অদিতি ঘোষ দস্তিদারের গল্প:

নীল সায়রের নীরব ব্যথা







বাড়ি জুড়ে হই হই। দাদু দিদাকে পর্যন্ত মামা মামি নিয়ে এসেছেন সেই হাওড়ার আন্দুল থেকে টানা গাড়িতে। জামশেদপুর থেকে পিসি পিসেমশাই। বন্ধুরা আসবে সন্ধেবেলা। সুমনদের দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার বাড়ি এখন একেবারে সরগরম। 

কাল সকালেই ট্রেন। হাওড়া থেকে মুম্বাই। ক্লাস শুরু হতে কয়েকদিন বাকি। মুম্বাইয়ে দিদির বাড়িতে দুদিন থেকে তারপর কলেজ ক্যাম্পাসে গোয়ায়। এই কলেজটা সুমন বেছেছে বলে ঠাকুমা খুব খুশি। খানিকটা নিশ্চিন্তও। আদরের নাতি এই প্রথম বাড়ি ছেড়ে কোন বিদেশ বিভুঁইতে গিয়ে পড়বে -তবু তো দিদিটা মোটামুটি কাছাকাছি থাকবে। সিনেমার পোকা ঠাকুমা জানেন, ‘বম্বে থেকে গোয়া’ বাসে করেই যাওয়া যায়!

সুমনের গোয়ার কলেজটা নির্বাচনের কারণ অবশ্য আলাদা। সে কথা জানে শুধু ওর ঘরের বন্ধুরা।

সুমন এখন দোতলায়। কানে আসছে একতলার বসার ঘর থেকে নানান কথাবার্তা!

"সত্যি ছেলেটা বড় হয়ে গেল! ওকে নিয়ে বড্ড চিন্তা ছিল!" বাবার গলা।

"একটুও পড়াশোনায় মন ছিল না, বিশেষ করে ও যে কোনদিন বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে আমরা ভাবিওনি। টেনেটুনে পাশ করত তো নাইন পর্যন্ত।"

মায়ের কথা কাটল পিসিমণি, "তোমরা বড্ড অধৈর্য হয়ে পড়েছিলে। আসলে দিদিটা লেখাপড়ায় এতো ভালো বলে সমুটার চাপ ছিল! সবার কি বোধ এক সময় হয়? আচ্ছা, এখন তো শান্তি ! নাও মিষ্টি খাও!"

দোতলা থেকে মুখ বাড়িয়ে সুমন দেখল মায়ের মুখে একটা গোটা রাজভোগ!

মায়ের গোলগাল মুখটা আরো ফুলে উঠেছে। বুকের ভেতরটা একটু মুচড়ে উঠল। কতদিন মাকে দেখতে পাবে না এবার।

কিন্তু না! মন খারাপকে পাত্তা দিলে হবে না। যে কাজে যাচ্ছে তাকে মনপ্রাণ ঢেলে সফল করতে হবে।

একটু পরেই বন্ধুরা এসে যাবে হইহই করে। এখন দোতলাটা একদম ফাঁকা। তাই এইবেলা ওকে কথাবার্তা সেরে নিতে হবে।
 
সেদিনের ঘটনাটা গতকালের মতোই স্পষ্ট সুমনের কাছে। নাইনের হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছিল। বাড়িতে মা বাবা তখনও কাজ থেকে ফেরেননি। দিদি ইউনিভার্সিটিতে, বাড়িতে শুধু ঠাকুমা।

ভারী মন নিয়ে চুপি চুপি দোতলায় উঠে এসেছিল সুমন।

প্রত্যেকবার পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পরে সুমন প্রতিজ্ঞা করে ভালো করে পড়ার - কিন্তু দুদিনেই সেই শপথ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়! তাই রেজাল্ট বেরোবার পর নিজের ওপর রাগ হচ্ছিল! ঘরের মেঝেতে বসে হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসেছিল চুপচাপ। হঠাৎ কানে এল ফিসফিসে কথাবার্তা।

"এতো মনখারাপ কেন?"

