অনিন্দিতা গোস্বামীর ধারাবাহিক উপন্যাস : অবাক পৃথিবী
অবাক পৃথিবী
পর্ব- ছয়:
জ্যাকলিন জেরীকে বলল, চলো জেরী ওদের সঙ্গে ভাব করি।
জুলিয়া নাক থেকে রুমাল সরিয়ে ধমকে উঠল জ্যাকলিনকে, নো, ভীষণ নোংরা ওদের গায়ে।
প্রেসিডেন্ট বললেন, আহা যাক না এখন তো ওদের সঙ্গেই থাকতে হবে আমাদেরকে।
এবার জুলিয়া তার সমস্ত আভিজাত্য ভেঙে চেঁচিয়ে উঠল একেবারে, হাউ লং? কতদিন? এভাবে বাঁচার কি আমাদের খুবই দরকার ছিল?
প্রেসিডেন্ট বললেন, এভাবে বলছ কেন জুলিয়া ,পৃথিবীতে এই জায়গাটাই এখন একমাত্র নিরাপদ। মেরু অঞ্চলের এই জায়গাটাই এখন সবচেয়ে ধীর গতিতে সরছে। তাছাড়া এখানে এত পুরু বরফের স্তর যে কোথাও ধাক্কা লাগলে তা ঢালের মতো করে রক্ষা করবে দেশটাকে।
জুলিয়া বললো, তোমাকে না দেশের লোক প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে! কত আশা ভরসা নিয়ে সর্বোচ্চ আসনে বসিয়েছে তাদের রক্ষা করার জন্য! আর বিপদের দিনে তুমি তাদের ফেলে পালিয়ে এলে!
প্রেসিডেন্ট হাত রাখলেন জুলিয়ার পিঠে, বললেন, এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়, গোটা দেশকে রক্ষা করার মত ক্ষমতা আমার ছিল না যে। চেষ্টা আমি করেছিলাম জানো, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সব লোকজনকে আমি সরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম দেশের অভ্যন্তরে। আটলান্টিক মহাসাগরের বড় বড় ঢেউ দৈত্যের মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সীমান্তের শহরগুলোকে। অত লোককে আমি কোথায় রাখব বল?
তাহলে আমরাও সবার সঙ্গেই মরতাম। আমার কত আত্মীয়-পরিজন পড়ে রইল দেশে!
তবে বিপর্যয় থেমে গেলে দেশটাকে নতুন করে গড়ত কে?
কেন সেই ক্ষমতা কি তোমার একারই আছে? যারা বাঁচত তারাই গড়ত।
কেন জুলিয়া কেন? আমার ক্ষমতা আছে তবুও আমি আমার বউ বাচ্চাদের বাঁচাব না?
বাঁচাতে তুমি শেষ পর্যন্ত পারবে তো? জাপানিরা, রুশীরা, যেকোনো সময় এসে পড়তে পারে এখানে। আর এখানে এসে তোমাকে এভাবে নিরস্ত্র, নিঃসহায়, নিঃসম্বল ভাবে দেখলে তারা কি তোমাকে ছেড়ে দেবে?
এবার হাহা করে গলা ফাটিয়ে হাসলেন প্রেসিডেন্ট, তার হাসির কম্পনে কেঁপে উঠল বরফের তৈরি ছোট্ট কুটির। হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে গেল প্রেসিডেন্টের। অনেকক্ষণ হাসির পরে খানিক দম নিয়ে তিনি বললেন, জাপানিরা! তুমি হাসালে জুলিয়া, জাপান দেশটাই তো ভ্যানিশ হয়ে গেছে!
জুলিয়া চোখ কপালে তুলে বলল, তাই নাকি! তুমি বিশ্বাস করো এ কথা?
ঘাড় নাড়লেন প্রেসিডেন্ট, হুঁ, সার্টেনলি, আমার কাছে পাক্কা খবর আছে।
তা খবরটা কে তোমায় দিল শুনি ?
আমার গোয়েন্দা সংস্থা।
হুঁ! হাতে মুখ চাপা দিয়ে খুক করে হাসে জুলিয়া।
প্রেসিডেন্ট বিরক্তিভরে বলেন, তুমি হাসলে কেন ওভাবে জুলিয়া? আমার গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের এক নম্বর গোয়েন্দা সংস্থা!
