শিশুকাগজ

ইচ্ছে রঙে আঁকি  

 রঙতুলিতে আঁকি

  পেঁচার কান্না           বিষুদবারে নিশুত রাতে বসে ছিলাম ছাদে হঠাৎ শুনি শিরিষ গাছে একটা পেঁচা কাঁদে কি হয়েছে? কাঁদিস কেন? বলছি যখন ডেকে কাঁদলো আরো ফ্যাঁচ-ফেঁচিয়ে চোখের পানি মেখে অনেক করে কেঁদে-কেটে বলল - মামা জানো? বেড়াল আমায় ঠকিয়েছে, ভীষণ ঠকানো!

অবাক  পৃথিবী     প্রথম পর্ব   কার্পেটের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে ম্যাপ পয়েন্টিং করছিল রোরো আর লেখার টেবিলে বসে লিখছিল তার মা ।   হঠাৎ মেঝেটা যেন কেমন সরসর করে উঠলো ,  চমকে তাকালো রোরো ,  মা !  ঘাড় ঘুরিয়ে অরণ্যা দেখল ছেলের দিকে ।   রোরোর চোখে তখন ভয় ,   উত্তেজনা আর খুশি মাখামাখি ।   অরণ্যাও হাসলো ছেলের চোখে চোখ ফেলে ,  বলল ,  হ্যাঁ রোরো ভূমিকম্প !  দেখ গ্লাসের জলটা এখনো কেমন কাঁপছে । রোরো বলল , এসো এসো মা , এখানে এসে বসো , দেখো কেমন উড়ন্ত গালিচার মতো লাগছে ।   ছেলের ডাকে টেবিল থেকে নেমে এলো অনু তারপর দুজনে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল মেঝের ওপর ।   ওমা এতো দারুণ ব্যাপার ,  মনে হচ্ছে তারা যেন শূন্যে ভাসছে , উড়তে উড়তে চলেছে ডানাওয়ালা গরুড়ের মত ।   মুহূর্তকাল ,  তারপরেই ব্যস্ত হয়ে উঠে পড়ল অনু , বলল ,  এতক্ষণ ভূমিকম্প এক্ষুনি বারান্দায় গিয়ে শাঁখ বাজাতে হবে ।   তারপরেই নেমে পড়তে হবে রাস্তায় ।   রোরো যাওতো ঠাকুর ঘর থেকে শাঁখটা নিয়ে এসো ।

শেওড়া গাছের লাল পেত্নী                রোজ ভোরে ঘুম ভাঙ্গে আমার। ভোরের মিষ্টি বাতাস জানালা ডিঙ্গিয়ে চোখে-মুখে আদর বুলিয়ে বলে-ওঠো রুদ্র , আর কত ঘুমাবে! বাইরে কী চমৎকার দিন তোমার জন্য অপেক্ষা করছে! আর একটুকও দেরি না করে স্যান্ডেলে পা গলিয়ে বাথরুমে গিয়ে মুখ ধোয়ার সাথে সাথে ঘুমের আলস্যও ধুয়ে ফেলি। তারপর বাইরের বাতাসের সমুদ্রে ঝাঁপ দিই একটা! আমাদের বাসার সামনে রেল-লাইন ,  সাপের মতো একে-বেঁকে দূর দিগন্তে চলে গেছে। রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করি।ছন্দোময় তালে কাঠের স্লিপার ডিঙ্গাই। রেললাইনের দুই ধারে কত নাম না জানা ঝোঁপ-ঝাড়    বেগুনি ফুল ভরা বিষ কলমি ,  আকন্দ ঝোঁপ। এগুলোর গায়ে আবার সই এর মতো জড়াজড়ি করে আছে স্বর্ণলতা। রেললাইনের ঢালে বড়আঁশ শেওড়া গাছে দুনিয়ার পাখি এসে বসে! কত আশা নিয়ে থাকি ,  শেওড়া গাছটায় যদি একটা ভূত দেখা যায়!   

Beauty of Nature

একটি লাল বাক্সের স্মৃতি মহামারী শুরু হয়নি তখনও।‌ গরমের ছুটিতে এখানকার পাঠাগারে নানা আয়োজন করা হতো শিশুদের জন্য। কখনো যাদুকর আসতো, গানের আসর বসতো, মঞ্চনাটক হতো, আনা হতো হরেক রকম পশু-পাখি, বাচ্চাদের মাঝে ছেড়ে দেয়া হতো বড় কাছিম, একবার চাঁদ থেকে নভোচারীদের সংগ্রহ করে আনা পাথরও দেখানো হয়েছিল। এসবের সাথে যথারীতি চলে বই পড়ার উৎসব। একশ ঘন্টাকে কয়েক ভাগে ভাগ করে, থাকে পুরস্কারের আয়োজন। এই যেমন পঁচিশ ঘন্টা বই পড়ে শেষ করা সব ছেলেমেয়েদের জন্য থাকে উপহার বই, সাথে শহরের কোন এক রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার কুপন। পরের ধাপগুলোতে আরও কিছু চমৎকার উপহার পাওয়ার সুযোগ, লটারী পদ্ধতিতে। পাঠাগারের দুটো আলমারিতে পুরস্কারগুলো পুরো মাস সাজিয়ে রাখা হতো। মনে আছে প্রথমবার যখন গিয়েছিলাম, একটা টুকটুকে লাল ব্লকসের বাক্স মন ছুঁয়ে গেল। আমার মেয়ের তখন পাঁচ মাস বয়স, ব্লকস কিনে দেয়া হয়নি। আমার তিন বছরের বোনপো'র ঘরে ব্লকসের ছড়াছড়ি। কিন্তু বোনকে খেলতে দিতে ভাইমনির মন সবসময় সায় দেয় না। বোনও একরোখা, ব্লকস দেখলেই খেলতে চাইবে। একদিন ওদের বড় মামা পাশে বসে দেখছিল। হঠাৎ দুষ্টুমি করে বললো 'ওর ভাইয়েরা ব্ল...

  ফুটপাতের লোকটা দুপুরের পর থেকে লোকটাকে ফুটপাতে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। দৃশ্যটা বারান্দা থেকে দেখার পর থেকে ছটফট করছে মিহির। বাবাকে কয়েকবার বলেছে। বাবা দেখো একটা লোক ফুটপাতে শুয়ে আছে। এরকম কেউ শুয়ে থাকে? নিশ্চয়ই লোকটার কোনো সমস্যা হয়েছে।  বাবা একবার শুনলো কি শুনলো না আবার কাজে ডুবে গেল।  মিহির খুব বিরক্ত এটা নিয়ে। সে বারান্দা থেকে তাকিয়ে দেখছে লোকটা নড়াচড়া করছে কিনা। লোকটা কী মরে গেল নাকি? ভয়ে আঁতকে উঠলো মিহির।  আবার বাবাকে এসে বললো, বাবা লোকটা মনে হয় মরে গেছে। বাবার টনক নড়লো এবার। তাড়াতাড়ি বারান্দায় এসে নীচের দিকে তাকালো। 

টেবিল ল্যাম্পের হুমকি  আমি একটা টেবিল ল্যাম্প। আমি নাফিসার পড়ার টেবিলে থাকি। আমার আলাদা কোন নাম নেই। আমাকে টেবিল ল্যাম্প বলেই ডাকা হয়।  নাফিসা মেয়েটা চোখে একটু কম দেখে তাই রাতে তো বটেই দিনেও আমাকে জ্বালিয়ে রাখা হয়। দিনরাত ২৪ ঘন্টা খাটিয়ে বিনিময়ে দেয়া হয় কেবল কানটানা। ঘাড় ধরে একবার এদিক ঘোরায় তো আবার ওদিক ঘোরায়। আর সারাদিনে তার টেবিল থেকে ওঠার নাম নেই। 

মৌমাছি মৌমাছি  মৌমাছি, মৌমাছি  কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই। [ভিডিও: শিহান রিশাদ, ৫ম শ্রেণী, ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়, কবিতা: নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের ' কাজের লোক']