চারদিকে তাকাল সুমন। কেউ কোত্থাও নেই। নিস্তব্ধ চারদিক। শুধু অ্যাকোরিয়ামে জলের বুড়বুড়ির হালকা শব্দ, খেলে বেড়াচ্ছে তিনটে মাছ।

খানিকপর আবার একই প্রশ্ন।

নাহ! কেউ নেই!

এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে হঠাৎ চোখ পড়ল অ্যাকোরিয়ামের দিকে। সামনের দিকের কাচে মুখ ঠেকিয়ে আছে তিনটে মাছই।

ওরাই কি তাহলে কথা বলছে? চোখ রগড়ে আবার তাকাল সুমন।

"পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে বুঝি?"

কোনো ভুল নেই আর! মাছগুলোই! কিন্তু ওরা কী করে ...

সাতপাঁচ না ভেবে উত্তর দিয়ে চলে সুমন, "আমার অঙ্ক করতে ভালো লাগে না, বিজ্ঞানও ঘোর অপছন্দের - শুধু ভালো লাগে গল্প পড়তে আর শুনতে - আর গেম খেলতে। বাংলা ইংরিজি ইতিহাসে উৎরে যাই কিন্তু রেজাল্ট তো সব মিলিয়ে...”

"আমাদের ভালোবাসো তুমি?” সবচেয়ে সুন্দর পাখনাওলা মাছটা বলে ওঠে। ওটা বাকিদু্টোর চেয়ে ছোট।

"বাসি না বুঝি? বাবা মা তো তোমাদের জন্যে ওই প্যাকেটের কমলা রঙের খাবার এনে রেখেছেন -কিন্তু জানি তোমরা ওগুলো খেতে ভালোবাসো না - তাই তো আমি স্কুল থেকে বেরিয়ে কতটা ঘুরে হেঁটে সপ্তায় দুদিন রবিকাকুর দোকান থেকে কেঁচো নিয়ে আসি। জানো কি তা?"

"জানি তো। তুমি আমাদের মনের মত খাবার দাও -তোমার বাবা জল নিয়মিত পরিষ্কার করে দেন-তাই আমরা এখানে মোটামুটি ভালোই আছি - কিন্তু আমাদের মনে শান্তি নেই জানো -সারাক্ষণ ভাবি আমাদের জাতভাইদের কথা- সমুদ্রের তলার অবস্থার কথা.."

সুমনের মনকেমন করে উঠেছিল। সত্যিই তো ওরা এখানে একেবারে একা!

"বুঝি তোমাদের মনের ব্যথা, কিন্তু তোমরা চলে গেলে যে আমার খুব মনখারাপ হবে, প্লিজ তোমরা যেও না আমায় ছেড়ে!"

"না গো, আর আমাদের ফেরা হবে না- আসলে কতবার হাত বদল হয়ে যে তোমার কাছে এসে পৌঁছেছি - তাই কোথা থেকে যে প্রথম আমাদের তোলা হয়েছিল এখন ভুলে গেছি।”

"তোমরা তো তাও ঘেরা জায়গায় ছিলে গোড়া থেকে - অনেক যত্নে তোমাদের জন্ম আর বেড়ে ওঠা - আমার কথা ভাবো তো!" পাখনাওলা মাছটার গলায় গভীর বেদনার সুর।

“ঘেরা জায়গায় থাকলে এমনিতে অনেকটা নিশ্চিন্ত সেটা ঠিক। কিন্তু আমরা কখনও পুরোপুরি মুক্তির আনন্দ পাইনি সেটা তো মানবি!” বড় মাছদুটোর একটা বলে ওঠে।

“আমাদের জীবনেও কোন আনন্দ ছিল না গো! নিজেদের তো ভয় সব সময়, তার ওপর যখন দেখি আমাদের ধরার জন্যে সমুদ্রের জল নষ্ট হচ্ছে, অন্য প্রাণিগুলো কষ্ট পাচ্ছে - বুক ফেটে যায়!”

