বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
গ্রিপল
ওশিন মাহিয়াত
অনেকক্ষণ স্পেসশিপে বসে থাকতে থাকতে অবশেষে বিরক্ত হয়ে সিট থেকে উঠে কিছুক্ষণ
পায়চারি করল লিয়া। এরপর সে তাঁর সহকারি অ্যালেনকে ডেকে পাঠালো। বলল, "অ্যালেন, তুমি সব মহাকাশচারী কে এক্ষুনি আমার কাছে আসতে
বল। আমি একটা ছোটখাটো মিটিং করতে চাই সবাইকে নিয়ে।" অ্যালেন বললো, "ঠিক আছে,আমি যাচ্ছি।"
লিয়া বেশ অনেক জনকে নিয়ে মহাকাশে একটি অভিযানে যাচ্ছে। ৩৫ জন যাত্রীর সবাই দক্ষ। তাদের সবার একটাই উদ্দেশ্য। তারা বেরিয়েছে একটি নতুন গ্রহ খোঁজার সন্ধানে। লিয়া ওদের ক্যাপ্টেন। লিয়া মনিটরিং করছে কোন নতুন গ্রহ পাওয়া যায় কিনা। বাকিরা প্রস্তুত আছে যেকোন পরিস্থিতিতে কাজে নেমে পড়ার জন্য। তবে, এখনো কোন গ্রহের দেখা মেলেনি বলে লিয়া সবাইকে নিয়ে গ্রহের সন্ধান এর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে একটি মিটিং ডেকেছে।
দু মিনিটের মধ্যেই অ্যালেন পুরো বাহিনীকে নিয়ে হাজির হল। প্রত্যেকে একটা একটা সিটে গিয়ে ক্রমানুসারে বসে পড়ল। সবার সামনে এলেন আর ইয়ানা বসেছে। ইয়ানা হল লিয়ার আরেক সহকারি। এখন লিয়া সবার সামনে দাঁড়িয়ে গেল এবং তার বক্তব্য শুরু করলো।
সে বলল, "আমরা সবাই এত দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছি নতুন গ্রহের সন্ধানে। তবে এখনো কোনো গ্রহের দেখা মেলেনি। সামনে কোন গ্রহ দেখব এমন কোনো আভাস পাচ্ছি না। এখন তো শুধু আমিই মূল মনিটরের সামনে বসে আছি, দেখছি, খুঁজছি। আমার মনে হয় এ কাজ আমি একা মনিটর করে সাফল্য আনতে পারব না। তাই আমি ঠিক করেছি, তোমাদের পাঁচটি টিমে ভাগ হয়ে গ্রহের সন্ধানে নেমে পড়া উচিত।"
ঠিক তখন জন হাত তুলল, আর লিয়া বলল, "কিছু বলবে, জন?"
জন বলল, "হ্যাঁ, আমরা সবাই যে পাঁচটি দলে ভাগ হব, সবাই কি আলাদা আলাদা কন্ট্রোল রুমে থাকবো?"
লিয়া বলল, "হ্যাঁ। পাঁচটি কন্ট্রোল রুমের প্রত্যেকটিতে থাকবে পাঁচটি টিম। প্রতি দলের সদস্য হবে ৭জন; আর কোন প্রশ্ন?"
জন বলল, "না, আর কোন প্রশ্ন নেই।"
লিয়া তার বক্তব্য আবার শুরু করল, "আমাদের স্পেসশিপের ডানদিকে পাঁচটি কন্ট্রোল রুম আছে, সেখান থেকেই তোমরা মনিটর করবে। তবে, তোমাদের মধ্যে একটি টিম ইমারজেন্সি কন্ট্রোল রুমে থাকবে, যাতে সিরিয়াস কোনো সমস্যা দেখা গেলে তারা সমাধান করতে পারে। আর আমি এখন বলে দিচ্ছি কোন টিমে কে কে থাকবে। সবাই শোনো - ক্রমিক ১ থেকে ৭ থাকবে টিমে ‘A’ এ। আর তোমরাই ইমারজেন্সি টিম। এরপর ক্রমিক ৮ থেকে ১৪ টিম 'B' এ যাবে। ক্রমিক ১৫ থেকে ২১ যাবে টিম 'C' তে। আবার ক্রমিক ২২ থেকে ২৮ যাদের, তোমরা থাকবে টিম ‘D’ এ। আর সবশেষ টিম 'E' এ থাকবে ক্রমিক সংখ্যা ২৯ থেকে ৩৫ পর্যন্ত। কারো কোন সমস্যা থাকলে বলতে পারো।"
সবাই মাথা নেড়ে একসাথে জানালো তাদের কোন সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে। লিয়া কিছুটা
সন্তোষ প্রকাশ করে বলল, "তাহলে সবাই দ্রুত
কাজে নেমে পড়ো, আমাদের আজকের
মিটিং এখানেই শেষ হলো।" মিটিং শেষে সবাই নিজ নিজ দলে ভাগ হয়ে কাজে নেমে পরল।
ঘন্টাখানেক কেটে গেল, এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ইয়ানা বলল, "মিস. লিয়া, আমরা যদি কোন সিগন্যাল পাই, তবে কি করে বুঝবো ওটা গ্রহ না উপগ্রহ?"
লিয়া বলল, "ওটা একটু বোঝা কঠিন। সিগন্যাল টা আসবে খুবই তীক্ষ্ণ শব্দ করে। যদি কোন উপগ্রহ আসে, তীক্ষ্ণ শব্দটি একবার বাজবে আর একবার থামবে। আবার কোন গ্রহ থাকলে শব্দ টা একটানা শোনা যাবে। আর আমাদের এভাবে বুঝে নিতে হবে কোনটা গ্রহ কোনটা উপগ্রহ।"
ইয়ানা অবাক হয়ে বলল, "বাহ! চমৎকার হবে তো!" লিয়া একটু হেসে বলল, "কিন্তু,
এই
সিগন্যাল এর সবুজ বাতিটা দেখে গ্রহ উপগ্রহের পার্থক্য পাওয়া যায় না।"
তাদের কথোপকথন এর আরো কিছুক্ষন কেটে গেল। হঠাৎ কন্ট্রোল রুম ‘C’ থেকে রন অ্যালেনকে ডাকলো। অ্যালেন সেখানে গেল এবং রন তাকে বলল, "অ্যালেন, আমরা বোধহয় কিছু একটার সিগন্যাল পাচ্ছি। তবে এটা কোন গ্রহ কিনা তা বুঝতে পারছি না।"
অ্যালেন সিগনালের শব্দ টা ভালো করে শুনে বলল, "আমার তো মনে হচ্ছে এটা গ্রহই হবে। দাঁড়াও, আমি মিস লিয়া আর ইয়ানাকে এখানে নিয়ে আসি।"
অ্যালেন গেল ওদের ডাকতে। লিয়া আসার পর বলল, "তুমি ঠিকই ধরেছো অ্যালেন। শব্দটা টানা শোনা যাচ্ছে, অর্থাৎ আমরা গ্রহের সিগন্যাল পাচ্ছি।"
তার কথা শেষ হওয়া মাত্র সবাই খুশিতে একটা চিৎকার দিলো।
তাদের শব্দ শুনে অবশ্য পাশের রুমের অন্যরাও চলে এলো।
লিয়া তার কন্ট্রোল রুমে ফিরে এসে তার ক্রিজারটার অন করে কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করল। এরপর সে ওটার ওপর প্রিজ লেজার ফেলল। এখন সে সিগন্যালের মিটারটা ক্রিজারটারের অপর প্রান্তের সাথে সংযোগ দিল। এসব সে করছে গ্রহটি তাদের থেকে কতটা দূরত্বে আছে তা জানার জন্য। সে অধীর অপেক্ষায় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে। সেখানে এখনো কাউন্টিং দেখাচ্ছে। তাই সে সিট থেকে উঠে করিডোরে হাঁটতে লাগলো।
