কীর্তিনাশা নজরুলের ছড়া
পেঁচার কান্না
বিষুদবারে নিশুত রাতে বসে ছিলাম ছাদে
হঠাৎ শুনি শিরিষ গাছে একটা পেঁচা কাঁদে
কি হয়েছে? কাঁদিস কেন? বলছি যখন ডেকে
কাঁদলো আরো ফ্যাঁচ-ফেঁচিয়ে চোখের পানি মেখে
অনেক করে কেঁদে-কেটে বলল - মামা জানো?
ঠিক দশ দিন আগে এক সাঁঝে ছাদে এসে
আমায় ডেকে বলল হেঁকে - আম গাছটা ঘেঁষে
দেখ কি রকম চাঁদ উঠেছে রুপোলি রং মেখে
চাস যদি বল আনবো পেড়ে, দিবি - নিজের কাছে রেখে।
অত্ত বড় চাঁদের লোভে গেলাম আমি মজে
বিল্লি দেখি তখন কী যে এদিক ওদিক খোঁজে
বল্লাম আমি - বিল্লি মামু দাও না তবে পেড়ে
তোমার জন্য দেব না হয় এই তল্লাট ছেড়ে।
বিল্লি বলে - জায়গা ছাড়ার নেই কোনো দরকার
চাঁদও করুক রাতের বেলা আকাশ পারাপার
আমি কেবল দিচ্ছি তোকে চাঁদের মালিকানা
বদলে আমায় দে দেখি ভাই চারটা ইঁদুর ছানা!
মস্তপানা চাঁদের লোভে দিলাম তাকে তাই
এখন দেখি চাঁদটা আমার আগের মতো নাই
দিনে দিনে হচ্ছে ছোট নেই আর গোলগাল
আলোটাও নেই আগের মতো নিবু নিবু হাল।
পাজি বেড়াল লক্ষ্মি ছাড়া আমায় বোকা পেয়ে
মুলো দিয়ে গেছে আমার ইঁদুরগুলো খেয়ে
এখন, আধভাঙা এই চাঁদটা নিয়ে করবো আমি কী
তাই, ফ্যাঁচ-ফেঁচিয়ে কেঁদে মনের ব্যথা জুড়াচ্ছি !!
বেশ মজার ছড়া , ভালো লাগলো
ReplyDelete