জুলিয়া বলল, ঠিক, সেই জন্য একটা উগ্রপন্থী সংগঠনের কার্যকলাপও তোমাকে ঠিক সময়ে জানাতে পারেনি তারা। তোমার দম্ভের জোড়া মিনার হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছিল। আসলে নিজের সব কিছুকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে চোখ বুজে থাকাটা তুমি বন্ধ করো সোনা।
মা বাবার ঝগড়ার মাঝখানে জ্যাকলিন আর জেরী চলে গেছিল ঐ বাচ্চাদুটোর কাছে। জ্যাকলিন বাচ্চা দুটোকে জিজ্ঞেস করল এই চামড়া দিয়ে তোমরা কী করবে?
বাচ্চা দুটো হাত দিয়ে দেখালো কোটের মতো পোশাক বানাবে তারা ওটা দিয়ে। এই ভাবে ইশারায় কথা বলতে বলতে কীভাবে তারা যেন বন্ধু হয়ে গেল, যেভাবে মূক ও বধির মানুষেরা পরস্পরের বন্ধু হয়! জ্যাকলিন দেওয়ালের কোণে রাখা সরু নৌকোটা দেখিয়ে বলল, কয়াক না?
ঘাড় নাড়ল বাচ্চা ছেলেটি, হুঁ।
এটা দিয়ে কী কর? মাছ ধরতে যাও?
আবার ঘাড় ঝাঁকাল ছেলেটি, হ্যাঁ ।
কাল আমাদের নিয়ে যাবে তোমাদের সঙ্গে? হাতের ইশারায় ছেলেটি বোঝাল জ্যাকলিনকে, না তোমরা পারবে না। এর একটা বিশেষ কায়দা আছে। বরফ গলে গিয়ে যে যে জায়গা দিয়ে নদীর মতো বয় ঠিক সেই সেই জায়গা দিয়ে নিয়ে যেতে হয় ওটাকে। তারপর ঐ যে দেওয়ালে ঝোলানো ঐ বর্শাটা দেখছ সীল মাছ দেখলেই ওটা গেঁথে দিতে হয় সীল মাছের গায়ে।
তোমরা ইশকুলে যাও না?
হুঁ, ইশকুলে যাই আবার শিকারেও যাই।
এবার হাততালি দিয়ে উঠল জেরী, কি মজা না? আমরা এখানেই থাকব দিদি আর ফিরে যাব না।
জ্যাকলিন এবার শুকনো মুখে ভাইকে বলল, চাইলেও আমরা বোধহয় আর ফিরে যেতে পারব না রে, আমাদের ওয়ার্ল্ডটাই এখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
পর্ব-সাত:
ভোর না হতেই চড়চড়ে আলোয় ঘুম ভেঙে গেল সকলের। চারিদিকের দরজা জানলা বন্ধ করে ভারী পর্দা টেনে ঘুমায় যখন রোরো তখন সে টেরও পায় না ভোর চারটিতেই কত আলো পৃথিবীতে।
আলো মানে শক্তি, আলো মানে ভরসা, এক গমগমে কণ্ঠস্বরে ধড়মড় করে উঠে বসল রোরো, মঞ্চের মাঝখানে মাটি থেকে বেশ খানিকটা উপরে পদ্মপাণির ভঙ্গিতে বসে আছেন এক সুদর্শন পুরুষ। বললেন, আমি জ্যোতিষ শাস্ত্র বিশারদ, ফেংশুয়ে গুরু অমিত রঞ্জন শাস্ত্রী। নাস্তাদামুস বলেছিলেন পৃথিবী একদিন ধ্বংস হবে, তাই তো? তা সত্যি সত্যি পৃথিবী আজ ধ্বংস হতে চলেছে। তাহলে কি দাঁড়ালো? বিজ্ঞান নয় জ্যোতিষই হলো আসল পথ যা মানুষকে সঠিক ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে। সুতরাং আমি বলছি আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। এই মঞ্চের ওপরে ঠিকঠাক মতো যদি একটা হোমযজ্ঞ করতে পারি তবে নিশ্চিত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্ধ হবে। ঈশ্বরের কোনো একটা অভিশাপের ফল এ। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা হয়ত আমার এ কথা শুনে হাসছেন, আমাকে ভাবছেন ভন্ড, প্রতারক। কিন্তু এ কথা তো ঠিক মানুষ ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে ঈশ্বরকে উপেক্ষা করেছে। ভেবেছে সে নিজেই ঈশ্বর, যা খুশি করতে পারে সে। কোনো পাপ তাদের গায়ে লাগবে না।
এতক্ষণ ঘুম ঘুম চোখে ঠিকমতো ঠাওর করতে পারেনি রোরো, এবার খানিকটা ঠাওর করে দেখল লোকটা স্বচ্ছ স্ফটিক এর মতো কিছুর একটা স্ট্যান্ড বানিয়ে তার ওপর একটা পাটাতন পেতে বসেছে। বাণী শেষ করে সামনে উত্তরীয়খান বিছিয়ে দিয়ে লোকটা ধ্বনি তুলল, ওম্ ম্ !