সে অ্যালেনকে কে বলল, "কিচেনে কেউ আছে? থাকলে ওদের বল এখানে আমার তোমার আর ইয়ানার জন্য তিন কাপ চা পাঠিয়ে দিতে।"
অ্যালেন গেল খোঁজ নিতে। একটু পর চা এসে গেল।
কিন্তু লিয়ার স্ক্রিনে এখনো কাউন্টিং দেখাচ্ছে। যাহোক, তারা তিনজন সিটে বসে রইল।
মিনিট দশেক পর, হঠাৎ ইয়ানা বলল, "মিস লিয়া, তোমার মনিটরের কাউন্টিং বোধহয় শেষ!" লিয়া সোফা থেকে উঠে তার মনিটরের দিকে এগিয়ে ভালো করে তাকিয়ে খুশি হয়ে বলল, "চমৎকার! কাউন্টিং হয়ে গেছে। এবার দেখি গ্রহটা কত দূরে আছে।"
এটা বলে সে মনিটরের স্ক্রিনে 'view distance' এ ক্লিক করলো। সাথে সাথে ফলাফল বেরিয়ে এল। লিয়া দেখল তাদের কাছ থেকে গ্রহটি থেকে বেশি দূরে নেই, অর্থাৎ সেখানে যেতে তাদের আর বেশিক্ষণ লাগবে না তারা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাবে। সে সবাইকে ডেকে বলল যে তারা অল্পসময়ের মধ্যেই একটি অজানা গ্রহে পৌঁছাবে।
সবাই যে যার মত প্রস্তুতি নিয়ে রেডি থাকলো। গ্রহটির কাছাকাছি পৌঁছাবার পর লিয়া স্পেসশিপের গতি কমিয়ে দিল। সে বলল, "আর বেশি দূরে নেই আমরা। গ্রহটির একদম নিকটে পৌঁছার পর আমরা স্পেসশিপের গতি পুরোপুরি বন্ধ করে দিব আমাদের স্পেসশিপ মহাকাশে তখন ভেসে থাকবে। তখনই শুরু হবে আমাদের আসল অভিযান। আমরা গ্রহটিতে নামার আগে, সেখানকার পরিবেশ নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নেব। তারপর ইমারজেন্সি টিম তাদের কাজ শুরু করবে। সবাই বুঝেছ?"
সবাই হ্যাঁ সূচক ভাবে মাথা নাড়লো। গ্রহটির একদম নিকটে পৌঁছানোর পর ইয়ানা নিয়ার কথামতো স্পেসশিপের গতে একদম বন্ধ করে দিল। এবার গ্রহটি নিরাপদ কিনা তা নিয়ে গবেষণা শুরু হলো।
ইয়ানা বলল,"এই গ্রহটি একটি নাম দেয়া উচিত। তাহলে ওই নামেই আমরা গ্রহটিকে কে ইঙ্গিত করতে পারব।"
লিয়া বললো, "হুম.. তুমি ঠিকই বলেছ। তুমি একটা নাম ঠিক করো গ্রহটির জন্য।"
ইয়ানা কিছুক্ষণ ভেবে বলল, "এই গ্রহটা কিছুটা সবুজ ও কিছুটা বেগুনি। এর নাম হতে পারে গ্রিপল(greeple)। এখানে green+purple মিলে greeple নামটি দিলাম।"
"দারুন নাম দিয়েছ, ইয়ানা!" লিয়া খুশি হয়ে বলল। এবার সে আবার তার গবেষণায় ঢুকে গেল। সে দেখছে 'গ্রিপল' নামক গ্রহটির বায়ুতে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি হতে পারে। সে তার ফিনার্স টা ব্যবহার করা শুরু করলো। সে খুব দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে। ফলাফলে দেখা গেল সেখানকার বায়ুতে সবচাইতে বেশি পরিমানে আছে নাইট্রোজেনের এবং তারপর মিথেন এরপর কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং সবার পরে অক্সিজেন খুবই অল্প পরিমাণে আছে।
এরপর সবাই লিয়ার কথামতো ট্রান্সকিটার ক্যামেরা নিয়ে সেটি আউট উইন্ডোতে স্থাপন করল, এবং সেটার মাধ্যমে গ্রিপল গ্রহটির আবহাওয়া কেমন হতে পারে তা আন্দাজ করার অপেক্ষায় বসে থাকল। একটু পর টিম D এর দলনেতা অ্যাডি এসে লিয়াকে বলল, "গ্রহটির আবহাওয়া সম্পর্কে আমরা কিছুটা ধারনা পেয়েছি। ট্রান্সকিটারের রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে গ্রহটিতে দিনের এক পর্যায়ে বেশি গরম ও অন্য পর্যায়ে বেশি ঠান্ডা পড়ে। ধরো, দিনের সকালে বেশি গরম আবার রাতে কনকনে ঠান্ডা। তবে এখানকার রাত ও দিনের মাঝে মাঝে সময়টাতে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। একে মোটামুটি ঝড়-বৃষ্টি বলা চলে।"
লিয়া একটু ভেবে বলল, "মনে হয়, গ্রহটা খারাপ না। তবে এই গ্রহের বৃষ্টি কি কোন ক্ষতিকর পদার্থ?" অ্যাডি বলল, "তার জন্য আমাদের ওই বৃষ্টির পানির স্যাম্পল আনতে হবে, তারপর সেটা পরীক্ষা করে দেখে আমাদের বুঝতে হবে।"
লিয়া বলল,
"তাহলে চলো, টিম A কে ছোটখাটো একটা স্পেসশিপে
করে সেন্সরের মাধ্যমে ওই বৃষ্টির ফোঁটা আনতে পাঠাই।"
টিম A গেল স্যাম্পল আনতে। তারা
গ্রিপল নামক গ্রহটিতে নামবে না। অনেকটা কাছাকাছি গিয়ে একটি বিশেষ যন্ত্রের
মাধ্যমে স্যাম্পল নিবে। অভিযান শুরু হয়ে গেল। জন টিম A এরই একজন সদস্য। সেটি বিশেষ যন্ত্র- 'স্যাম্পটিন'
এর
মাধ্যমে কাজ শুরু করলো। দলের অন্যান্য সদস্যরা তাকে সাহায্য করল। বেশ খানিকক্ষণ পর
ওরা খানিকটা তরল বৃষ্টির ফোঁটা নিয়ে এলো এটাই তাদের স্যাম্পল।
অ্যালেন সেগুলো নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে দিল। দেখা গেল বৃষ্টির পানির ফটোর
মধ্যে কিছু ক্ষতিকর পদার্থ আছে যাহাতে লাগালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, তবে মহাকাশচারীদের পোশাকে লাগলে কোন ক্ষতি
হবার সম্ভাবনা নেই। কেননা তাদের পোশাক কে আলাদা নিরাপত্তাবিষয়ক ব্যাবস্থা আছে। লিয়া
সবকিছুর ফলাফল দেখে নিশ্চিত হল যে গ্রহটিতে নামলে কোন বড় ধরনের ক্ষতি হবার
সম্ভাবনা নেই। এবার এসে সবাইকে বিশেষ পোশাক পড়ে নিতে বলল এবং সে গ্রিপল নামক
গ্রহটিতে সবাইকে নিয়ে ল্যান্ড করার কার্যক্রম শুরু করলো।
স্পেসশিপ ল্যান্ড করার পর লিয়া ও টিম E
বাইরে
বের হয় সেখানকার মাটির স্যাম্পল নিল। গ্রিপলে এখন রাত তাই কনকনে শীত। যদিও তাদের
বিশেষ পোশাক পরিধান থাকায় সেটা বোঝা যাচ্ছে না। ইয়ানা আর টিম A একটা বড়সড় গ্লাইডার বসে উড়ে উড়ে গ্রিপল গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করতে
লাগলো, পানি সন্ধান পাওয়া যায়
কিনা তা দেখতে। ঘন্টাখানেক পর তারা স্পেসশিপে চলে এলো। আর কিছু পাওয়া যায়নি
এমনকি পানিও না। ততক্ষণে লিয়া ও টিম E এর মাটির স্যাম্পল
পরীক্ষা করা শেষ। দেখা গেল সেই মাটিতে কোন উদ্ভিদে জন্মাতে পারবে না। এই মাটির রং কিছুটা
বেগুনি। এই গ্রহের মেঘগুলো হালকা সবুজ সবুজ। দেখতে বড় অদ্ভুত লাগে!
আধঘন্টা পর লিয়া আরেকটি সভা ডাকলো। সবার উপস্থিতিতে সে বলল, "গ্রিপল নামক এই গ্রহটি দেখতে মোটামুটি সুন্দর। বেগুনি আর সবুজ রং। তবে এটা কোন জীবনের বসবাসযোগ্য স্থল নয়। এখানকার আবহাওয়া সাথে কোন জীব তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। কোন জীব বাঁচতে পারবে না। এই গ্রহে কোনো পানি নেই। বৃষ্টির ফোটার সাথে ও যা পড়ে তা মোটেও পানি না। আমাদের একটি ফলাফলে জানা গেছে সেই বৃষ্টির ফোঁটা এক প্রকারের এসিড। তাছাড়া এ গ্রহের বায়ুতে অক্সিজেন এর চেয়ে অন্যান্য পদার্থই খুব বেশি। সুতরাং, সবকিছু মিলিয়ে বোঝা গেল গ্রিপল গ্রহটি কোন জীবের জন্য নিরাপদ নয়। তবে আজ থেকে এটি একটি গ্রহ নামে পরিচিত ও নির্বাচিত হল। লিয়া এতোটুকু বলতেই সবার একটা আনন্দের শব্দ শোনা গেল। লিয়া তাদেরকে থামিয়ে একটু কেশে আবার তার বক্তব্য শুরু করলো।
সে বলল, "আমি পৃথিবীতে ইতিমধ্যে খবর পাঠিয়ে দিয়েছি যে, আমরা একটি বড় গ্রহের সন্ধান পেয়েছি। আর এটাই আমাদের সাফল্য। পৃথিবীর সব জায়গায় এখন আমাদের খবর প্রচারিত হচ্ছে। সবাই বেশ খুশি এবং উত্তেজিত। এটাও জানতে পেরেছি যে, ওরা আমাদেরকে 'ওয়েলকাম ব্যাক' জানাবার জন্য একটা বিশাল উৎসবের আয়োজন করেছে। সবাই রয়েছে আমাদের অপেক্ষায়।" লিয়া হাসিমুখে বক্তব্য শেষ করল। সাথে সাথে সবাই অনেক জোরে একটা আনন্দধ্বনি দিয়ে উঠলো।
এখন লিয়ার নেতৃত্বে স্পেসশিপ নিয়ে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছে মহাকাশচারীরা।
তারা যখন পৃথিবীর স্টেশনে পৌঁছালো তখন বহু মানুষ এসেছে তাদের স্বাগত ও অভিনন্দন দিতে। আজ লিয়া আর তার বাহিনী খুবই হাস্যোজ্জল। কেননা তারা আজ সফল হয়েছে এক নতুন গ্রহ আবিষ্কারে।
গ্রহটির নাম গ্রিপল।
..................................
[ওশিন মাহিয়াত, অষ্টম শ্রেণী, ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়]
সুন্দর গল্প।
ReplyDeleteখুব আশা করে পড়ছিলাম নতুন গ্রহ আবিষ্কার হবে। কিন্তু শেষে মনটা খারাপ হয়ে গেল। যখন লিয়া ঘোষণা দিল ..গ্রিপল গ্রহটি কোন জীবের জন্য নিরাপদ নয়.....
ReplyDeleteকী এমন হতো যদি গ্রহটি বসবাসের উপযুক্ত করে দেয়া হতো।
Greeple গ্রহে যেতে চাই আমি
ReplyDelete