Posts

আতনিন বিন জহির

Image
জাপানের আইনু উপজাতি  আইনু কারা? :  আইনুরা হলো পৃথিবীর এক বিপন্ন জাতিগোষ্ঠী। তারা জাপানের উত্তরাঞ্চলের হোক্কাইডো, কুরিল দ্বীপপুঞ্জ এবং রাশিয়ান সাখালিন ও কামচাটকা ক্রাই এর আদিবাসী। আইনুরা জাপানের সবচেয়ে প্রাচীন এবং একমাত্র আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী। মূলত জাপান একটি হোমোজেনাস বা সমজাতীয় মানবগোষ্ঠী অধ্যুষিত মানুষের দেশ, সেখানে জাপানিজরা জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ। সে দেশের আইনুদের উৎস, ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম এবং উত্থান-পতনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছি। উৎপত্তি:  আইনুদের উৎপত্তি সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট নয়, তবে তারা হাজার হাজার বছর ধরে জাপানে বসবাস করছে। ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা যে তারা সাইবেরিয়া বা কোরিয়া থেকে জাপানী দ্বীপপুঞ্জে আসে। প্রায় ৪০০০০ বছর আগে জাপানে প্রথম পা দেয় এই জনগোষ্ঠীর মানুষ, এরা ছিল শিকারী  ও সংগ্রহকারী (Hunter-gatherers), অর্থাৎ, যারা প্রাণী শিকার করে এবং ফল সংগ্রহ করে বেঁচে থাকার জন্য। শিকারি গোষ্ঠীগুলি এখন 'জোমন মানুষ' হিসাবে পরিচিত এবং জাপানের ইতিহাসের জোমন  যুগের (14,000-300 BC) সাথে সংযুক্ত।  জোমন যুগে তারা মৃৎশিল্পের একটি বিশেষ শৈলী গড়ে তোল...

হারুন রশীদ

Image
বসনিয়ার পিরামিড  রহস্যের শেষ নাই। বসনিয়াতেও তিনখানা পিরামিডের খোঁজ পেয়েছেন বলে দাবী করেছেন এক গবেষক। ঘটনা সত্য হলে পৃথিবীর ইতিহাস উল্টে যেতে পারে। ২০০৫ সালের কথা। সেমির ওসমানাগিচ নামের বসনিয়ার এক সৌখিন গবেষক ঘোষণা দিলেন তিনি ভিসোকো শহরের প্রান্তে একটা পিরামিড আবিষ্কার করেছেন। তিনি মায়া এবং অ্যাজটেক সভ্যতা নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি করেছেন। পৃথিবীর সবগুলো পিরামিড তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। বসনিয়ার সেই  ১১৮০ ফুট উুঁচু পাহাড়টা পিরামিড অব দ্য সান নামে পরিচিত। কিছুদিন পর তার পাশাপাশি তিনি আরো দুটি পিরামিড আবিষ্কার করলেন। মোট তিনটা পিরামিডের আকৃতি একই জায়গায়। যেগুলো এখন ঝোপঝাড়ের আড়ালে ঢাকা পড়েছে। তাঁর দাবী ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করলে ওই পিরামিডগুলো দেখতে মিশরীয় পিরামিডের মতো দেখাবে। তিনি মনে করেন এই পিরামিডের বয়স ১২০০০ বছর পুরোনো। এই পিরামিড এবং মিশরের পিরামিড একই কারিগরের তৈরি হতে পারে। যদিও দুই পিরামিডের বয়সের পার্থক্য ৭ হাজার বছর। তাঁর এই দাবী পৃথিবীর প্রত্নতত্ত্ব গবেষকদের মধ্যে একটা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। ঘটনা সত্যি হলে মানবসভ্যতার বর্তমান হিসেব সব উল্টে যেতে পারে। তাই অনেক গবেষক তার এই অ...

পাতকুয়া : কীর্তিনাশা নজরুল

Image
  ঝিম ধরা গ্রাম্য দুপুরে নির্জন এক বাগানে রাসেল একা একা লাকড়ি কুড়াচ্ছে। কাছেই লতা-গুল্মে ভরা এক জায়গায় অতি প্রাচীন এক পরিত্যাক্ত পাতকুয়া। বহুকাল হয়ে গেছে এ কুয়া কেউ ব্যবহার করে না। গ্রামে এখন বাড়িতে বাড়িতে টিউবওয়েল বসে গেছে। তাই পাতকুয়ার খবর এখন আর কে রাখে ?রাসেল গুনগুন করে গান গাচ্ছে আর লাকড়ি জমাচ্ছে। এমন সময় সেই প্রাচীন পাতকুয়ার ভেতর থেকে কেমন খল-খল, ছড়-ছড়, ঘড়-ঘড় আওয়াজ উঠলো। রাসেল কান খাড়া করে শুনে বোঝার চেষ্টা করলো আওয়াজটা কিসের। কিন্তু কিছু বুঝতে পারলো না। ওদিকে আওয়াজটা আরো জোরালো হচ্ছে। রাসেল এবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। আর তাকিয়েই ভয়ে জমে গেল। কুয়ার মুখে একটা বুড়ো মানুষের মুখ দেখা যাচ্ছে। মাথায় তার খানিকটা লম্বা সাদা ভেজা চুল। দু’হাত দিয়ে সে কুয়ার দেয়াল ধরে ঝুলে আছে। মুখে তার কেমন যেন হাসি লেগে আছে। বুড়ো লোকটা গলা খাকাড়ি দিয়ে বলে – ও মিয়া ভয় পাইলা নাকি ? ভয় পাইয়ো না। আমি দূর দেশে থাকি। এদিকে ঘুরতে আইসা ভুল কইরা কুয়ার মইধ্যে পইড়া গেছি। কাছে আইসা আমারে ধইরা একটু উঠাও দেখি ! রাসেল ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে – আপনের চুল এমন সাদা আর লম্বা কেন ? বুড়ো বলে – ওরে ভাই, আমার বয়স হইছে তাই চুল সাদা ...

নিলয় নন্দী: থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে

Image
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে পুকুরের ধারে দাঁড়িয়ে পুলু একের পর এক ঢিল ছুড়তে থাকে পানিতে। কেন ছোড়ে সে নিজেও জানে না। একটা চ্যাপটা ঢিল পেলে না হয় ব্যাঙ-লাফ খেলা যেত। কিন্তু তেমন কোন ঢিল সে হাতের কাছে খুঁজে পায় নি । কেন যেন ভীষণ কান্না পাচ্ছে তার। ইচ্ছে করছে সোয়েটারের লম্বা হাতাসহ হাতটা পানিতে ডুবিয়ে দেয়। খুব ঠাণ্ডা লাগুক তার, জ্বর হোক, মরে যাক। তাহলে মা’র ভালো একটা শিক্ষা হবে। মায়েরা সব এমন হয় কেন?কী হয়েছে খোকা? কাঁদছ নাকি? পুলু ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়। সেই অদ্ভুত লোকটা তার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। একটু ভয় ভয় লাগে তার। এক দৌড়ে কি বাসায় ফিরে যাবে সে? লোকটা গায়ের চাদর ভালো করে পেঁচিয়ে নিয়ে আবার হাসে, মন খারাপ? আমি কিন্তু মন ভালো করার ওষুধ জানি। কী ওষুধ? বাহ! এই তো কথা ফুটেছে মুখে। লোকটা পাশ থেকে একটা ঢিল কুড়িয়ে নেয়। ব্যাঙ-লাফ খেলছিলে তো? আমি এই খেলা শিখেছিলাম আমার এক চাচার কাছ থেকে। উনি এক ঢিলে দশবার পর্যন্ত জাম্প দিতে পারতেন। হাতের ইটের টুকরোটা ছুড়ে মারতেই সেটা পুকুরের পানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে সামনে ছুটে চলে। পুলু গুনে দেখল মোট ছয়বার লাফ খেয়ে তবেই ঢিলটা পানিতে ডুবল। এসো, এই ঘাটের পাশে বসি। দেখবে মন ভালো হয়...

ময়ূরী মিত্রের গল্প

Image
কাঁদে না দজ্জাল   সে বার বহুদিন অনুপস্থিতির পর জলদি জলদিই মায়ের হাত ধরে স্কুল চলে এল দজ্জাল | গেটে ঢোকার মুখে দেখি ---স্কুলের পাঁচিলে বসে মায়ের ফোন নিয়ে কার কাছে যেন তার স্কুলকর্মের ধারাবিবরনী দিচ্ছে | তার মা বললেন ---ফোনে তার পিসি | স্কুলে এসে পিসিকে ফোন করা চাইই তার | আমি ঢুকতেই ফোনের ওপারে পিসিকে বলল ----" ওই ময়ূরী এল | আজ পড়াশুনো গেল আমাদের |" বুঝুন ----