আদনান সৈয়দের ছড়া
মেছো ভূত আর গেছো ভূতের ছড়া
(ছবি: চারুলতা সৈয়দ। বয়স ৭ বছর)
বাড়িটা কি ভূতের বাড়ি
লাগছে মনে ধন্ধ!
ভেতরটা যে আবছা মতন
বাইরে থেকে বন্ধ!!
অমাবস্যা চাঁদনি রাতে
ছায়াগুলো সব আসে
ফিসির-ফাসির শব্দ করে
নাকি গলায় কাশে!!
ক’দিন আগে এই বাড়িতে
ভূতের সমাবেশে
গেছো ভূত আর মেছো ভূতে
তর্ক জমে শেষে।
গেছো ভূতের প্রাণের দাবি
ভেজাল শুধু খাদ্যে
চাঁদের আলো পাই না খেতে
নেই তা এখন সাধ্যে।
গোটা শহর ভরে গেছে
হলুদ নিয়ন বাতি
মগডালেতে বসে থাকি
নেই তো কোন সাথী!
হাবিজাবি আলো খেয়ে
পেটে হল আলসার
ভেজালে দেশটা গেল
রইল না কালচার!!
কোথায় পাবো চাঁদের আলো
পেটটি ভরে খাই
আছে নাকি গরম খবর
মেছো ভূতের ভাই?
গেছো ভূতের কথাগুলো
মনটি দিয়ে শোনে
মেছো ভূতটি আঙুল দিয়ে
কি সব যেন গোনে!
অনেক ভেবে মেছো বলে
ঠিক বলেছিস ভাই
ভেজালে যে দেশটা গেল
সলিউশন যে চাই!
ছেলেবেলায় খেতাম শুধু
তাজা মাছের বড়া
এখন দেখি বিলে ঝিলে
আর্সিনিকে ভরা!
ভেজাল মাছের কোপ্তা খেয়ে
পেটটা হল ঢোল
ভোটকা মেছো ভূতটি এখন
বলের মত গোল!
সবখানেতেই ভেজালরে ভাই
ভেজাল সারা দেশে
ভন্ডরা সব মুখ লুকিয়ে
থাকছে সাধুর বেশে!!
মেছো ভূত আর গেছো ভূতের
গল্প হল শেষ।
ভাবতে থাকো চারুলতা
পাকুক তোমার কেশ!!
(ছবি: চারুলতা সৈয়দ। বয়স ৭ বছর)
[ চারুলতা গল্প শুনতে ভালোবাসে। প্রতি রাতেই মেয়ে চারুলতাকে ঘুমানোর আগে নানা রকম হাবিজিবি গল্প শুনাই। সেই গল্পগুলোর বেশির ভাগই হল আবার ভূতের, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, আর নানা দেশের মিথের উপর। চারুলতা গল্প শুনতে শুনতেই ঘুমিয়ে পরে। তখন প্রাণভরে চারুলতাকে দেখি আর নিজের ছেলেবেলার কথা স্মরণ করি। এই ছড়াটি চারুলতার খুব প্রিয় আর তাই মাত্র এক ঘন্টার নোটিশে সে তার কল্পনায় দেখা ভূতের উপর দুটো ইলাস্ট্রেশন করে দিয়েছে।]
Comments
Post a Comment