অভিধানের কথা ছোটো ছোটো বন্ধুরা শোনো মন দিয়ে - কিছু কথা বলি আজ অভিধান নিয়ে । অভিধান যেন এক শব্দের বাড়ি , সাজানো গোছানো সব আছে সারি সারি । কোনো কথা শুনে যদি না বোঝো মানে - খুঁজে দেখো অভিধানে আছে কোন্ ‌ খানে । পাতা খুলে দেখে নাও যেটা দরকার , অর্থ , বানান আর শব্দের ব্যবহার । মজা পাবে রোজ যদি পাতা ওল্টাও নতুন শব্দ কিছু রোজ শিখে নাও । অনেক নিয়ম আছে বাংলা বানানে , বুঝে যাবে রাখো যদি চোখ অভিধানে । যদি তুমি হতে চাও বড়ো লিখিয়ে , হেলাফেলা কোরো নাকো বানান নিয়ে । ভাষারও সম্মান আছে মনে রাখা চাই , ভুলভাল বানানে লেখা মানা তাই । কাজেই জরুরি শেখা - শুদ্ধ বানান , পড়ার টেবিলে তাই চাই অভিধান ।    

হার - জিত নিশানাটা ভুলচুক না জড়ালে জালে আফসোস রেখা টানে ভক্তের গালে সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দিয়ে দুই দল জয় ঘরে তুলতে থাকে তারা অবিচল মেসি নাকি মারিও তর্কটা চলে আজ নেইমার দিয়াগো মাঠে তারা করে রাজ মুখোমুখি দুই দল আকাশী আর হলুদে ফুটবলে গোল তাই বলে তোরা উলু দে চোখ বেয়ে ভিজে গেল জারসির সবকোণ ঝুঁকে গেল গোল ভারে হলুদের ব্যাকবোন গোল নিয়ে গড়া এই জীবনের জাত ভিত তোকমাটা ঠিকই থাকে নাম তার হার-জিত

 সৃষ্টিশীলতার আনন্দে   কাগজের ব্যাঙ

  খালামণির নলেজ বক্স ছোটোখাটো এক ব্যাগ ভর্তি চকলেট ইনাইনার সামনে মেলে ধরে আইনান।  - আপি চলো দুজনে ভাগ করে নেই। আম্মু বলেছে  যার যেটা পছন্দ সে সেটা নেবে।  বলেই লম্বা টুইক্সের বারটা খপ্ করে তুলে নিলো। ইনাইনা কিছুতেই বুঝতে পারছে না এত্তো চকলেট কোথা থেকে এলো।  - আচ্ছা সেটা দুজনে মিলেমিশে করা যাবে। চকলেট কোথা থেকে এলো?   - আম্মুর ফ্রেন্ড রিমি আন্টির ভাই নিয়ে এসেছেন আমেরিকা থেকে, স্পেশালি আমাদের জন্য । - ও আচ্ছা... এখন সব একজায়গায়  রাখোতো। 

ইচ্ছে রঙে আঁকি ১.

  She The day my brother died started as any other. I woke up, got dressed and went to school as I usually would. The first signs of peculiarity started during my last lesson of the day, my head of year came rushing in, panting. “Ah, Charlie, you need to go home this instant!” she gasped. I knew this was weird; she didn’t even give me any information. All the same I ran home just in time to hear my dying brother’s last words. “She’s waiting in the woods by the school. If you don’t go then she will come to you…” [Author- Parisha Mostafa, aged 13]

Sangskrit Language Sanskrit is a classical language of South Asia belonging to the Indo- Aryan branch of the Indo-European languages. It was the lingua franca of the Indian subcontinent and South and South East Asia for centuries during the classical era. We know Sanskrit is the mother of all Indian language. Because it is the ancestor of Indian languages like Bengali, Hindi,Marathi etcetera. The most ancient form of Sanskrit is Rig Vedic Sanskrit whose contemporary period is from 15th century BCE to 6 th century BCE. After which many new grammatical and phonetical changes occured. Panini's work on Sanskrit improved Sanskrit a lot. Later on Sanskrit evolved into classical Sanskrit over the centuries after Panini. Today, Although Sanskrit is now an almost dead language. But due to some revival efforts, Sanskrit has thousands of speakers. Despite this its legacy lives on through the many languages it gave birth like Bengali, Hindi,Bihari,Maithili,Bhojpuri and many more. It is also an...