( ক্রমশ )
জুলিয়া নাক থেকে রুমাল সরিয়ে ধমকে উঠল জ্যাকলিনকে, নো, ভীষণ নোংরা ওদের গায়ে।
প্রেসিডেন্ট বললেন, আহা যাক না এখন তো ওদের সঙ্গেই থাকতে হবে আমাদেরকে।
এবার জুলিয়া তার সমস্ত আভিজাত্য ভেঙে চেঁচিয়ে উঠল একেবারে, হাউ লং? কতদিন? এভাবে বাঁচার কি আমাদের খুবই দরকার ছিল?
প্রেসিডেন্ট বললেন, এভাবে বলছ কেন জুলিয়া ,পৃথিবীতে এই জায়গাটাই এখন একমাত্র নিরাপদ। মেরু অঞ্চলের এই জায়গাটাই এখন সবচেয়ে ধীর গতিতে সরছে। তাছাড়া এখানে এত পুরু বরফের স্তর যে কোথাও ধাক্কা লাগলে তা ঢালের মতো করে রক্ষা করবে দেশটাকে।
জুলিয়া বললো, তোমাকে না দেশের লোক প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে! কত আশা ভরসা নিয়ে সর্বোচ্চ আসনে বসিয়েছে তাদের রক্ষা করার জন্য! আর বিপদের দিনে তুমি তাদের ফেলে পালিয়ে এলে!
প্রেসিডেন্ট হাত রাখলেন জুলিয়ার পিঠে, বললেন, এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়, গোটা দেশকে রক্ষা করার মত ক্ষমতা আমার ছিল না যে। চেষ্টা আমি করেছিলাম জানো, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সব লোকজনকে আমি সরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম দেশের অভ্যন্তরে। আটলান্টিক মহাসাগরের বড় বড় ঢেউ দৈত্যের মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সীমান্তের শহরগুলোকে। অত লোককে আমি কোথায় রাখব বল?
তাহলে আমরাও সবার সঙ্গেই মরতাম। আমার কত আত্মীয়-পরিজন পড়ে রইল দেশে!
তবে বিপর্যয় থেমে গেলে দেশটাকে নতুন করে গড়ত কে?
কেন সেই ক্ষমতা কি তোমার একারই আছে? যারা বাঁচত তারাই গড়ত।
কেন জুলিয়া কেন? আমার ক্ষমতা আছে তবুও আমি আমার বউ বাচ্চাদের বাঁচাব না?
বাঁচাতে তুমি শেষ পর্যন্ত পারবে তো? জাপানিরা, রুশীরা, যেকোনো সময় এসে পড়তে পারে এখানে। আর এখানে এসে তোমাকে এভাবে নিরস্ত্র, নিঃসহায়, নিঃসম্বল ভাবে দেখলে তারা কি তোমাকে ছেড়ে দেবে?
এবার হাহা করে গলা ফাটিয়ে হাসলেন প্রেসিডেন্ট, তার হাসির কম্পনে কেঁপে উঠল বরফের তৈরি ছোট্ট কুটির। হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে গেল প্রেসিডেন্টের। অনেকক্ষণ হাসির পরে খানিক দম নিয়ে তিনি বললেন, জাপানিরা! তুমি হাসালে জুলিয়া, জাপান দেশটাই তো ভ্যানিশ হয়ে গেছে!
জুলিয়া চোখ কপালে তুলে বলল, তাই নাকি! তুমি বিশ্বাস করো এ কথা?
ঘাড় নাড়লেন প্রেসিডেন্ট, হুঁ, সার্টেনলি, আমার কাছে পাক্কা খবর আছে।
তা খবরটা কে তোমায় দিল শুনি ?
আমার গোয়েন্দা সংস্থা।
হুঁ! হাতে মুখ চাপা দিয়ে খুক করে হাসে জুলিয়া।
প্রেসিডেন্ট বিরক্তিভরে বলেন, তুমি হাসলে কেন ওভাবে জুলিয়া? আমার গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের এক নম্বর গোয়েন্দা সংস্থা!
জুলিয়া বলল, ঠিক, সেই জন্য একটা উগ্রপন্থী সংগঠনের কার্যকলাপও তোমাকে ঠিক সময়ে জানাতে পারেনি তারা। তোমার দম্ভের জোড়া মিনার হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছিল। আসলে নিজের সব কিছুকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে চোখ বুজে থাকাটা তুমি বন্ধ করো সোনা।
মা বাবার ঝগড়ার মাঝখানে জ্যাকলিন আর জেরী চলে গেছিল ঐ বাচ্চাদুটোর কাছে। জ্যাকলিন বাচ্চা দুটোকে জিজ্ঞেস করল এই চামড়া দিয়ে তোমরা কী করবে?
বাচ্চা দুটো হাত দিয়ে দেখালো কোটের মতো পোশাক বানাবে তারা ওটা দিয়ে। এই ভাবে ইশারায় কথা বলতে বলতে কীভাবে তারা যেন বন্ধু হয়ে গেল, যেভাবে মূক ও বধির মানুষেরা পরস্পরের বন্ধু হয়! জ্যাকলিন দেওয়ালের কোণে রাখা সরু নৌকোটা দেখিয়ে বলল, কয়াক না?
ঘাড় নাড়ল বাচ্চা ছেলেটি, হুঁ।
এটা দিয়ে কী কর? মাছ ধরতে যাও?
আবার ঘাড় ঝাঁকাল ছেলেটি, হ্যাঁ ।
কাল আমাদের নিয়ে যাবে তোমাদের সঙ্গে? হাতের ইশারায় ছেলেটি বোঝাল জ্যাকলিনকে, না তোমরা পারবে না। এর একটা বিশেষ কায়দা আছে। বরফ গলে গিয়ে যে যে জায়গা দিয়ে নদীর মতো বয় ঠিক সেই সেই জায়গা দিয়ে নিয়ে যেতে হয় ওটাকে। তারপর ঐ যে দেওয়ালে ঝোলানো ঐ বর্শাটা দেখছ সীল মাছ দেখলেই ওটা গেঁথে দিতে হয় সীল মাছের গায়ে।
তোমরা ইশকুলে যাও না?
হুঁ, ইশকুলে যাই আবার শিকারেও যাই।
এবার হাততালি দিয়ে উঠল জেরী, কি মজা না? আমরা এখানেই থাকব দিদি আর ফিরে যাব না।
জ্যাকলিন এবার শুকনো মুখে ভাইকে বলল, চাইলেও আমরা বোধহয় আর ফিরে যেতে পারব না রে, আমাদের ওয়ার্ল্ডটাই এখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
পর্ব-সাত:
ভোর না হতেই চড়চড়ে আলোয় ঘুম ভেঙে গেল সকলের। চারিদিকের দরজা জানলা বন্ধ করে ভারী পর্দা টেনে ঘুমায় যখন রোরো তখন সে টেরও পায় না ভোর চারটিতেই কত আলো পৃথিবীতে।
আলো মানে শক্তি, আলো মানে ভরসা, এক গমগমে কণ্ঠস্বরে ধড়মড় করে উঠে বসল রোরো, মঞ্চের মাঝখানে মাটি থেকে বেশ খানিকটা উপরে পদ্মপাণির ভঙ্গিতে বসে আছেন এক সুদর্শন পুরুষ। বললেন, আমি জ্যোতিষ শাস্ত্র বিশারদ, ফেংশুয়ে গুরু অমিত রঞ্জন শাস্ত্রী। নাস্তাদামুস বলেছিলেন পৃথিবী একদিন ধ্বংস হবে, তাই তো? তা সত্যি সত্যি পৃথিবী আজ ধ্বংস হতে চলেছে। তাহলে কি দাঁড়ালো? বিজ্ঞান নয় জ্যোতিষই হলো আসল পথ যা মানুষকে সঠিক ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে। সুতরাং আমি বলছি আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। এই মঞ্চের ওপরে ঠিকঠাক মতো যদি একটা হোমযজ্ঞ করতে পারি তবে নিশ্চিত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্ধ হবে। ঈশ্বরের কোনো একটা অভিশাপের ফল এ। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা হয়ত আমার এ কথা শুনে হাসছেন, আমাকে ভাবছেন ভন্ড, প্রতারক। কিন্তু এ কথা তো ঠিক মানুষ ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে ঈশ্বরকে উপেক্ষা করেছে। ভেবেছে সে নিজেই ঈশ্বর, যা খুশি করতে পারে সে। কোনো পাপ তাদের গায়ে লাগবে না।
এতক্ষণ ঘুম ঘুম চোখে ঠিকমতো ঠাওর করতে পারেনি রোরো, এবার খানিকটা ঠাওর করে দেখল লোকটা স্বচ্ছ স্ফটিক এর মতো কিছুর একটা স্ট্যান্ড বানিয়ে তার ওপর একটা পাটাতন পেতে বসেছে। বাণী শেষ করে সামনে উত্তরীয়খান বিছিয়ে দিয়ে লোকটা ধ্বনি তুলল, ওম্ ম্ !
( ক্রমশ )
Comments
Post a Comment