Posts

কবিতা - খালেদ হামিদী

মাস্ক   ফিরোজা , আসমানি , নানা সার্জিক্যাল মাস্কে ঢাকা মুখে ঈভ টিজিঙের বুলি অব্যাহত। তবুও বিকট গোঁফের বীজাণু থেকে কতোটুকু রক্ষাই বা মেলে জীবিকা সকাশে ছোটা অনাগ্রহী আমার চলনে ? জানে কি বখাটে যুবা অণুজীব চারদিকে ছড়াতে সক্ষম এমনকি কিছু আবৃত মুখের ভাষা , দূরে ? দস্যু কিংবা প্রতারক নয় শুধু , মুখোশে কারুরই লুকানো যায় না মুখ বলেই কি উদোম আননে কোভিড বিস্তারে দক্ষ এরই মধ্যে অনেকেই খুব! পোশাক শিল্পের মেয়ে , তাই মোর সুতি আচ্ছাদনে ঠোঁট প্রসাধনবিহীন , ওরা কেউ দেখে না নাকফুলও। তাই কি লেখে না কেউ আমাদের জন্যে মুখবন্ধ ? জানার আগেই শুনি চকিত আলাপে: কারা যেন পরিয়েছে নানা দেশে শল্য চিকিৎসকের মুখোশ ভাস্কর্যের মেরিলিন মনরো , মার্টিন লুথার কিং , নিপুণ নগ্নিকা , ষাঁড় , জিসাস ও গৌতম বুদ্ধকে!   (০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০,  চট্টগ্রাম)    

অনুবাদ গল্প - সৈয়দা শর্মিলী জাহান

Image
  ছোট্ট গোলাপি গোলাপ একদা একটি অন্ধকার ঘরের ছাদের নীচে একটি ছোট্ট গোলাপি গোলাপ কুঁড়ি ছিলো । একদিন সে নিজের মতো করে স্থির বসে ছিলো । হঠাৎ সে দরোজায় মৃদু টক্ টক্ টক্ শব্দ শুনতে পেলো। সে জিজ্ঞেস করলো " কে ওখানে ?" উত্তরে সে মৃদু , কোমল কন্ঠে শুনতে পেলো " আমি বৃষ্টি এবং আমি ভেতরে আসতে চাই।" গোলাপ কুঁড়ি বললো " না তুমি আসতে পারবে না।" অচিরেই জানালার শার্সিতে সে আরেকটি মৃদু টক্ টক্ টক্ শব্দ শুনতে পেলো । সে জিজ্ঞেস করলো " কে ওখানে ?"

গল্প - মাইনুল এইচ সিরাজী

Image
  অবাক জাদুকর শ্যামল আর কমল দুই বন্ধু। তারা একই ক্লাসে পড়ে। নামের মিলের কারণে তাদের বন্ধুত্ব হয়েছে। আরও বন্ধুত্ব হয়েছে আরেকটা বৈশিষ্ট্যের কারণে। ক্লাসে তারা সবচেয়ে দুষ্টু। দুজনই সমান দুষ্টু। সুতরাং দুষ্টুতে দুষ্টুতে বন্ধুত্ব। কিন্তু কিছু সমস্যা আছে তাদের। শুধু তাদের নয় , ক্লাসের সবার। আবার শুধু ক্লাসের নয় , গোটা স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীর। কথা হচ্ছে , তারা দুষ্টু বলে সমস্যাগুলোর কথা তারা অন্যদের বলে ফেলে , সমস্যাগুলো নিয়ে তারা বেশি ভাবে। সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বেড়ায়। সমাধান না পেয়ে প্রায়ই স্কুল পালায়। কী তাদের সমস্যা ? তাদের পড়ার চাপ বেশি। পড়ার চাপে পড়ে তারা খেলাধুলা করার সময় পায় না।

নাটিকা - মঈন উদ্দিন কোহেল

  মুক্তির আলোয়   দৃশ্য     : এক (সময় : সকাল। মাইকে দেশাত্ববোধক গান বাজছে। বাচ্চাদের কোলাহল।)   বৃষ্টি      : স্নেহা, এই স্নেহা। স্নেহা     : আরে বৃষ্টি, তোকে না গানের মহড়ায় দেখে এলাম। মহড়া কি শেষ ? বৃষ্টি      : না। একটু বিরতি দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর নাটকের মহড়া শুরু হবে। সুমি আপু বললো, আমাদেরকে কাছাকাছি কোথাও থাকতে। তুইওতো নাটকে আছিস, তাই না ? স্নেহা     : হ্যাঁ। আচ্ছা নাটকের সংলাপ মুখস্ত হয়েছে তোর ? বৃষ্টি      : হ্যাঁ হয়েছে। তোর ? স্নেহা     : আমারও। তবে কিছুটা ভয় ভয় লাগছে, জানিনা ঠিক মতো পারবো কিনা।

গল্প - ইমতিয়ার শামীম

Image
নদীরা কেন সমুদ্রে যায়   নদীরা কেন সমুদ্রে যায় ? এই গল্প অনেক আগের। এত আগের যে গল্পটা সবাই একদমই ভুলে গেছে। আমারও তা মনে নেই ভালো করে। তবে এইটা জানি , পৃথিবীতে তখন কোনও নদী ছিল না। তা হলে কেমন ছিল সেই পৃথিবী ? চিন্তা করতেই গা ছমছম করে ওঠে! নদী নেই মানে কোনও পানি নেই। নদী নেই মানে বৃষ্টি নেই , বর্ষা নেই , বন্যাও নেই। নেই কোনও ছোট্ট ডোবা। অনেক গর্ত আছে , খানাখন্দ আছে ; কিন্তু একরত্তি পানি নেই তার ভেতর। ডোবাকে তাই কেউ ডোবা বলে না। নদী নেই বলে বানের টানে পানি এসে জমে না তার বুকের ওপর। আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে এসে ঘুমিয়ে পড়ে না ডোবার কোলে।