ফাহ্রিয়াল রহমানের কলাম
খালামণির নলেজ বক্স
আজ দীর্ঘদিন পর ইনাইনারা সব বান্ধবী এক সাথে হয়েছে। ইনাইনার বেস্ট ফ্রেন্ড সাফিনা'র জন্মদিন উপলক্ষ মাত্র, আসলে একসঙ্গে কিছু সময় কাটানোই মূল বিষয়। বাচ্চাগুলো করোনার কারণে ঘরবন্দী থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে।এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো তাই সাফিনার আম্মু ওর পাঁচ -ছয়জন বান্ধবীকে আমন্ত্রণ করেছেন।
সবাই যেন মুখিয়ে ছিলো এরকম একটা দিনের অপেক্ষায়। হাসি আনন্দে উচ্ছ্বসিত মেয়েগুলোর আনন্দমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে সাফিনার আম্মুর কেনা ওদের ছয় বান্ধবীর একই রকম ফতুয়া।সেটা পরেই সবাই মিলে মজা করে ছবি তুললো, কেক কাটলো। তারপর আবার বসলো আড্ডায়।
শুরুতেই ইনাইনার প্রশ্ন "জন্মদিন পালন কবে থেকে এলো কেউ কি বলতে পারবি?" সবাই অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালো । --- " যার যার জন্মের দিন পালন থেকে এলো এটা আবার না জানার কী আছে!" হাসতে হাসতে এলিনা বলল।
"হুমম! আমিও তাই জানতাম কিন্তু খালামনির কাছে জন্মদিন পালনের ইতিহাস সম্পর্কে জানার পর আমি সত্যি বিস্মিত। ইনাইনার কথা শেষ হতেই " তোর বিস্ময় মানে তো বিশাল ব্যাপার! " ইমির সাথে মাথা নেরে অন্যরাও " হ্যাঁ একদম ঠিক...। "
"আমাদের 'গুগল খালামনি'র কাছ থেকে তুই কী জেনেছিস এবার সেটা শুনতে চাই। "
সাফিনার সাথে অন্যরাও স্লোগান ধরলো যেনো " শুনতে চাই শুনতে চাই .....।"
"আচ্ছা বাবা আমার নোটবুকটা সাথেই আছে বলছি বলছি থাম। "
১##
প্রাচীন মিশরে ফারাওরা যখন সিংহাসনে আরোহন করেন তখন থেকেই মূলত জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে সেই খ্রিস্টপূর্ব ৩,০০০ বছর আগে থেকে।
২##
গ্রিকরাও অনুপ্রাণিত হয়েছিল মিশরীয়দের থেকে । চন্দ্রদেবী আর্টেমিসের জন্মদিনের কেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে কেকটিকে উজ্জ্বল করার বুদ্ধিও গ্রীকদের মাথা থেকে এসেছিল ।
৩##
প্রাচীনকালে মূলত শুধুমাত্র ধর্মগুরু অথবা দেবদেবীদের জন্মদিন পালন করা হতো।
৪##
এই প্রথা ভেঙে রোমের এর জনগণ প্রথম তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জন্মদিন পালন করা শুরু করে।
৫##
ইহুদি ও খ্রিস্টানরা প্রথমদিকে জন্মদিন পালন কে শয়তানের রীতি হিসেবে মনে করত।
৬##
চতুর্দশ শতাব্দীর পর থেকে ঈসা (আ) জন্মদিন পালন শুরু করে খ্রিস্টানরা। প্রথমদিকে ধর্মীয় চরিত্রগুলোর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে সাধারন মানুষেরা কেউ কেউ জন্মদিন পালন শুরু করে।
৭##
তবে তখনো মেয়েদের জন্মদিন পালন করার কোন অধিকার ছিলনা ।
৮##
সাধারণ মানুষের মাঝে কেক কেটে জন্মদিন পালনের প্রথা শুরু হয় শিল্প বিপ্লবের ফলে ।
৯##
ইউরোপীয়দের হাত ধরে সারা পৃথিবীতে জন্মদিন পালন ছড়িয়ে পড়তে থাকে । যা আজ বহুল জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান।
১০##
জন্মদিনের বিখ্যাত গান "হ্যাপি বার্থডে টু ইউ" আসলে প্যাটি হিল ও ম্যাড্রেড হিলের সুর করা "গুড মর্নিং টু অল" গানের সুর ।১৮৯৩ সালে সুর করার পর সুরটি আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয় হয়। অনেক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এ সুরের সাথে "হ্যাপি বার্থডে টু ইউ" কথা জুড়ে দেন প্যাটি হিল আর এভাবেই ভিন্ন একটি গানের সুর পুরো পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত হয়ে যায় জন্মদিনের গানের সাথে।
"হুমম! আমিও তাই জানতাম কিন্তু খালামনির কাছে জন্মদিন পালনের ইতিহাস সম্পর্কে জানার পর আমি সত্যি বিস্মিত। ইনাইনার কথা শেষ হতেই " তোর বিস্ময় মানে তো বিশাল ব্যাপার! " ইমির সাথে মাথা নেরে অন্যরাও " হ্যাঁ একদম ঠিক...। "
"আমাদের 'গুগল খালামনি'র কাছ থেকে তুই কী জেনেছিস এবার সেটা শুনতে চাই। "
সাফিনার সাথে অন্যরাও স্লোগান ধরলো যেনো " শুনতে চাই শুনতে চাই .....।"
"আচ্ছা বাবা আমার নোটবুকটা সাথেই আছে বলছি বলছি থাম। "
১##
প্রাচীন মিশরে ফারাওরা যখন সিংহাসনে আরোহন করেন তখন থেকেই মূলত জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে সেই খ্রিস্টপূর্ব ৩,০০০ বছর আগে থেকে।
২##
গ্রিকরাও অনুপ্রাণিত হয়েছিল মিশরীয়দের থেকে । চন্দ্রদেবী আর্টেমিসের জন্মদিনের কেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে কেকটিকে উজ্জ্বল করার বুদ্ধিও গ্রীকদের মাথা থেকে এসেছিল ।
৩##
প্রাচীনকালে মূলত শুধুমাত্র ধর্মগুরু অথবা দেবদেবীদের জন্মদিন পালন করা হতো।
৪##
এই প্রথা ভেঙে রোমের এর জনগণ প্রথম তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জন্মদিন পালন করা শুরু করে।
৫##
ইহুদি ও খ্রিস্টানরা প্রথমদিকে জন্মদিন পালন কে শয়তানের রীতি হিসেবে মনে করত।
৬##
চতুর্দশ শতাব্দীর পর থেকে ঈসা (আ) জন্মদিন পালন শুরু করে খ্রিস্টানরা। প্রথমদিকে ধর্মীয় চরিত্রগুলোর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে সাধারন মানুষেরা কেউ কেউ জন্মদিন পালন শুরু করে।
৭##
তবে তখনো মেয়েদের জন্মদিন পালন করার কোন অধিকার ছিলনা ।
৮##
সাধারণ মানুষের মাঝে কেক কেটে জন্মদিন পালনের প্রথা শুরু হয় শিল্প বিপ্লবের ফলে ।
৯##
ইউরোপীয়দের হাত ধরে সারা পৃথিবীতে জন্মদিন পালন ছড়িয়ে পড়তে থাকে । যা আজ বহুল জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান।
১০##
জন্মদিনের বিখ্যাত গান "হ্যাপি বার্থডে টু ইউ" আসলে প্যাটি হিল ও ম্যাড্রেড হিলের সুর করা "গুড মর্নিং টু অল" গানের সুর ।১৮৯৩ সালে সুর করার পর সুরটি আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয় হয়। অনেক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এ সুরের সাথে "হ্যাপি বার্থডে টু ইউ" কথা জুড়ে দেন প্যাটি হিল আর এভাবেই ভিন্ন একটি গানের সুর পুরো পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত হয়ে যায় জন্মদিনের গানের সাথে।
অনেক অজানা তথ্য আজ জানা হলো😄
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ
ReplyDeleteOnek ozana kisu zanlam.
Delete