"সত্যি রে, তোর কথা শুনে আমাদের চিন্তা আরো বেড়ে যায়! কী নিদারুণ অবস্থা সাগরের নিচের!"

সুমন এতক্ষণ চুপচাপ শুনে যাচ্ছিল মাছেদের কথোপকথন। অর্ধেক জিনিসই ঠিকঠাক বুঝছে না।

এবার প্রশ্ন করে উঠল, “কেন তোমরা সব এক জায়গা থেকে আসোনি!"

“ধুস, তুমি দেখছি কিছুই জানো না! কম্পিউটারে বসে শুধু গেম না খেলে একটু জগতের কথা জানতে পারো তো না কি ?” ধমকের সুর সবচেয়ে বড় মাছটার গলায়।

"থাক ওকে আর বকে কী হবে। কটা লোকই বা জানে বা জানতে চায় আমাদের দুঃখের কথা...”

সুমন লজ্জা পেয়েছিল – তবুও জানতে চেয়েছিল, “বলোই না তোমাদের কথা! শুনতে চাই!"

“এই পুঁচকেটা যা কষ্ট পেয়েছে তা বলার নয়!”

“সত্যি? কী কষ্ট গো?”

“তুমি কি জানো আমাদের ধরতে সায়ানাইড দেয় জলে!” ছোটমাছটার কান্নাভেজা গলা।

"সায়ানাইড? সে তো বিষ!"

"হ্যাঁ, খুব বিষাক্ত!

'কেন দেয়? মাছ মরে যায় না?"

“কিছু কিছু যায়, কিন্তু বেশির ভাগ ঝিমিয়ে পড়ে আর তখনই ধরে ওদের। কিন্তু এই সায়ানাইডের প্রভাব অনেকদিন থাকে, আমরা খেতে পারি না, সারা শরীর অবসন্ন থাকে, সে যে কী কষ্ট! আবার অনেক মাছ ধরা পড়ার ভয়ে লুকিয়ে পড়ে প্রবাল দুর্গে, কিন্তু সেখানেও অনেক সময় বাঁচে না আর তার ওপর প্রবাল দুর্গের ভীষণ ক্ষতি হয় সায়ানাইডে!”

"আহা রে! এগুলো বন্ধ করা যায় না?

“নিয়ম অনুযায়ী সায়ানাইড ব্যবহার নিষিদ্ধ, কিন্তু গোপনে কত হয় তার খবর কে রাখে?”

“তাই ঘেরা জায়গা করে আমাদের রাখলে বা ব্রিডিং করালে এইসব কাণ্ড ঘটে না!” বড় মাছেদের বক্তব্য!

চুপ করে রইল সুমন। জঙ্গলের পোচারদের কথা সে জানে। সেরকমই ব্যাপার স্যাপার আর কী!

“সত্যি এসব কথা তো আমার একেবারেই জানা ছিল না। কিন্তু কেউ কি নেই তোমাদের সাহায্য করে? তোমাদের কথা ভাবে?”

“করছে গো. কিন্তু আরো মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু অ্যাই, তুমি যে এতো প্রশ্ন করছ, এতো কথা বলছি তোমাকে, তুমি তো দুদিন পরেই সব ভুলে যাবে আর পড়ায় ফাঁকি দেবে তাই না? তোমার তো বিজ্ঞান পড়তে, অঙ্ক করতে ভালোই লাগে না!”

মাথা হেঁট করল সুমন। তারপর আস্তে আস্তে বলল, “তোমাদের ব্যাপারে জীবনবিজ্ঞান আসছে কিছুটা, কিন্তু অঙ্ক আসছ কোথায় ঠিক বুঝছি না।”

“আছে গো আছে! বিরাট অঙ্কের সূত্র মেনে চলে সাগরের প্রাণীরা, কিন্তু মানুষ নষ্ট করে দিচ্ছে সেই আদিকাল থেকে চলে আসা নিয়ম!”

