Posts

ফারিহা শাহরিনের গল্প

Image
ইঁদুর বিড়াল চুক্তি রাস্তার এক ঘেয়ো কুকুরের ধাওয়া খেয়ে কোথা থেকে সাদা রঙের এক বিড়াল ছানা আমাদের খোলা দরোজা দিয়ে ড্রইং রুমে ঢুকে সোজা এক লাফে সোফার গদিতে আরাম করে বসে গেল। কুকুরটা ভয়ে ঘরের কাছে ভিড়লো না। কিছুক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে ফিরে গেল। কয়েক সেকেন্ডের রুদ্ধশ্বাস ঘটনাটির সাক্ষী সাত বছরের মুমু।

শাওন মাহমুদের কলাম

Image
আমার বাবা একজন আলতাফ [ভূমিকা: 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানের অমর সুরকার আলতাফ মাহমুদ একজন মুক্তিযোদ্ধা। ক্র্যাক প্লাটুন নামের বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্য ছিলেন। সেই অপরাধে পাকিস্তানীরা ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট ভোরবেলা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁকে আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেদিনের ঘটনাটি নিয়ে শিশুকাগজের জন্য লিখেছেন তাঁর কন্যা শাওন মাহমুদ।] ২৯ আগস্ট ১৯৭১– উদ্ভ্রান্ত, উষ্কখুষ্ক, অশান্ত সারাদিন। ক্র্যাক প্লাটুন-এর অনেক গেরিলা যোদ্ধা আজ ধরা পড়েছে। উঠোনে মাটিচাপা দেওয়া অস্ত্রভর্তি ট্র্যাঙ্কগুলো নিয়ে সবচেয়ে বড় চিন্তা। আগামী অপারেশনে অস্ত্রগুলো কাজে লাগাতে হবে। বাসায় যদি আর্মি রেইড করে তাহলে এগুলোর কী হবে? সারাদিন কালো মরিস গাড়ি করে কোথায় কোথায় ঘুরেছিল সে, কে জানে। হয়তোবা অস্ত্র রাখবার জন্য নিরাপদ কোনো জায়গা খুঁজেছিল। সারাদিন পর রাত ১১টায় বাড়ি ফিরে আসার পর মা বলেছিল ভাত দেবো? ভাত প্রিয় আলতাফের খিদে ছিল না, একদম না। তাই জবাবে বলেছিল পেট ভরা, খাবো না। শোবার ঘরে শাওন আর ঝিনু ঘুমিয়ে পড়েছিল। সন্তর্পণে সেই ঘরে ঢুকে কী করেছিল আলতাফ? কেউ জানে না। হয়তোবা নির্ঘুম চোখে সারারাত পর...

কীর্তিনাশা নজরুলের ভৌতিক গল্প

Image
ভৌতিক গল্পঃ মাঝ-দুপুরে গভীর জঙ্গলে মাঝ-দুপুরে এক অতি গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একা যাচ্ছিল নয়ন। বেলা যে মাঝ-দুপুর তা কে বলবে? বড় বড় ঘন গাছের কারণে পুরো জঙ্গলে গা ছমছমে অন্ধকার। যেন সন্ধ্যা ঘনিয়েছে। দুরু দুরু ভয় আর শঙ্কা নিয়ে নয়ন জোর কদমে হাঁটতে থাকে। আর মনে মনে নিজেকে সাহস দেয় – ভূত-প্রেত বলতে দুনিয়ায় কিছু নাই। সব দুর্বল মনের কল্পনা। পুরো জঙ্গলে একটু পাতা পড়ার শব্দও নেই। বাতাস নেই, আলো নেই, সে এক গুমট অবস্থা। তার মাঝেই ডান দিকে অদূরে একটা বড় গাছের দিকে নয়নের দৃষ্টি চলে যায় – ও কী ! গাছের ডালে ওটা কী দুলছে? ওখানে শাদা শাড়ি এলো কোথা থেকে? ভয়ে নয়নের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সে থমকে দাঁড়ায়।

দেবদ্যুতি রায়ের গল্প

Image
করোনা ও পূর্ণার গল্প এক ছোট্ট শহরের ছোট্ট পাড়ায় থাকে পূর্ণা নামের আট বছরের এক ভীষণ মিষ্টি মেয়ে। সে রোদ আর বৃষ্টি ভালোবাসে, সবুজ গাছপালা দেখতে ভালোবাসে আর ভালোবাসে সারাদিন প্রজাপতির মতো ছোটাছুটি করে বেড়াতে। পূর্ণা এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মিতুল, পপি, রানা আর জুয়েল ওর খুব ভালো বন্ধু। আগে ওরা পাশাপাশি বসে ক্লাস করে আর ক্লাসের ফাঁকে অনেক গল্প করত। টিফিনের সময় ওরা একজন আরেকজনের সঙ্গে নিজেদের টিফিন ভাগাভাগি করে খেত। স্কুলের সবুজ মাঠে ওরা অন্যদের সঙ্গে বিভিন্ন খেলাধুলা করত। এখন কেন তারা এগুলো করতে পারে না সে কথা জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে প্রায় এক বছর আগের সময়ে।

নাহার তৃণা'র গল্প

Image
যদি এমন হতো পিঙ্কির মনটা বেজায় খারাপ। প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে আসার পর ওদের চুপচাপ বাড়িটা ওর হইহই’য়ে যেমনটা ভরে ওঠে; আজ সেরকমটা হয় নি। কারণ পিঙ্কির মনটা আজ সত্যিই খারাপ। স্কুল ফেরতা পিঙ্কিকে অনেকবার জিগগেস করেও মামণি উত্তর পান নি কেন ওর মন ভার।