হারুন রশীদ


বসনিয়ার পিরামিড 


রহস্যের শেষ নাই। বসনিয়াতেও তিনখানা পিরামিডের খোঁজ পেয়েছেন বলে দাবী করেছেন এক গবেষক। ঘটনা সত্য হলে পৃথিবীর ইতিহাস উল্টে যেতে পারে।


২০০৫ সালের কথা। সেমির ওসমানাগিচ নামের বসনিয়ার এক সৌখিন গবেষক ঘোষণা দিলেন তিনি ভিসোকো শহরের প্রান্তে একটা পিরামিড আবিষ্কার করেছেন। তিনি মায়া এবং অ্যাজটেক সভ্যতা নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি করেছেন। পৃথিবীর সবগুলো পিরামিড তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। বসনিয়ার সেই  ১১৮০ ফুট উুঁচু পাহাড়টা পিরামিড অব দ্য সান নামে পরিচিত। কিছুদিন পর তার পাশাপাশি তিনি আরো দুটি পিরামিড আবিষ্কার করলেন। মোট তিনটা পিরামিডের আকৃতি একই জায়গায়। যেগুলো এখন ঝোপঝাড়ের আড়ালে ঢাকা পড়েছে। তাঁর দাবী ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করলে ওই পিরামিডগুলো দেখতে মিশরীয় পিরামিডের মতো দেখাবে। তিনি মনে করেন এই পিরামিডের বয়স ১২০০০ বছর পুরোনো। এই পিরামিড এবং মিশরের পিরামিড একই কারিগরের তৈরি হতে পারে। যদিও দুই পিরামিডের বয়সের পার্থক্য ৭ হাজার বছর। তাঁর এই দাবী পৃথিবীর প্রত্নতত্ত্ব গবেষকদের মধ্যে একটা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। ঘটনা সত্যি হলে মানবসভ্যতার বর্তমান হিসেব সব উল্টে যেতে পারে। তাই অনেক গবেষক তার এই অনুমানকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। বলছেন এটা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে। তবু তাঁর ঘোষণার পর থেকে ওই এলাকা দেখতে গেছে অন্তত বিশ লাখ মানুষ। এলাকাটা পর্যটন অঞ্চল হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। 


কিছু গবেষক যখন এইসব প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন তখন তিনি জোর দিয়ে বলছেন- ‘আমি কম্পাস বসিয়ে মেপে দেখেছি পিরামিডের চারটা দিক পৃথিবীর ভৌগলিক অবস্থানের চারটি দিক( উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম) নিখুঁতভাবে নির্দেশ করছে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাহাড় হলে এমন হবার কথা নয়।’


এই কথা সত্যি হলে ব্যাপারটা রহস্যময়। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনে এই  বিষয়টা পড়ে একটু খোঁজখবর নিয়ে যোগযোগ করেছিলাম জেন কোকানের সাথে। কানাডায় জন্ম নেয়া এই সাংবাদিক, লেখক, ফটোগ্রাফার ভিসোকো শহরের সেই পিরামিড দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি জানালেন,’ আমি প্রত্নতত্ববিদ নই। কিন্তু ওই পাহাড়ে উঠতে গিয়ে আমি যেসব নজির দেখেছি তাতে মনে হয়ছে ওসমানাগিচের কথাগুলো ফেলনা নয়। আরো গবেষণা হলে একদিন সত্য বেরিয়ে আসবে’।


আমি এই বিষয়ে ভবিষ্যতের নতুন কোন উন্মোচনের দিকে তাকিয়ে থাকবো।



১. পিরামিডাকৃতির পাহাড়টা সত্যি ছবি

২. ঘাস ছেটে ফেলা পাহাড়ের ছবিটা কাল্পনিক

৩. সাংবাদিক জেন কোকেনের ছবিটা সত্যিকারের



Comments

Popular posts from this blog

ভিনদেশী রূপকথা

আতনিন বিন জহির

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা