শৈশবের মজার স্মৃতি
শৈশব-কৈশোরের পাঁচ কাণ্ড
নাহিদ জাহান কচি
১.
আমার আম্মা বেশি কাজ করতে গেলে, তাড়াহুড়ায় কথা এলোমেলো করে ফেলেন। ছোটবেলায় একদিন ঘরভর্তি করে পলিথিন ছিড়ে খেলা করছিলাম। তো আম্মা ঘর ঝাড়ু দিতে পারছিল না, পলিথিন উড়ছিল। আম্মা রেগে গিয়ে বললো, 'কচি জানালাগুলো পলিথিন দিয়ে বাইরে ফেলে দাও তো'।
২.
আরেকদিন বাবাকে দুপুরে ভাত খাওয়ানোর জন্য একটু নতুন ধরণের কোন সব্জি ভাজি করেছিলেন, উনি একটু টেনশানে ছিলেন আব্বা ভাজিটা পছন্দ করবে কিনা। ভাত খাবার সময় আম্মা আব্বাকে জিজ্ঞেস করছে - 'মানিকের আব্বু মজাটা ভাজি হয়েছে?' আব্বা উত্তর দিলেন - 'মজাই ভাজি হয়ে গেছে রে।'
৩.
আমাদের কৈশোরে একটা বিজ্ঞাপন হতো টিভিতে। কোন একটা সাবানের চারটা মোড়ক(প্যাকেট) জমা দিলে একটা সাবান ফ্রি। তো মোড়কের অর্থ বুঝতে না পেরে আমার অবুঝ পিচ্চি ভাই আমাকে একদিন খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করছে- 'আপু মোরগের দাম বেশী না সাবানের?'
আমি বললাম, 'মোরগের দাম বেশী'।
ছোট ভাই তো অবাক! সে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো- 'চারটা মোরগ জমা দিয়ে একটা সাবান ফ্রি পাবার মানে কী তাহলে? পুরাই লস প্রজেক্ট।'
৪.
আমাদের প্রতিবেশী এক খালাম্মা ছিলেন। তখন আন্টি শব্দটা প্রচলিত ছিল না তেমন। খালাম্মা সব কথা বাংলায় বললেও পাউরুটি শব্দটা ইংরেজিতে ব্রেড বলতেন। একদিন ওনার বাচ্চার জ্বর এসেছে, পাউরুটি খাবার বায়না ধরেছে। তো খালো বাসায় না থাকায় নিচ তলার একটা কাজের ছেলেকে খালাম্মা দশ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট ব্রেড আনতে বললেন। কাজের ছেলেটা একটা ব্লেড এনে খালাম্মার হাতে দিয়ে বললো এত দামী ব্লেড তো দোকানে নাই। তাই দুই টাকার ব্লেডটাই আনলাম।
শৈশব কৈশোরের অম্লমধুর স্মৃতিগুলো পড়তে কী মিষ্টি লাগছে। আমার বাবা খুব ভুলোমনা ছিলেন। তাঁকে নিয়ে মজার কিছু গল্প আছে।
ReplyDeleteআপনার মজার গল্পগুলো একদিন এখানে লিখুন।
Delete