Posts

বাংলা নববর্ষ

Image
পহেলা বৈশাখ কিভাবে এলো? আঁকিয়ে : ওয়ারিশা মানহা পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতিতে কিভাবে এলো? পহেলা বৈশাখ পালন করা হয় বাংলা বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে। প্রাচীন কাল থেকেই সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো। বাংলা সনের প্রবর্তন নিয়ে সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে। পরবর্তীতে সম্রাট আকবর সেটিকে পরিবর্তিত করেন খাজনা ও রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম “তারিখ-এ-এলাহী” আর ঐ পঞ্জিকায় মাসগুলো আর্বাদিন, কার্দিন, বিসুয়া, তীর এমন নামে ছিল। তবে ঠিক কখন যে এই নাম পরিবর্তন হয়ে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ হলো তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন- বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়।

মোহিত কামালের গল্প

Image
টুঙ্গিপাড়ার হিমালয় পুকুরপাড়ে আছে একটা আমগাছ। ঝাঁকড়া মাথার গাছটার একটা ডাল পুকুরের পানির ওপর ঝুঁকে আছে। ডালের সবুজ পাতারা চিকচিক করছে ভোরের কাঁচা সোনা রোদের পরশ পেয়ে। পাতার আলো প্রতিফলিত হচ্ছে পানিতে, ঝিকমিক করছে। পানিতে বয়ে যাওয়া চোখ ধাঁধানো দৃশ্যটা মনোযোগ দিয়ে দেখছে ডালে বসা একটা মাছরাঙা পাখি। আর পুকুরঘাটে বসে পাখির দিকে চেয়ে আছে এক কিশোর, খোকা। মাছরাঙাটার দেহের তুলনায় মাথা বড়ো। লম্বা, ধারালো, চোখা ঠোঁট, খাটো পা আর খাটো লেজ রয়েছে ওর। গায়ের রং উজ্জ্বল। পাখনায় আর মাথায় নীলের ওপর ফিরোজা রঙের বুটি, চোখের নিচ থেকে লাইনের মতো মেরুন-সাদা রঙের মেশানো টানটা সুন্দর। আর বুকের দিকটা সোনালি রঙের! সুন্দর পাখিটা প্রাণভরে দেখতে মোটেও ক্লান্তি লাগছে না। মাছরাঙার চোখের নিশানা পানিতে, আর খোকার নিশানা মাছরাঙার মনোযোগী চোখের দিকে। তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মনে পড়ে গেল দাদুর বলা-কথা। দাদুভাই বলেছিলেন, ‘তিন রকম মাছরাঙা আছে : গাঙ মাছরাঙা, পান মাছরাঙা আর গেছো মাছরাঙা। এটা গেছো নাকি পান মাছরাঙা, দেখে চিনতে পারল না খোকা। ধরে নিল গাছে বসা মাছরাঙাটা আসলে গেছো মাছরাঙা।

নাহার তৃণার অনুবাদ গল্প

Image
  ক্ষীণদৃষ্টির ভাইদের গল্প চীন দেশের এক শহরের শেষপ্রান্তে বিশাল এক বাড়িতে তিন ভাই বাস করতো। তিন ভাইয়েরই চোখের অবস্হা ছিল বেশ খারাপ। চোখে ভালো দেখতে না পারার কারণে তিন ভাই তাদের ব্যবসাবাণ্যিজ্য ঠিকঠাক দেখাশোনা করতে পারতো না। বিশেষ করে টাকা-পয়সা লেনদেনের ব্যাপারটা। ছোট ভাই ঠিক করলো, এখন থেকে সে টাকা পয়সার দিকটা দেখাশোনা করবে।  তাই সে বাকি ভাইদের উদ্দেশ্য করে বললো , "বড় ভাইয়ের চোখের অবস্হা খুবই খারাপ, তিনি ঠিক মতো দেখতেই পান না কত টাকা তাকে দেয়া হলো বা তিনি অন্যকে কত দিলেন।" সে আরো বললো। "লোকেরা তার দুর্বলতার সুযোগ নেবার চেষ্টা করে।" "তুমি যেন কত্ত দেখো চোখে," টিটকারি দিয়ে ওঠলো মেজো ভাই। "যদি এমনটা চিন্তা করে থাকো, যে আমাদের টাকাপয়সার লেনদেন তারই করা উচিত যে আমাদের মধ্যে চোখে সবচে' ভালো দেখে, তাহলে আমি বলবো সেটি হচ্ছি আমি। টাকা পয়সা লেন-দেনের দায়িত্বটা আমাকেই দেয়া উচিত। কারণ তোমাদের দু'জনের চেয়ে আমার চোখের দৃষ্টি অনেক ভালো।"

লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া

Image
একটি 'শাদা-কালো' ছড়া সাবরিনাদের দুইটা বেড়াল একটা কালো একটা শাদা, নরম নরম সিল্কি পশম একটা দিদি একটা দাদা। সারাক্ষণই মিয়াও মিয়াও সাবরিনাদের কোলটি ঘেঁষে, সাবরিনারাও করতে থাকে কচলা কচলি, ভালোবেসে। দুইটা বেড়াল খুব আদুরে খুব পছন্দ খাদ্যি-খাবার, যেটাই পাবে লাফিয়ে খাবে চাকুম চুকুম করবে সাবাড়।

ফাহরিয়াল রহমানের ছড়া

Image
ভাল্লাগে না  লকডাউন আর ভাল্লাগেনা ধ্যাত-তারিকা ছাই! অনলাইনে ক্লাস করি  ঘুমাই আর খাই। পড়ার চাপটা বেড়েই চলছে মনের চাপও তাই, তোমায় আর চাই না 'করোনা' চলে যাওনা ভাই!