“কেমন সূত্র গো? আমার অবশ্য সূত্র পড়তে একদম ভালো লাগে না। কিন্তু তোমাদের কথা শুনে জানতে ইচ্ছে করছে।”

“তাহলে তোমার আর জেনে কাজ নেই! আর সব কি আমরা বলে দেব? স্কুল থেকে এসেই তো গেম খেলতে বসো, আর পটাপট মারো একে তাকে, সবই দেখতে পাই, শুনতে পাই। ওই কম্পিউটারেই একটু খুঁজলে পাবে মানুষে কেমন সাগরের নিয়মের অঙ্ক ভেঙেছে...”

"অন্ধকারে বসে বসে কী করছিস? মা ঘরে আলো জ্বালিয়ে জিজ্ঞেস করতে সুমন চমকে উঠেছিল সেদিন।

তারপর চোখ পড়েছিল অ্যাকোরিয়ামের দিকে। মাছ তিনটে এখনো সামনের কাচে মুখ দিয়ে স্থির হয়ে আছে।

সুমন উঠে আলো জ্বেলে দিয়েছিল অ্যাকোরিয়ামে।

বিশ্বাস করতে মন চাইছিল না কিন্তু একটু আগে শোনা কথাগুলো মন থেকে উপড়ে ফেলতেও পারছিল না।

তাই রাতেই বসেছিল কম্পিউটারে সমুদ্রের কী নিয়ম মানুষে ভেঙেছে খুঁজতে।

ইন্টারনেটে একটু সার্চ করতেই জেনেছিল অনেক কিছু।

সমুদ্রের ভারী মজার নিয়ম ছিল আদি অনাদি কাল জুড়ে।

সাইজ অনুযায়ী সংখ্যা - মানে যে প্রাণী যত ছোট সাইজের হবে তার সংখ্যা তত বেশি হবে। ক্রিল বলে একটা মাছ টুনা মাছের থেকে কোটি ভাগে ছোট কিন্তু কত বেশি তার সংখ্যা টুনার থেকে? কোটি গুণ!

বেশ মজার ব্যাপার তো! আগ্রহ বেড়ে গেছিল সুমনের। জানতে ইচ্ছে করেছিল আরো!

অদ্ভুত একটা অঙ্কের নিয়ম। এক বালতি সমুদ্রের জল তুললে দেখা যায় তিনভাগের একভাগ মাছ যদি এক থেকে দশ মাইক্রোমিটারের মধ্যে হয় তো আর একটা তিনভাগের একভাগ মাছ হবে দশ থেকে একশো মাইক্রোমিটারের মধ্যে আর শেষ তিনভাগের একভাগ- একশো মাইক্রোমিটার থেকে এক মিলিমিটার। মানে ছোট থেকে বড় হিসেবে সাজালে মাছগুলো যেই একটা থেকে আর একটা গ্ৰুপে যাচ্ছে ওজন বেড়ে যাচ্ছে দশগুণ কিন্তু সংখ্যায় কমে যাচ্ছে দশভাগের একভাগ।

এই ভাবেই ছোট থেকে বড় সবার মোট ওজন কিন্তু সমান থাকে। সোজা কথায় বললে ছোট মাছের ওজন আর সংখ্যা গুণ করলে যা পাওয়া যাবে বড় মাছ যেমন হাঙ্গর তার সংখ্যা আর ওজন গুণ করলে এই একই ফলাফল পাওয়া যাবে।

ভারী মজা তো! কিন্তু একটু পরেই সুমন যা দেখল তাতে মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেল।

কিন্তু আজ প্রায় ৫০-৬০ বছর ধরে সেই নিয়ম আর বজায় থাকছেনা। ক্রমাগত বড় মাছগুলোকে মেরে ফেলার ফলে বড় মাছেদের ওজন আর সংখ্যার গুণফল ছোট মাছেদের সংখ্যায় আর ওজনের গুণফলের সঙ্গে সমান থাকছে না। ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ এক বিরাট চিন্তার বিষয়!

