Posts

Showing posts from August, 2022

বাদুর কেন রাতেই শুধু ওড়ে

Image
ভাষান্তর: নাহার তৃণা বনের ইঁদুর আর বাদুরের মধ্যে ভারি বন্ধুত্ব। যখনই সুযোগ পায় দুই বন্ধু গপ্পো করতে বসে। রোজ ওরা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করে। এত বন্ধুত্ব থাকার পরও বাদুর মনে মনে ইঁদুরকে হিংসে করতো। ইঁদুর মাটিতে কেমন দিব্যি ছুটে বেড়ায়। সে বেচারী সেটা পারে না। বাদুরটা কিন্তু এটা ভেবে দেখেনি, সে পাখি না হয়েও পাখির মতো উড়তে পারে ইঁদুর সেটা পারে না। আর ওসব নিয়ে ইঁদুরটার কোনো দুঃখও নেই। বাদুরকে সে সত্যিই বন্ধুর মতো ভালোবাসে। বন্ধুকে কেউ হিংসে করে নাকি!

ফাহ্‌রিয়াল রহমানের কলাম

Image
খালামণির নলেজ বক্স  কোভিড কমে আসায় ২০২২ সালটা কিছুটা স্বস্তি নিয়ে শুরু হলেও সারা বিশ্ব জুড়ে সময়টা কেমন যেন অন্য রকম যাচ্ছে। কোথাও থম মেরে আছে তো কোথাও উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর একটু শান্তির আশায় প্রার্থনার জমিনে। কোনো দেশ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতে আছে। কোনো দেশ গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে পর্যুদস্ত। কিছু দেশ আবার আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত। এই হলো আমাদের বিশ্বের বর্তমান অবস্থা। বিশ্ব ছেড়ে আসি আমার প্রিয় স্বদেশে; সেখানেও অস্থিরতা।করোনার তান্ডবের পর ডেঙ্গু তারপর বন্যা,আরো কত-শত বিপদ আপদ।খুব একটা ভালো নেই সাধারণ মানুষ। আচ্ছা বড়দের নানা অস্থিরতার আঁচ কি তোমরা টের পাও? আমি যেমন ছোট বেলায় আব্বু-আম্মুর নীরব ঝগড়ার ঝাঁজটা আম্মুর মধ্যে মাঝে মাঝে বেশ টের পেতাম। এই যেমন অহেতুক আমাদের বকাঝকা বা একটু বেশি করে পড়া ধরা আরো কতকিছু! হা হা হা! দেখ! এই কথায় আমার এখন শৈশবের বর্নিল সব ঘটনার কথা মনে পড়ছে। কত মজার ছিলো সেসব দিন। কী অনাবিল আনন্দের! আর ছোট থেকেই আমার অভ্যাস একটা বই পড়া শুরু করলে সেটা শেষ না করা পর্যন্ত অন্য কোনো কাজে মন দিতে পারিনা। নিজের ক্লাসের বই, গল্পের বই ছাড়াও ভাই বোনদের ক্লাসের বইও সমান আগ্রহ নিয়ে পড়তা...

ময়ূরী মিত্রের গল্প

Image
মা নৌকোয় খুকু মাঝি  ১ নৌকায় দুলতাম ৷ জল বাজাত বাজনা --ছলাৎ ছলাৎ ৷ বর্ষাজলে ভরা আমাদের বেলগাছিয়া বাড়ির সেই গলিপথ ৷ আমায় কোলে নিয়ে সে জল পারাপার করছেন মা - পাছে স্কুলের জুতো মোজা না ভিজে যায় ৷ নদী দেখা তখনো হয়নি আমার ৷ দেখা হয়নি একটি পূর্ণ --অহর্নিশি বয়ে যাওয়া জলরাশি ৷ জলযানের চলাচল ৷ তাই বর্ষার জল নামলেই ভাড়াবাড়ির ঐ গলিটাই হয়ে যেত আমার নদী ৷ হয়ে যেত চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতেই ৷ ধরুন - বেলাবেলি আকাশ মন করেছে জল ঝড়াবে ৷ আর আমি চোখ বুজে ঘাপটি মেরে আছি কখন আমার চলার রাস্তাটি হয়ে উঠবে নদী ৷ আমি বলতাম গলিনদী ৷ আমার বয়সী খুকুরা রাস্তায় জল জমলে কাগজের খেলনা ভাসাত ৷ আর আমি মায়ের কোলে চড়ে জলরাস্তা পার হতে হতে মাকেই ভাবতাম নৌকা ৷ সেসময় মায়ের কোলে চড়ার স্টাইলটাই বদলে যেত আমার ৷ দু’পা ছড়িয়ে দিতাম মায়ের মাংস পেটের দুপাশে ৷ আর লালরঙা পিঠে সমানে চাটিয়ে যেতাম দুহাতের তেলো দিয়ে ৷ আমার হাত বৈঠা আর আমার দাঁড় টানা ৷ যদি পড়ে যাই ---- পিঠে লাগা সত্ত্বেও মা হজম করতেন আমার মারকাটারি দাঁড় টানা ৷ গলি যত শেষ হতো, শুকনো পথ যত কাছে আসত, মায়ের পিঠে দাঁড়ের পিটুনি বাড়ত ৷ বাড়তে...

লুনা রাহনুমার গল্প

Image
বন্ধু কুটুম আনিকার মন ভালো নেই। সারাদিন স্কুলে অনেক ধকল গিয়েছে। একটার পর একটা ক্লাস। খেলার সময় থাকে অনেক অল্প। তার উপর আজকেই একসাথে তিনটি ক্লাস টেস্টের রেজাল্ট দিয়েছে। ইংরেজি আর ভূগোলে পাশ করলেও অংকে ডাব্বা মেরেছে। ক্লাস থ্রি থেকে ফোরে উঠার সময় স্কুলের হেড আপা বারবার করে বলেছে, “ফোরে উঠে যাচ্ছ কিন্তু তুমি, এখন তোমাকে লেখাপড়ায় আরো অনেক মনোযোগ দিতে হবে।“ মা ও বাবার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে আনিকা মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়েছিল সে মন দিয়ে লেখাপড়া করবে। কিন্তু ক্লাস ফোরে উঠেও দেখা যাচ্ছে লেখাপড়ায় বিশেষ সুবিধা করতে পারছে না। বান্ধবীদের সাথে পুতুল দিয়ে খেলতে যতটা ভালো লাগে, পড়তে বসলে ঠিক তার উল্টোটা লাগে। বরং জানালার গ্রিল ধরে বাইরে রাস্তায় হেঁটে যাওয়া ওর বয়সী ছেলে মেয়েদেরকে দেখতেই বেশি ভালো লাগে আনিকার। ওদের কতো মজা। স্কুলে যেতে হয় না। সময় মতো ঘুমাতে যেতে হয় না। অথচ আনিকাকে ছুটতে হয় ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে। একদম ভাল্লাগে না তার। আনিকা ভেবেছিলো স্কুল থেকে ফিরে মাকে অংকের রেজাল্টের কথাটি জানাবে, গোপনে। ভাইয়া যদি জানে আনিকা অংকে মাত্র ২১ পেয়েছে, তাহলে আর রক্ষা নাই। ফেলটু ফেলটু করে মাথা খারাপ...

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
  য়্যারোপ্লেনে লেখা ছড়া বাঁশ ঝাড়ে কী থাকে রে?-- বাঁশ বাঁশ বাঁশ! ঝিঁঝিঁ ডাক শুনতে কি-- পাস পাস পাস? পুকুরে সাঁতার কাটে-- হাঁস হাঁস হাঁস! ডাবের ভেতরে মজা--শাস শাস শাস! কাশবনে শাদা শাদা-- কাশ কাশ কাশ! বৎসরে থাকে বারো-- মাস মাস মাস! ভুল পথে কেনো তুই-- যাস যাস যাস! ইশকুলে কানমলা-- খাস খাস খাস! কাতুকুতু লাগে বুঝি?-- হাস হাস হাস! সেল, মানে মূল্যটা-- হ্রাস হ্রাস হ্রাস! ভেবে দ্যাখ করতে কি-- চাস চাস চাস? বড় হয়ে কাটবি কি-- ঘাস ঘাস ঘাস? একশোতে তেত্রিশ?-- পাশ পাশ পাশ! তুই ফেল? চড় খাবি-- ঠাস ঠাস ঠাস! ০৮ জুন ২০২২ আকাশ পথ, হিউস্টন টু টরন্টো এলটিচ্যুড ৩১,৫০০ফিট লোকাল টাইম সকাল ০৯টা ১০মিনিট

অহনা সরকারের গল্প

Image
  আমার স্বপ্নপূরণের দিন ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ । সেদিন ছিল আমার স্বপ্নপূরণের দিন , রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পালা । রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি আমরা । রাতে গিয়ে পৌঁছাই ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে । সেখান থেকে আবার ট্রেনে উঠে ভোরে চট্টগ্রাম পৌঁছাই । সেখানে আমরা একদিনে পতেঙ্গা বীচ , বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার ও ফয়েজ লেক পরিদর্শন করি । পরদিন ভোরে বাসে উঠে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হই । বাসে যাবার সময় আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম । কক্সবাজারে নেমে , গেলাম সমুদ্র সৈকতে । আমাদের থাকার জন্য বুকড হোটেল ছিল সৈকতের খুবই কাছে । সেখানকার রুম থেকেই সমুদ্র সৈকত দেখা যায় । সমুদ্রের গর্জন শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম সকলে । সেখান থেকে হোটেলে যেতে ইচ্ছে করছিল না ! আমরা হোটেলে গিয়ে খাওয়া - দাওয়া করলাম । রুমে ব্যাগ রেখে দৌড়ে চলে এলাম সমুদ্র সৈকতে । সেখানে আমরা স্নান করলাম আর পেলাম অনেক শামুক - ঝিনুক । সমুদ্রের পানি ...