ফাহরিয়াল রহমানের কলাম
খালামণির নলেজ বক্স
খেয়েছো - খাইসো, কি করছিস - কি করস, বলছি - বলতেসি ইত্যাদি।
তো আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম ইনাইনা আসলেই এভাবে কথা বলে কিনা সেটা শোনার জন্য।
হাতেনাতে ওর মায়ের অভিযোগের সত্যতাও মিলে গেলো। প্রায়ই ও দু একজন বান্ধবীর সাথে ফোনে কথা বলে। আজ ও যখন ওর বান্ধবীর সাথে কথা বলছিল, বিষয়টা অন্যায় হলেও আমি ওদের কথা রেকর্ড করেছিলাম ওর অজান্তে। যেটা শুনে আমার মনে হয়েছে আসলে বন্ধুদের সাথে কথায় তাল মেলাতে গিয়ে অনেক সময় তাদের উচ্চারণকৃত শব্দের ব্যবহার নিজের কথায় চলে আসে। বেশিরভাগই আবার বড় কাউকে অনুসরণ করতে গিয়ে খিচুড়ি ভাষায় কথা ব'লে ভাবে এটাই বুঝি স্মার্টনেস। বিভিন্ন চ্যানেল গুলোতে প্রচারিত নানা ধরনের অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার যথেচ্ছ ভুল ব্যবহার প্রকটভাবে চোখে পড়ে। অনেকেই আবার অতি স্মার্ট সাজতে গিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে কিছু ইংরেজি শব্দ কিছু বাংলা শব্দ মিশ্রিত করে একটা অদ্ভুত ভাষা তৈরি করে। অনেকে সেটাই ভাষার মানসম্মত ব্যবহার বলে ধরে নিচ্ছে। আর এভাবে ভাষা দূষিত হচ্ছে। একজন সচেতন দেশ প্রেমিক বাঙালি কখনও দেশ বা ভাষার ক্ষতি মেনে নিতে পারে না।
ইনাইনাকে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করায় সে বুঝলো। মেনে নিলো সে নিজের অজান্তে ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করেছে, ভবিষ্যতে সে সচেতন ভাবে ভাষা ব্যবহার করবে বলে প্রতিজ্ঞা করলো।
আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার ভিন্ন বিষয় সেটা যে যার অঞ্চলে বা নিজেদের মধ্যে বলতেই পারে যদি তারা সেটাতে অভ্যস্ত হয়। আমাদের মাতৃ ভাষা বাংলা ভাষা, আর এই ভাষায় কথা বলার অধিকার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। তাই আমাদের সবার উচিৎ তাকে যথাযথ সম্মানের সাথে প্রকাশ করা।
ড চার্লেস ডাবলিই ইলিয়ট এর একটা উক্তি আমার ভালো লাগে " মাতৃভাষা যথাযথভাবে শেখাই হচ্ছে যে কোনো ভদ্রলোক বা মহিলার জন্য প্রকৃত শিক্ষা। "
আবার জনসনের মতে-" ভাষা হলো চিন্তার পোষাক।"
তাহলে বুঝতেই পারছো, তোমার মুখের ভাষা যত সুন্দর হবে তোমার প্রতি অন্যদের আকর্ষণ তত বাড়বে। সেটাও স্পষ্ট করে ওয়েস্ট ওয়ার্থ বলে দিয়েছেন - " প্রকাশ করার ভঙ্গি এবং ভাষা দুটোই মানুষকে আকৃষ্ট করে। "
হুম এখন নিশ্চয় সঠিক ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝতে পারছো তোমরা।
ভাষা নিয়ে অনেক কথা হলো ভাষা দিবসের মাসে।
একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস কমবেশি সবাই জানি আমরা।
তো আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম ইনাইনা আসলেই এভাবে কথা বলে কিনা সেটা শোনার জন্য।
হাতেনাতে ওর মায়ের অভিযোগের সত্যতাও মিলে গেলো। প্রায়ই ও দু একজন বান্ধবীর সাথে ফোনে কথা বলে। আজ ও যখন ওর বান্ধবীর সাথে কথা বলছিল, বিষয়টা অন্যায় হলেও আমি ওদের কথা রেকর্ড করেছিলাম ওর অজান্তে। যেটা শুনে আমার মনে হয়েছে আসলে বন্ধুদের সাথে কথায় তাল মেলাতে গিয়ে অনেক সময় তাদের উচ্চারণকৃত শব্দের ব্যবহার নিজের কথায় চলে আসে। বেশিরভাগই আবার বড় কাউকে অনুসরণ করতে গিয়ে খিচুড়ি ভাষায় কথা ব'লে ভাবে এটাই বুঝি স্মার্টনেস। বিভিন্ন চ্যানেল গুলোতে প্রচারিত নানা ধরনের অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার যথেচ্ছ ভুল ব্যবহার প্রকটভাবে চোখে পড়ে। অনেকেই আবার অতি স্মার্ট সাজতে গিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে কিছু ইংরেজি শব্দ কিছু বাংলা শব্দ মিশ্রিত করে একটা অদ্ভুত ভাষা তৈরি করে। অনেকে সেটাই ভাষার মানসম্মত ব্যবহার বলে ধরে নিচ্ছে। আর এভাবে ভাষা দূষিত হচ্ছে। একজন সচেতন দেশ প্রেমিক বাঙালি কখনও দেশ বা ভাষার ক্ষতি মেনে নিতে পারে না।
ইনাইনাকে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করায় সে বুঝলো। মেনে নিলো সে নিজের অজান্তে ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করেছে, ভবিষ্যতে সে সচেতন ভাবে ভাষা ব্যবহার করবে বলে প্রতিজ্ঞা করলো।
আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার ভিন্ন বিষয় সেটা যে যার অঞ্চলে বা নিজেদের মধ্যে বলতেই পারে যদি তারা সেটাতে অভ্যস্ত হয়। আমাদের মাতৃ ভাষা বাংলা ভাষা, আর এই ভাষায় কথা বলার অধিকার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। তাই আমাদের সবার উচিৎ তাকে যথাযথ সম্মানের সাথে প্রকাশ করা।
ড চার্লেস ডাবলিই ইলিয়ট এর একটা উক্তি আমার ভালো লাগে " মাতৃভাষা যথাযথভাবে শেখাই হচ্ছে যে কোনো ভদ্রলোক বা মহিলার জন্য প্রকৃত শিক্ষা। "
আবার জনসনের মতে-" ভাষা হলো চিন্তার পোষাক।"
তাহলে বুঝতেই পারছো, তোমার মুখের ভাষা যত সুন্দর হবে তোমার প্রতি অন্যদের আকর্ষণ তত বাড়বে। সেটাও স্পষ্ট করে ওয়েস্ট ওয়ার্থ বলে দিয়েছেন - " প্রকাশ করার ভঙ্গি এবং ভাষা দুটোই মানুষকে আকৃষ্ট করে। "
হুম এখন নিশ্চয় সঠিক ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝতে পারছো তোমরা।
ভাষা নিয়ে অনেক কথা হলো ভাষা দিবসের মাসে।
একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস কমবেশি সবাই জানি আমরা।
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এই দিনে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের তথা বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবির আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম বাংলায় কথা বলার অধিকার। তাঁদের সম্মানে এই দিনটিকে আমরা ভাষা দিবস বা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে থাকি।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
২০০০ সাল থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের সদস্য দেশ (১৮৮টি) সমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
২০০০ সাল থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের সদস্য দেশ (১৮৮টি) সমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।
২০১০ সালে জাতিসংঘ জানায় প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাদিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এ দিন -- 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...' গানটি পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এদিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়ে আসছে।
বাংলা একাডেমি মাস জুড়ে একুশে বইমেলার আয়োজনের করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাদিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এ দিন -- 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...' গানটি পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এদিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়ে আসছে।
বাংলা একাডেমি মাস জুড়ে একুশে বইমেলার আয়োজনের করে।
আরো অনেক আয়োজন আছে আমাদের গর্বের কষ্টের একুশকে নিয়ে।
যে ভাষাকে নিয়ে বিশ্বের কাছে আমরা সম্মানিত।
যে ভাষার আছে রক্তাক্ত ইতিহাস তাকে তোমরা অসম্মান করোনা দয়া করে। তোমরাই আমাদের ভবিষ্যত, এই দেশ এবং ভাষার সম্মান তোমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
অতুল প্রসাদের সুরে সুর মিলিয়ে চলো আমরা সবাই বলি -- 'মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।...'
আজ থেকে তোমরা যদি প্রত্যেকে আমাদের বাংলা ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্য রক্ষায় সচেষ্ট থাকো তাহলে অন্যরাও তোমাদের দেখে উৎসাহ পাবে। আমাদের মধুর বাংলা ভাষা ছড়াতে থাকবে তার সৌন্দর্য -মাধুর্য।
যে ভাষাকে নিয়ে বিশ্বের কাছে আমরা সম্মানিত।
যে ভাষার আছে রক্তাক্ত ইতিহাস তাকে তোমরা অসম্মান করোনা দয়া করে। তোমরাই আমাদের ভবিষ্যত, এই দেশ এবং ভাষার সম্মান তোমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
অতুল প্রসাদের সুরে সুর মিলিয়ে চলো আমরা সবাই বলি -- 'মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।...'
আজ থেকে তোমরা যদি প্রত্যেকে আমাদের বাংলা ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্য রক্ষায় সচেষ্ট থাকো তাহলে অন্যরাও তোমাদের দেখে উৎসাহ পাবে। আমাদের মধুর বাংলা ভাষা ছড়াতে থাকবে তার সৌন্দর্য -মাধুর্য।
Comments
Post a Comment