বিষয়টা পড়তে পড়তে সুমন সেদিনই জেনেছিল মেরিন সায়েন্টিস্টদের কথা আর বেশ কিছু কাজ। অনেক রাত হয়ে গেছিল। শোবার সময় আবার মাছেদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল সুমন। বলেছিল, “চেষ্টা করব প্রাণপণ তোমাদের বন্ধুদের থাকার জায়গাটা ভাল করে রাখতে।”

এরপর থেকে কেমন যেন নেশায় দাঁড়িয়ে গেছিল সাগরতলের অজানা কাহিনী জানার।

ইচ্ছে হয়েছিল স্কুল শেষ করে মেরিন বায়োলজি পড়ার। কিন্তু সেখানে চান্স্ পাওয়া সহজ কথা নয়। তার জন্যে চাই বিজ্ঞান আর অঙ্কে দক্ষতা।

পড়াশোনায় মন ঢেলে দিয়েছিল সুমন। বাড়ির সবাই অবাক হয়ে গেছিল। কিন্তু পড়াশোনার ফাঁকে রাতে একটু হলেও সাগরতলের খবর না নিলে চলত না।

সেভাবেই একটা আর্টিকেল থেকে জেনেছিল রেডলাইন টরপেড বার্বের কথা। আদুরে নাম মিস কেরালা। এই সুন্দর মাছটা শুধু ভারতের পশ্চিমঘাট উপকূলে পাওয়া যেত। সৌন্দর্যের জন্যে খুব আদরের ছিল অ্যাকোরিয়ামপ্রেমী মানুষের কাছে, তাই তাকে ধরাও হচ্ছিল প্রচুর। তাই মোটে পঁচিশ বছরের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে মাছটা। এখন নাম লিখিয়েছে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায়।

পরিশ্রম সার্থক হয়েছে, স্বপ্ন পূরণ হয়েছে মেরিন বায়োলজি পড়ার।

গোয়া তো পশ্চিম উপকূলেই। তাই সেখানে পড়তে গেলে এই মাছেদের কি দেখা যাবে? তারপর ঠিকঠাক শিক্ষা নিয়ে যত্ন নিয়ে করা যাবে কি আরো বিলুপ্ত হতে বসা মাছেদের বংশবৃদ্ধি? কে জানে! শুধু অপেক্ষা। তবে সুমন ওর ঘরের মাছবন্ধুদের কথা দিয়েছে সাগরের বুকে যে জমাট বাঁধা বেদনা রয়েছে তা তার সাধ্যমত সরাবার চেষ্টা করবে। আরো মানুষকে নিয়ে আসবে, সচেতনতা বাড়াবে।

কাল সকালে একদম সময় হবে না । তাই সবাই চলে আসার আগে একটু মাছবন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার জন্যে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করল সুমন।





মিস কেরালাঃ ছবিঋণ অন্তর্জাল

Comments

  1. অদ্ভুত সুন্দর তথ‍্যসমৃদ্ধ একটি গল্প। ছোটদের উপযোগী করে যে এভাবে সমুদ্রের অঙ্ক বোঝানো যায়!! আমরা বড়রাই বা ক'জন এসব জানি!! খুব ভালো লাগল অদিতি...

    ReplyDelete
  2. লেখাটা যে শুধুমাত্র কিশোর উপযোগী গল্প সেটাই না। বড়দের জন্যও একটা খুব সুন্দর শিক্ষা মূলক গল্প। খুব ভালো লাগলো লেখাটা।

    ReplyDelete
  3. খুব সুন্দর লাগলো অদিতিদি - একদম অন্যরকম ধাঁচের লেখা।
    সঙ্গে একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ভিনদেশী রূপকথা

আতনিন বিন জহির

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা