হেমন্ত বিকেল। ধানা কাটা হচ্ছে। ধান কেটে বোঝাই করে বাড়ির উঠোনে এনে মাড়াই করা হচ্ছে। নতুন চালের পিঠা তৈরী হচ্ছে। আবহমান গ্রাম বাংলার এই অপরূপ দৃশ্যটি তুলে এনেছে হৃষিতা সেন গুপ্তা।
নাপিত ও রঙমিস্ত্রী গল্পটি এক রঙ মিস্ত্রি আর এক নাপিতকে নিয়ে। তারা ছিল প্রতিবেশি। প্রতিবেশি মানে দু'জনের দোকান ছিল পাশাপাশি। রঙমিস্ত্রি মানে কাপড় রঙ করার কাজ যাকে ডায়িং বলা হয়। এই মিস্ত্রির নাম ছিল আবু কির আর নাপিতের নাম ছিল আবু সাব্র। আবু কির ছিল খুবই ধুরন্ধর প্রকৃতির। যেমন ছিল মিথ্যাবাদি তেমনি ছিল প্রতারক। তবে রঙের কাজটা সে খুবই ভালো জানতো। ভালো জানলে কী হবে সে কিন্তু তার কাজটা প্রতারণার মধ্য দিয়েই করতো। সোজা বা সহজভাবে উদার মনোভাব নিয়ে করতো না। কেউ যদি রঙ করার জন্য তার কাছে কোনো কাপড় দিতো সে প্রথমেই তার মজুরিটা নিয়ে নিতো। তারপর বলতো: যাও! কাল এসে তোমার কাপড় নিয়ে যেও। কাস্টমার এ কথা শুনে চলে যেত এবং পরদিন তার কাপড় নিতে আসতো।
জাপানের আইনু উপজাতি আইনু কারা? : আইনুরা হলো পৃথিবীর এক বিপন্ন জাতিগোষ্ঠী। তারা জাপানের উত্তরাঞ্চলের হোক্কাইডো, কুরিল দ্বীপপুঞ্জ এবং রাশিয়ান সাখালিন ও কামচাটকা ক্রাই এর আদিবাসী। আইনুরা জাপানের সবচেয়ে প্রাচীন এবং একমাত্র আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী। মূলত জাপান একটি হোমোজেনাস বা সমজাতীয় মানবগোষ্ঠী অধ্যুষিত মানুষের দেশ, সেখানে জাপানিজরা জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ। সে দেশের আইনুদের উৎস, ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম এবং উত্থান-পতনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছি। উৎপত্তি: আইনুদের উৎপত্তি সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট নয়, তবে তারা হাজার হাজার বছর ধরে জাপানে বসবাস করছে। ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা যে তারা সাইবেরিয়া বা কোরিয়া থেকে জাপানী দ্বীপপুঞ্জে আসে। প্রায় ৪০০০০ বছর আগে জাপানে প্রথম পা দেয় এই জনগোষ্ঠীর মানুষ, এরা ছিল শিকারী ও সংগ্রহকারী (Hunter-gatherers), অর্থাৎ, যারা প্রাণী শিকার করে এবং ফল সংগ্রহ করে বেঁচে থাকার জন্য। শিকারি গোষ্ঠীগুলি এখন 'জোমন মানুষ' হিসাবে পরিচিত এবং জাপানের ইতিহাসের জোমন যুগের (14,000-300 BC) সাথে সংযুক্ত। জোমন যুগে তারা মৃৎশিল্পের একটি বিশেষ শৈলী গড়ে তোল...
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। প্রতিবছর ডিসেম্বর এলে আমরা ছুটির আমেজে মেতে উঠি। সবার পরীক্ষা শেষ। এবার শুধু খেলাধুলা, ঘোরাঘুরি আর আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠার পালা। এইসব আনন্দের মধ্যে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস আমাদের জন্য অনন্য একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল পাকিস্তানীদের কাছ থেকে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ৩০ লাখ মানুষ। পৃথিবীর কোথাও এত অল্প সময়ে এত মানুষ মারা যায়নি। সে কারণে আনন্দের সাথে আমাদের বুকে স্বজন হারানোর ব্যথাও বাজে। বিজয়ের মাসে শিশুকাগজ স্মরণ করছে সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ, একটি আলাদা মানচিত্র এবং পতাকা উপহার দিয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। শিশুকাগজের সকল পাঠক, লেখক এবং চিত্রকরকে ৫০তম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। এ সংখ্যায় অংশ নিয়েছেন: লুৎফর রহমান রিটন মোহিত কামাল ফাহরিয়াল রহমান অমিত হাসান নাহার তৃণা আদনান সৈয়দ ফারিহা শাহরিন অদিতি ঘোষ দস্তিদার সৌম্য দাশ অনিন্দিতা গোস্বামী শেখ আফনান রুহিন হৃষিতা সেন গুপ্তা আয়েশা আক্তার সুমায়লা নূর শেখ আনাহিতা মিতিন সাহিরা
Comments
Post a Comment