Posts

Showing posts from April, 2022

শিশু কাগজ: এপ্রিল ২০২২- চতুর্দশ সংখ্যা

Image
বাং লা নতুন বছরের শুরুতেই এলো এবারের শিশুকাগজ। এটি শিশুকাগজের চতুর্দশ, অর্থাৎ চৌদ্দতম সংখ্যা। পয়লা বৈশাখ ঘিরে আমাদের চারপাশে রঙের হুল্লোড় দেখতে পাই। যদিও অতিমারির কারণে গত দুবছর নতুন বর্ষ পালনে তেমন ঘটা ছিল না। এবার পরিস্হিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় পুরনো আমেজে অনেকেই বাংলা নববর্ষ পালনের আনন্দে সামিল হয়েছিলেন। শিশুরা 'আমরা'য় আনন্দ খুঁজে, 'আমরা সবাই রাজা' বলতে ভালোবাসে। প্রতিটি শিশুর ভাগ্যে আনন্দের ভাগ বরাদ্দ হোক সেটাই একান্ত চাওয়া। নতুন বছর সবার জন্য স্বস্তিময় হোক। বর্তমান পরিস্হিতি আপাত স্বাভাবিক মনে হলেও কোভিড কিন্তু পাততাড়ি ঘুটিয়ে পালিয়েছে এমনটা নয়। কাজেই নিজেদের নিরাপদ এবং সুস্হ রাখতে স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলায় অবহেলা করলে চলবে না। বরাবরের মতো এবারের সংখ্যায় শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও লিখেছেন। আয়োজনের লেখাজোকা পড়ে/দেখে বন্ধুদের ভালো লাগবে আশা করছি। আমাদের এই আয়োজন মূলত শিশুদের ঘিরে, আমরা চাই আরো বেশি সংখ্যক শিশু 'শিশুকাগজে' অংশ গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠুক। অভিভাবকদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা আশা করছি। চৌদ্দতম সংখ্যায় যারা লিখেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভালোবাসা...

শ্যাডো থিয়েটার: দেবাঙ্গনা ব্যানার্জী

Image
  হেনি পেনির গল্প শুনি এসো (লিংকের উপর ক্লিক করতে হবে)   https://youtu.be/7DnqXfAfIH0    

খালামণির নলেজবাক্স: ফাহ্‌রিয়াল রহমান

Image
খালামণির নলেজ বক্স   ২০২২ সাল এলো, দেখতে দেখতে তিনটা মাস কতরকম আনন্দ উৎসব আর বেদনার মধ্য দিয়ে চলে গেলো। ডিসেম্বর -জানুয়ারি মাস মানেই আনন্দমুখর মাদকতাময় পরিবেশ চারিধারে।এই দুই মাস জুড়ে সবচেয়ে বেশি আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যেমন বিয়ে শাদী, বিভিন্ন রকমের মেলা, ভ্রমন বিলাস আরো কত কী।

সুফি দানিয়ুবের আঁকাআঁকি

Image
 

আমার জগৎ: ওয়ারিশা মানহা

Image
    আমি ওয়ারিশা মানহা। ক্লাস থ্রিতে পড়ছি সানিডেল স্কুলে। এটা ঢাকার ধানমন্ডিতে।আমি প্রতিদিন স্কুলে যেতে খুব পছন্দ করি। আমার অনেকগুলো বন্ধু আছে। ওদের সাথে খেলা করতে, গল্প করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হলো আফ্রা। মারসিহা, ফাইজা, রিয়াসাত, আয়াতও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।

আমার জগৎ: অন্বয় হামিদী

Image
আমার নাম অন্বয় হামিদী। আমি চট্টগ্রামের অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি। এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সহশিক্ষা রয়েছে। আমি ছবি আঁকার পাশাপাশি হস্তশিল্পের কাজও করতে পছন্দ করি। এর আগে শিশু কাগজে আমার কিছু হস্তশিল্প প্রকাশ করেছেন। কয়েকদিন আগে আমি এটিএম বুথ বানিয়েছি। তাছাড়া আমার গল্প লিখতে ইচ্ছে করে। কয়েকটি লিখেছি। বাবার সাথে প্রতি বছর বইমেলায় যাই। এরই মধ্যে আমি পড়েছি ‘বিজ্ঞান বিচিত্রা ৮'।মাঝে মাঝে বাবার লাইব্রেরি থেকে নিয়ে ইংরেজি বইও পড়ি।  

মণিষা দাশগুপ্তের গল্প: কুঁড়ি থেকে ফুল

Image
  কুঁড়ি থেকে ফুল   স্যার এই সনদপত্র গুলো সত্যায়িত করে দেবেন?  চোখ তুলে তাকাবার সময় নে ই। ছেলেটির বিনীত অনুরোধে তার দেওয়া কাগজগুলোতে চোখ বুলাতে বাধ্য হলাম।সনদপত্রে র আসল কপি চেয়ে ছেলেটির মুখের দিকে তাকাতেই তার শান্ত অথচ উজ্জ্বল চোখ দুটোতে মন আমার কাকে যেন খুঁজে বেড়াতে থাকে। 

অহংকারী ময়ূর- অনুবাদ: তাবাসসুম নাজ

Image
অহংকারী ময়ূর অনেক অনেক দিন আগের কথা। একবার পৃথিবীর সব প্রাণীরা একত্রিত হয়েছিল। অনেক গুরুগম্ভীর আলোচনা শেষে তারা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বনের পশুরা ঠিক করল যে সিংহ হবে তাদের রাজা। সমুদ্রের প্রাণীরা তিমিকে বেছে নিল আর আকাশের পাখিরা মনোনিত করল রাজহাঁসকে। এরপর বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেল। রাজহাঁসের ঘরে জন্ম নিল এক রাজকুমারী। রাজকুমারীর পালক রাজহাঁসের চাইতেও সুন্দর আর উজ্জ্বল ছিল। রাজকুমারী যখন ছোট, তখন রাজহাঁস তাকে বলল --- কন্যা, তুমি যা চাইবে, তোমাকে আমি তাই দিব। বড় হয়ে রাজকুমারী বাবাকে আগের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলল --- বাবা, আমি আমার স্বামী নিজেই বেছে নিতে চাই। --- বেশ তো। বলল রাজহাঁস। রাজহাঁসের আহ্বানে রাজ্যের সব পাখিরা একে একে জড়ো হতে থাকে। ঘোষণা দেয়া হয় যে রাজকুমারী তাদের মধ্যে থেকে নিজের পছন্দমত সঙ্গী নির্বাচন করে নিবে। দেখতে দেখতে বিল ভরে উঠল নানান প্রজাতির পাখি দিয়ে। সবার কলতান দূর দূরান্ত থেকে শোনা যেতে লাগল। তাদের মধ্যে সাদা রাজহাঁস, কালো রাজহাঁস, ঈগল, প্যাঁচা, ফিঙ্গে, চড়ুই, কোকিল, হামিংবার্ড, নীলকন্ঠি, মাছরাঙা, টিয়া, লাভবার্ড, ধনঞ্জয় সবাই ছিল। পরদিন রাজসভায় সবাইকে একত্...

দোলা সেনের গল্প: মায়াকানন

Image
মায়াকানন   সেই যে ছিল এক রাখাল ছেলে? না গো না, সে মোটেই বাঁশি বাজাতে পারত না। আচ্ছা সব রাখালকেই বাঁশি বাজাতে জানতে হবে এমন কথা কে বলেছে বাপু?তা বাঁশি বাজাতে না পারলেও, তার গানের গলাটি ছিল ভারি মধুর। তার বাবার শতেক গরু, হাজার মোষ। রাজার ঘরে সে দুধ দেয়। সেই রাখাল ছেলে অনেক সঙ্গীসাথী নিয়ে রোজ গরু চরাতে যায়। মাঠে ঘাটে তার গান শুনে আকাশের পাখি ওড়া ভুলে মাটিতে এসে বসে। বনের হরিণ ঘাস খাওয়া ছেড়ে কান সোজা করে দাঁড়িয়ে যায়। গরু মোষগুলো চরতে চরতে সব ভুলে শুয়ে বসে রোদ পোহায়।

ময়ূরী মিত্রের তিনটি গল্প

Image
  ১. কাপড় খোল মা স্বাধীনতার পর থেকে ভারতবর্ষে মূক বধিরদের ভাষা বা কথা জোগানোর পদ্ধতি নিয়ে সাতসতেরো মত তৈরি হয়েছে। হচ্ছেও। তর্কটাকে এখন আর অভিমতের দ্বন্দ্ব বলে মনে হয় না । বধির শিশুর বিশেষ প্রশিক্ষক হিসেবে এইসব মতামতের ভিন্নতাকে এখন সেরফ মর্জির ঝঞ্ঝাট বলেই মনে হয়।

২.

 

শিহান রিশাদের ভিডিওগ্রাফি

Image
  মেঘ আর চাঁদের লুকোচুরি সেদিন পূর্ণিমা ছিল। বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাঁদটা দেখার চেষ্টা করছিলাম অনেক কষ্টে। আশেপাশে সব উঁচু দালান। আকাশটা ঢাকা পড়ে আছে। সেই ফাঁকে অনেক কষ্টে চাঁদটা খুঁজে পাওয়া গেল। কী সুন্দর, কী অপরূপ সুন্দর জ্যোৎস্না। আমি তাড়াতাড়ি বাবার মোবাইলটা নিয়ে ক্যামেরা তাক করলাম। মেঘের ফাঁকে সেই জ্যোৎস্না কী অপরূপ দৃশ্য।। (ভিডিও দেখতে ছবিতে ক্লিক করতে হবে)

অনিন্দিতা গোস্বামী'র ধারাবাহিক উপন্যাস: অবাক পৃথিবী

Image
অবাক পৃথিবী পর্ব পাঁচ জ্যাকলিন বাবার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল, আর কতক্ষণ আমরা এভাবে আকাশে ঘুরপাক খাবো বাবা? আমার শরীর খারাপ করছে।

ফয়েজ শারফুদ্দিন আহমেদের ছড়া: সমস্যায় অহনা

Image
  সমস্যায় অহনা কে মেরেছে, কে ধরেছে,কে দিয়েছে গাল, তাই অহনা রাগ করেছে ভাত খায়নি কাল। রাগের চোটে অহনাসোনা অনলাইনে গিয়ে,  ঢাউস একটা পিজ্জা আনার অর্ডার দিলো দিয়ে।  সেই সাথেতে আরো আনায় চিপস ও চিকেন ফ্রাই এসব কিছু গিলতে গিয়ে হয় যে গলা ড্রাই। গলা থেকে নামাতে সেসব খেলো কয়েক ঢোঁক, ফালুদা আর লাচ্ছি সাথে আধা বোতল কোক।।    কেনো মারোনি, কেন ধরোনি, গাল দাওনি আজ? সেই কারণে অহনামণির মাথায় রাগের ঝাঁঝ। এমন হলে কেমন করে অজুহাত সে পাবে, ক্যামনেইবা অহনাসোনা অনলাইনে যাবে?? !!

গৌতম বিশ্বাসের ছড়া: পরান মাঝি

Image
  পরান মাঝি  এই তো সেদিন পরান মাঝি একলা গভীর রাতে, চুপটি করে শুয়েই ছিল ঘাটবাঁধা নৌকাতে। রাতটা ছিল বেজায় কালো আঁধার দিয়ে ঢাকা, জন মনিষ কেউ ছিল না ঘাটটা পুরোই ফাঁকা। সেদিন ছিল ভূতের বিয়ে শ্যাওড়া গাছের ডালে, পরান মাঝি ফেললো দেখে সেইদিনই ফাঁকতালে। তারপরে যা হওয়ার হল বাঁধলো মাথায় গোল, কেমন যেন হয়েই গেল ভুললো মুখের বোল। এখন কেবল চুলকে মাথা এদিক ওদিক চায়, মানুষটা যে পরান মাঝি সেটাই চেনা দায়।।

সুফি দানিয়ুবের ছড়া: রাতের ছন্দ-ছবি

Image
  রাতের ছন্দ-ছবি এই তো এলো রাত আকাশ-ঘরের ছাদ যায় না দেখা কিছু ভয় নিয়েছে পিছু কিন্তু আমি আছি বাবার কাছাকাছি বাবা বলল, ‘দেখো, আকাশটাকে আঁকো।’ তারাগুলো ভালো চাঁদের আছে আলো আঁকতে বসি ছবি ভর করল কবি বসে বসে ভাবি খাচ্ছি শুধুই খাবি হঠাৎ মনে আসে তারার পাশে পাশে ছন্দ ভেসে যায় রঙের পাখনায় !