বিজ্ঞানের মজার খেলা
বিজ্ঞানের মজার খেলা
মধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে
একটা মারবেলের উপর বড়মুখের একটা বােতল, বয়াম, বাটি বা সেরকম কিছু একটা নিয়ে সেটি বৃত্তাকারে ঘােরাতে থাক যেন ভিতরে মারবেলটি বােতলের মুখটি স্পর্শ করে ঘুরতে থাকে। ঠিকভাবে বােতলটা ঘােরাতে পারলে মারবেলটা প্রচন্ড বেগে ঘুরতে থাকবে, তখন তুমি বােতলটা উপরে তুলে নিতে পারবে, মারবেলটা নীচে পড়বে না।
কোন জিনিস যখন ঘুরতে থাকে তখন সেটা বাইরের দিকে বল প্রয়ােগ করে, সেই বলটা মারবেলটাকে খানিকক্ষণ উপরে আটকে রাখতে পারে সার্কাসে কুয়ার দেয়ালে মােটর সাইকেল চালানাে হয় এই একই নিয়মে।
সুতা ছেঁড়া
ছবিতে যেভাবে দেখানাে হয়েছে সেভাবে একহাতে সূতাটা পেঁচিয়ে নাও। এবারে অন্য হাতে সূতাটা বার কয়েক পেঁচিয়ে একটা হ্যাঁচকা টান দাও, দেখবে কত সহজে সূতাটা ছিঁড়ে যাবে, ঠিক যেখানে দেখানাে হয়েছে। সেখানে! সূতাটা এভাবে ধরলে পুরাে শক্তিটা এক বিন্দুতে কাজ করে একটা সূতা অন্যটাকে প্রায় চাকুর মত কেটে ফেলে। তুমি এভাবে কত শক্ত সূতা ছিঁড়তে পারবে দেখলে অবাক হয়ে যাবে।
গােপন খবর
কাউকে গােপন সংবাদ পাঠাতে চাও? ভিনেগার, লেবুর রস বা পেয়াজের রস দিয়ে কাগজে কিছু একটা লিখে কাগজটা ভাল করে শুকিয়ে নাও তখন এমনিতে দেখে আর বােঝা যাবে না এখানে কিছু লেখা আছে। কিন্তু কাগজটা গরম আগুনের কাছে ধরলেই লেখাটা বের হয়ে আসবে।
ভিনেগার, লেবুর রস বা পেয়াজের রস দিয়ে লেখার ফলে কাগজের ঐ অংশটুকু পুড়তে তুলনামূলক ভাবে কম তাপমাত্রার প্রয়ােজন, তাই আগুনের কাছে ধরার পর কাগজের বাকী অংশ ঠিক থাকলেও লেখা অংশটুকু প্রায় পুড়ে গিয়ে গােপন লেখাটা বের করে দেবে!
[গ্রন্থনা: সামিহা তাসনিম]
Comments
Post a Comment