ে পড়লো।
এভাবে একে একে ইউনা আর মিকাসাকেও ঘুম পাড়ানো হলো। এদের তিনজনকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তারা সবাই চলে গেলো।
গভীর রাতে ঘুম ভাঙল মিকাসার। মাথাটা তার ভারী হয়ে আছে। চারদিক অন্ধকার। ঘরের কোণে একটা হালকা আলো জ্বলছিল। আস্তে আস্তে সে মাথা তুলল। দেখে ইউনা আর জিমি তখনো ঘুমাচ্ছে। টেবিলের উপরে খাবার রেখে দেয়া। ক্ষুধা পাওয়ায় জিমি খাবার গুলো খেতে শুরু করলো। হঠাত করে জিমি খেয়াল করলো কেউ দরজা খুলছে। দেখল জো দরজা খুলে ঘরে ঢুকছে।
কেমন আছো?
ভালো আছি।
তোমার বন্ধুদের এখনো ঘুম ভাঙেনি?
না, ওরা এখনো ঘুমাচ্ছে।
ভালো। তুমি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পরো। আর বন্ধুরা ঘুম থেকে উঠলে ওদেরও খেয়ে নিতে বলো। আমি বাইরে আছি, যদি কিছু প্রয়োজন হয় আমাকে ডাকবে। আমি বাইরে আছি।
ঠিক আছে। একটা কথা ছিল।
বলো।
আমাদের বাসায় একটু খবর দিতে হবে। বাসায় সবাই চিন্তা করছে।
কাল দেখা যাবে। এখন ঘুমাও।
জো দরজা বন্ধ করে চলে গেলো...
[চলবে...]
আমাদের আপনি কি করবেন? ওই যন্ত্রটা কী? ওটা দিয়ে আপনি আমাদের কী করবেন?
ডঃ ল্যারি বলল...
এটা মেমোরি ইরেজ করার যন্ত্র। এটা দিয়ে তোমাদের মেমোরি ইরেজ করা হবে।
আমরা কী করেছি? আমাদের যেতে দিন, আমরা কাউকে কিছু বলবো না।
না, সেটা আর হয় না। তোমাদের মেমোরি মুছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিস রিক্কা। মাত্র সাতদিন লাগবে।
জিমি ভয় পেয়ে ছুটে গেলো ঘরের এক কোণে। বব তাকে জোর করে ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। বব-২ তার হাত চেপে ধরলো। মিস রক্কা তখনো ফোনে কথা বলছিল।
ডঃ ল্যারি জিমির মাথায় গামলার মতো জিনিসটা বসিয়ে দিয়ে যন্ত্রটার সুইচ চালু করে দিলো। ঘরঘর একটা শব্দ হতে লাগলো। জিমি আসতে আসতে ঘুমিয়ে পড়লো।
এভাবে একে একে ইউনা আর মিকাসাকেও ঘুম পাড়ানো হলো। এদের তিনজনকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তারা সবাই চলে গেলো।
গভীর রাতে ঘুম ভাঙল মিকাসার। মাথাটা তার ভারী হয়ে আছে। চারদিক অন্ধকার। ঘরের কোণে একটা হালকা আলো জ্বলছিল। আস্তে আস্তে সে মাথা তুলল। দেখে ইউনা আর জিমি তখনো ঘুমাচ্ছে। টেবিলের উপরে খাবার রেখে দেয়া। ক্ষুধা পাওয়ায় জিমি খাবার গুলো খেতে শুরু করলো। হঠাত করে জিমি খেয়াল করলো কেউ দরজা খুলছে। দেখল জো দরজা খুলে ঘরে ঢুকছে।
কেমন আছো?
ভালো আছি।
তোমার বন্ধুদের এখনো ঘুম ভাঙেনি?
না, ওরা এখনো ঘুমাচ্ছে।
ভালো। তুমি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পরো। আর বন্ধুরা ঘুম থেকে উঠলে ওদেরও খেয়ে নিতে বলো। আমি বাইরে আছি, যদি কিছু প্রয়োজন হয় আমাকে ডাকবে। আমি বাইরে আছি।
ঠিক আছে। একটা কথা ছিল।
বলো।
আমাদের বাসায় একটু খবর দিতে হবে। বাসায় সবাই চিন্তা করছে।
কাল দেখা যাবে। এখন ঘুমাও।
জো দরজা বন্ধ করে চলে গেলো...
[চলবে...]
Comments
Post a Comment