খালামণির নলেজবাক্স: ফাহ্‌রিয়াল রহমান

খালামণির নলেজ বক্স

 

২০২২ সাল এলো, দেখতে দেখতে তিনটা মাস কতরকম আনন্দ উৎসব আর বেদনার মধ্য দিয়ে চলে গেলো। ডিসেম্বর -জানুয়ারি মাস মানেই আনন্দমুখর মাদকতাময় পরিবেশ চারিধারে।এই দুই মাস জুড়ে সবচেয়ে বেশি আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যেমন বিয়ে শাদী, বিভিন্ন রকমের মেলা, ভ্রমন বিলাস আরো কত কী।
ফেব্রুয়ারিতে সবকিছুর পরেও থাকে একটা চিনচিনে ব্যথা, বেদনার সুর।
 

আর মার্চ ও এপ্রিল মাস!

 

হুমম এবার তোমাদের পালা দেখি তোমরা কে কী জানো এ দুইমাস সম্পর্কে। মনে মনে একটু ভেবে নাও তুমি আসলে কতটুকু জানো। আমি নিশ্চিত তিনটা দিবসের নাম তোমরা অনেকেই চটপট বলে দিতে পারবে। তারপর আর মনে করতে পারছোনা হয়তো। জানা হয়নি, তাই না? কোনো ব্যাপার না, আজই আমরা জানার চেষ্টা করবো মার্চ এবং এপ্রিল মাস কেন বিশেষ মাস।
 

# প্রথমত মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবসের (২৬ মার্চ) মাস।
 

# ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস।
 

# জাতির জনকের জন্মদিন- ১৭ মার্চ। এ দিনটিকে ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশের শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
 

# পতাকা উত্তোলন দিবস -২৩ মার্চ
 

# জাতীয় পতাকা দিবস - ২ মার্চ
 

এছাড়াও আরো অনেক গুলো জাতীয় দিবস আছে এ মাসে। যেমন - টাকা দিবস, বিমা দিবস...।
আন্তর্জাতিক দিবসের মধ্যে আছে
 

# নারী দিবস -৮ মার্চ
 

# মাসের দ্বিতীয় সোমবার - কমনওয়েলথ দিবস।
 

বিশ্ব কিডনি দিবস,বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস, কর্ণ দিবস, বিশ্ব বই দিবস শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে পালন করা হয় এমাসে।
 

এখন চলছে এপ্রিল মাস ।

 

 বছরের সবচেয়ে প্রিয় আর আনন্দঘন দিনটি আছে এই মাসে।
 

# এপ্রিল মাসে বাঙ্গালীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন পহেলা বৈশাখ।
# ১৪ই এপ্রিল বাংলা বছরের প্রথম দিন দিনকে আমরা নানা রঙে, নানা ঢঙে, নিজেদের উজাড় করে লাল-সাদায় সাজিয়ে বরণ করে নেই।
নতুন বছরকে আনন্দ উৎসবে বরণ করে নেওয়ার রেওয়াজ সেই প্রাচীনকালের।
# গবেষকরা বলছেন, এই রীতি প্রায় চার হাজার বছরের পুরোনো।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত আনন্দ সুরে জেগে উঠে বাংলাদেশ, সেদিন ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় বর্ষবরণের গীত।
রাজধানী ঢাকায় অন্যতম আকর্ষণের মধ্যে ছায়ানটের বর্ষবরণ বন্দনা ও চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা ।
 

# এছাড়াও এই মাসে আছে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস, জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস, মুজিবনগর দিবস এর মত দিবস গুলো।
 

 মোটামুটি অনেকটাই জানা হলো, তবে সবই যে তোমাদের মনে রাখতে হবে তা নয়, যে দিবস গুলো সাধারণত আমাদের দেশে মহাসমারোহে পালন করা হয় সেগুলো মনে রাখলেই আপাতত তোমাদের জন্য যথেষ্ট।
 

প্রতিদিনই অসংখ্য ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে। কিছু ঘটনা হয়তো আমাদের চোখে পড়ে কিছু ঘটনা এড়িয়ে যায়। মিডিয়াগুলো আমাদের জানান দেয় দেশ ও বিশ্বে এই মুহূর্তে কি ঘটে চলেছে। পত্রিকার পাতা উল্টালে অথবা‌ টিভিতে যে কোন চ্যানেলে এখন নিশ্চয়ই তোমরা দেখতে পাও রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধের খবর, আফগানিস্তান, সিরিয়া .... আর করোনার খবর তো রয়েছেই। বয়সভেদে এসব খবর আমাদের কিছু কিছু জানা থাকতে হবে বৈকি। এগুলো জানা না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে হয়। সময় ও পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কিছু খবর এবং এসব খবর সঠিকভাবে জানা থাকা টা হচ্ছে একজন আপডেটেড, ইনফরমেটিভ মানুষের পরিচয়। সবসময় আপডেটেড বা বর্তমান খবরা খবর রাখার গুণ কিন্তু ভবিষ্যতে খুবই সুফল বয়ে আনে। আরেকটি বিষয় আমরা ইদানিং খুবই জোর দিয়ে থাকি তা হলো কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ। তোমার বন্ধু, সহপাঠি অথবা তোমার চারপাশের পরিচিত মানুষগুলোর সাথে একটা সেতুবন্ধন গড়ে নিতে চেষ্টা করবে।
 

ভালো ভালো বই পড়বে নিজে জানবে অন্য কেউ জানাবে।অন্যকে ভালো বই পড়তে উৎসাহ দিবে। বাসায় অথবা স্কুলে যে নীতিশিক্ষা দেওয়া হয় তা যথাযথ ভাবে মেনে চলার চেষ্টা করবে। আমার বিশ্বাস এভাবেই গড়ে উঠবে আমাদের দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিশুটি।