প্রতিভা সরকারের গল্প
পাইনামা
আমার হাতের সঙ্গে পিঠ লাগিয়ে না ঘুমোলে আমার পাইয়ের ঘুমই আসে না। পাই হচ্ছে আমাদের পাই, বেড়ালদের সেই রাণী, যাকে পনের/ষোল দিন বয়সে আমার মেয়ে স্কুলের নর্দমা থেকে কুড়িয়ে এনেছিল। ওকে নাকি কাদাজল মাখা অবস্থায় কাকে ঠোকরাচ্ছিল। তাই দেখে খুব কষ্ট হওয়ায় মেয়ে ওকে টিফিন বাটি নেবার প্লাস্টিক ব্যাগে পুরে নিয়ে এসেছিল।
সেই থেকে পাই আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের মেয়েই হয়ে গেছে। বাংলা ভাষাটা তো স্রেফ গুলে খেয়েছে। সব বোঝে এবং বোঝাতে পারে। হয়ত ওর সামনেই কাউকে চেঁচিয়ে বললাম, ওরে ওষুধের শিশিটা নিয়ে আয় তো, পাইয়ের খাবার সময় হয়েছে। অমনি সে সুড়ুৎ করে খাটের তলে ঢুকে পড়ল। সেখান থেকে তাকে বার করে কার সাধ্যি ! ওষুধ খেতে তার বড় আপত্তি।
আবার সকাল বেলায় খিদে পেয়েছে হয়তো, রান্নাঘরের সামনে বসে বলবে দাও দাও। ম্যাও ম্যাও নয়, পরিষ্কার শোনা যাবে দাও দাও। আমি যদি বলি, পাই বাবা বাজারে গেছে মাছ আনতে, একটু অপেক্ষা কর, অমনি পাই চেয়ারে উঠে ধৈর্য ধরে বসে থাকবে। বাবা এলে পেছন পেছন এসে বসবে রান্নাঘরের দোরগোড়ায়, আর আমাকে বলবে, মা দাও।
সত্যি মা বলে ডাকবে। ম্যা নয়, মা। যে শোনে সেই অবাক হয়ে যায়, ওমা এ যে মা বলতে শিখে গেছে। এ তো সাক্ষাৎ ষষ্ঠী দেবীর বাহন !
অনেকের কাছে ষষ্ঠী দেবী হচ্ছেন বেড়ালদের রক্ষাকর্ত্রী দেবী। যেমন মনে করা হয় সুন্দর বনে পশুপাখিদের রক্ষা করেন বনবিবি আর বাঘের দেবতার নাম সোনা রায়। সুন্দর বনে যারা গভীর বন থেকে মধু সংগ্রহ করতে যায়, তারা মনে ক'রে বনবিবির পুজো করে যায়। তাহলে নাকি কোনো বিপদ আপদ হয় না।
এই যে অনেকে পাইকে দেখে ষষ্ঠী দেবীর কথা বলে, তার কারণ হচ্ছে ঐ দেবীর বাহন হলো বেড়াল। অনেকের বিশ্বাস উনি শুধু বেড়ালকে রক্ষা করেন তা নয়, এই পৃথিবীর বাচ্চাকাচ্চাদেরও অসুখবিসুখ থেকে বাঁচান, তাদের ভালো করেন।
এই ষষ্ঠী দেবীর মাটির মূর্তি আর আমার দাদুর বাড়ির বেড়ালকে নিয়ে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যা আমি বড় হয়েও কোনোদিন ভুলতে পারিনি।
আমার দাদুর খামারবাড়িতে একটি বেড়াল পোষ্য ছিল। মোটাসোটা, ভালমানুষ। কেন যেন তাকে সবাই ডাকতো বলদ বলে। সেখানে ঘরের কাজ করতো যে ইতিদিদি সে সবার ফেলাছড়া মাছের কাঁটা ভাতে মেখে দিত আর কোনোরকম বলদামি না করেই বেড়ালটা সেগুলো খেয়ে নিত। কখনো পুরনো মাটির প্রদীপে খানিকটা দুধ ঢেলে বলদকে দিতে দিতে ইতিদিদি বলতো, আহা খাক, খাক, মা ষষ্ঠীর বাহন ! এ বাড়ির বাচ্চাদের ভাল হবে।
আমি তখন পাঁচ কী ছ' বছরের। বলদ সারাদিন আমার পেছন পেছন ঘুরতো। আমতলায় ঘাসের ওপর আমরা বসলে সেও পাশে এসে বসত। পিঠে হাত বুলিয়ে দিলেই ল্যাজটা এমনভাবে এপাশ ওপাশ করতো, যেন ওটার নিজস্ব প্রাণ আছে একখান। আর সঙ্গে আরামের মৃদু গরগর শব্দ।
আমতলার পেছনেই বিশাল বাঁশবাগান। হাওয়া বইলে সরসরসর শব্দ আর সরু চোখের মতো পাতাদের দোল। শুকনো হলুদ পাতা জমে আছে বাঁশগাছের উঁচু উঁচু শেকড়বাকরের গায়ে। কোনোটা কেউ কেটে নিয়ে গেছে, কোনোটা বা উইধরা। অন্ধকার, ছায়া ছায়া, বোঝাই যেতো ভারি ঠান্ডা, শীতল হবে ভেতরটা। কিন্তু ইতিদিদির কড়া বারণ ছিল ওদিকে যাবার।
বারণ করলেই তো অমান্য করতে ইচ্ছে করে। সেদিন টিটিট্টিই করে যে কালো হলুদ মাছরাঙাটা বেগুন খেতের ওপর দিয়ে উড়ে গেল, তার ডানা থেকে দু ফোঁটা জল এসে আমার কনুইতে তেরছা হয়ে পড়তেই আমার টনক নড়ে উঠল। পাখিটা এল বাঁশবাগানের পেছন থেকে। তবে কি ওদিকে কোন ঝিল বা পুকুর আছে ?
যেই মনে হওয়া অমনি পা চালানো। সঙ্গীসাথী কেউ ছিল না সঙ্গে। এবড়োখেবড়ো মাটিতে চলতে কষ্ট হবে ভেবে বলদকে কোলে তুলে নিলাম। সে যখন দেখল বাঁশঝাড় আমায় ঢেকে নিচ্ছে, শুরু হল কতো আকুলিবিকুলি কান্না, হেঁচড়ে পাঁচড়ে নেমে গিয়ে পায়ে মাথা ঘসে, আবার ধরতে গেলে খানিক দূরে পালিয়ে যায়। আমায় যেতে দেবে না, আবার আমায় ফেলে যাবেও না। বলদই বটে !
আমার তখন চোখে পড়ে গেছে দূরে বিশাল জলের বিস্তার। এখান থেকেও বোঝা যাচ্ছে হাওয়ায় কুঁচকে কুঁচকে যাচ্ছে ওপরটা। কী পাখি কী জানি, হয়তো পানকৌড়ি হবে, ডুবছে উঠছে, আবার ডুবছে। অনেক দূরে। কিন্তু যতো যাই তত এবড়োখেবড়ো পায়ের পাতার নীচটা। এই একটা ঢিবি, আবার এই ঢিবিটার কানা ধরেই গজিয়েছে আর একটা। এইরকম অজস্র। আর অতোবড় বাঁশবন আর কোথাও কখনো দেখিনি। সব ঢিবির ওপর বাঁশপাতার ফাঁক দিয়ে পড়ে থাকা রোদের চিকিরমিকির ঝালর। আর অজস্র অফুরন্ত হলুদ চিকন পাতা।
বলদের বলদামি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। এমন পায়ের পাতায় মাথা ঘসছিল, যে চলাই মুশকিল। রেগে গিয়ে একটা ছোট ঢ্যালা কুড়োতে গেলাম ছুঁড়বো বলে। নীচু হয়ে পাঁচ আঙুলে সাবড়ে ধরেছি, সোজা হবার আগেই দেখি কার দুখানা হলুদ পা। বেড় দেওয়া লাল টুকটুকে শাড়ির পাড়। এক মূহুর্তের জন্য বুকের ঢিপঢিপ বন্ধ হয়ে গেল। হৃদপিন্ড লাফিয়ে উঠল গলার কাছে। এখানে তো জনমনিষ্যি থাকবার কথা নয় !
সোজা হয়ে দেখি মস্ত এক বাঁশঝাড়ে হেলান দেওয়া লাল জরির শাড়ি পরা অপরূপ এক দেবী মূর্তি। কোলে বাচ্চা, কাঁখে বাচ্চা, একপাশে এক ধুমসো বেড়াল। মনের সমস্ত মায়া মমতা ঢেলে তিনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন। বেড়ালটাও হাসছে আর লেজের ডগাটা মাটিতে আছড়াচ্ছে যেন। আমিও হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে রইলাম তো রইলামই। চোখ সরাতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল কোলে কাঁখের বাচ্চাদুটোর মতো আমিও ওঁর আঁচলের খুঁট ধরি হাতের মুঠোয়।
কিন্তু ভালোমতো যে দেখব, এগিয়ে যাব, তার উপায় কী ! বলদ এমন তারস্বরে ম্যাও ম্যাও চেঁচাচ্ছে, নিশ্চয় ইতিদিদি শুনতে পেয়ে গেছে। তার সরু গলা আমাকে খুঁজছে, মাণিক, মা ণি ক, মা-ই-ণ-কা, তোরা কি বাঁশবনে?
সেদিন রাতে লন্ঠনের আলোয় ইতিদিদি বলদকে কোলে নিয়ে জলচৌকিতে বসে বলেছিল, ঐ বাঁশঝাড়ে এ গ্রামের সব অকালমৃত শিশুদের পুঁতে দেওয়া হয়। তার মধ্যে গলায় নাড় প্যাঁচানো বাচ্চা যেমন আছে, তেমনি আছে মায়ের দুধ গলায় ঠেকে মরা বাচ্চা। ইতিদিদির দু দিনের মেয়েকে পেঁচোয় পেয়েছিল, সেই নীল হয়ে যাওয়া শিশুটিকে শুইয়ে রাখা হয়েছে ষষ্ঠীর থানের একেবারে দোরগোড়ায়। প্রত্যেক বার পূজো হয় বেড়ালবাহনা মায়ের, প্রত্যেকবার প্রতিমা বদল হয়। তাই অমন ঝলমলে ! অমন রঙিন ! ওখানে একা বাচ্চাদের যাওয়া বারণ। অকালে মরে যাওয়া বাচ্চারা বেরিয়ে আসতে চায়, নতুন সাথির সঙ্গে খেলতে চায় রোদ ঝলমল বাঁশবাগানের বিস্তারে। ভাগ্যিস বলদ ছিল সঙ্গে, সাক্ষাৎ মা ষষ্ঠীর বাহন, তাই আমি নিস্তার পেয়ে গেছি।
ইতিদিদির কথা আমি হাওয়ায় উড়িয়ে দিলাম, কারণ ভুত আছে এ আমার ছোটবেলা থেকেই বিশ্বাস হয় না। তবুও তখনকার মতো মনে হল হবেও বা। সাঁতার জানি না, জলের দিকে চলে গেলে বিপদ হতে পারতো, বলদই আমায় বাঁচিয়েছে, নিজেও বেঁচেছে। বেড়ালের নাকি ন' টা প্রাণ। বলদের ন'টা প্রাণের একটা তাহলে চিরকালের জন্য আমার। হয়তো এইজন্যই মানুষের চাইতে বেড়াল আমার ঢের বেশি আপন, ঢের বেশি কাছের !
যেমন আমার পাই। সে আমার সব কথা বোঝে, আমিও তার। ওর কোনো কষ্ট হলে মনে হয় আমিই কষ্ট পাচ্ছি। সহ্য করতে পারি না একেবারে।
কিন্তু যাদের কোনো পোষ্য নেই তাদের অনেকে এ ব্যাপারগুলো বুঝতেই চায় না। কোনো উৎসব হলেই দেদার বাজি ফাটাতে থাকে। কিন্তু কুকুর বেড়ালদের শ্রবণশক্তি আমাদের থেকে অনেক উন্নত। আমরা একটা পটকা ফাটার আওয়াজ যেমন শুনব, সেটাই ওদের কানে শোনাবে বিশাল বোমা ফাটার মতো। অনেক অনেক বেশিগুণ শোনে পশুপাখিরা।
সেদিন আমার পাশের বাড়িতে ওদের মেয়ের বিয়ে। সন্ধে থেকে ছাদের ওপর বাজি ফাটানো শুরু হলো দুমদাম। কতো বাহারের আলোর খেলা। কেউ ঘুড়ির মতো মহাশূন্যে উঠে যাচ্ছে, তারপর আলোর ফুলকি হয়ে ঝরে পড়ছে। কেউ চরকি পাক ঘুরে কতোদূরে চলে যাচ্ছে। সঙ্গে অনবরত ফাটছে চকোলেট বোম, কালিপটকা।
এসব শুরু হতেই পাই প্রথমে দৌড়ে এল আমার কাছে, আমাকে অসহায় ভাবে বসে থাকতে দেখে, ঢুকে পড়ল খাটের নিচে। কিন্তু তাতে কি রক্ষে আছে ? বাজির অত্যাচার ভয়ংকর হয়ে গেলে সে লাফিয়ে বেরিয়ে এল, পাগলের মতো ছুটলো হলঘরের দিকে। মাঝপথে আমি তাকে খপ করে ধরে ফেললাম। দেখি ওর ঘন ঘন নিঃশ্বাস পড়ছে, বুকটা কাঁপছে যেন একটা পাখি। পাই তখন পাগলের মতো আচরণ করছে। পারলে আমাকেই আঁচড়ে কামড়ে দেবে।
এবার সে লুকিয়ে পড়লো আলমারির পেছনে। আমার খুব ভয় হচ্ছিল যদি ভয়ে ওর হার্টফেল হয়ে যায়। ঠিক এমন সময় ভ্যাঁপ্পোর ভ্যাঁপ্পোর করে নানা বাজনা বেজে উঠলো। বর এসেছে। সবাই হুড়োহুড়ি করে বর দেখতে চলে গেল। বাজি ফাটানোও বন্ধ হল।
আমি আলমারির পেছনে পাইকে খুঁজতে গিয়ে দেখি সে সেখানে নেই। নেই তো নেই। বাথরুমের কোণায়, ফ্রিজের পেছনে, বইয়ের র্যাকের মাথায়, এমনকি জুতো রাখবার বাক্স অব্দি তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম, পাই কোত্থাও নেই।
ছোটবেলায় আমি একবার মেলা দেখতে গিয়ে মা-কে হারিয়ে ফেলেছিলাম। বটগাছের নিচে জিলিপির দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদছিলাম, তখন আমাদের গ্রামের বাচ্চাকাকা আমাকে দেখতে পায়। তার হাত ধরে যখন বাড়িতে ফিরে আসি তখন হুলুস্থুল চলছে। আমার ঠাকুর্দা থানায় যাবেন বলে তৈরি হচ্ছেন।
আজ এতোদিন পর সেই হারিয়ে যাবার কথা মনে পড়ে গেল। সেদিনের সেই ভয় আতঙ্ক অভিমান সব মিলিয়ে আমার যা মনে হয়েছিল, আজ হারিয়ে গিয়ে পাইয়েরও সেই একই মনের অবস্থা, একথা ভাবতেই আমার দুচোখ জলে ভরে এলো। ও তো সবই বোঝে, শুধু বলতে পারে না। পালাবার মেয়ে তো ও নয়, অপরিসীম আতঙ্ক থেকে রেহাই পাবার জন্য হয়তো জানালা টপকে বাইরে চলে গেছে।
কিন্তু এ পাড়ায় কুকুরের বড় উপদ্রব। বেড়াল দেখলেই মেরে ফেলে, আর সারারাত ভৌ ভৌ করে গলি পাহারা দেয়। আজ তো বিয়েবাড়ির মাংসের লোভে বেপাড়ার কুকুরও এসে জুটেছে। আমরা সবাই মিলে টর্চ জ্বেলে পাই পাই বলে ডেকে ডেকে কতোদূর গেলাম, কিন্তু পাই কোত্থাও নেই। মাঝে একটা বেড়াল দেখেছিলাম, যে ঠিক পাইয়ের মতো সাদা আর বাদামি রঙের। কাছে গিয়ে দেখি সে পাই নয়।
এমনি করে রাত বাড়ল। বেজে বেজে ক্লান্ত হয়ে বিয়েবাড়ির সানাইও থেমে গেল। সবাই ঘুমিয়ে পড়ল, শুধু বিয়েবাড়ির দিক থেকে আলো আর কথার আওয়াজ ভেসে আসছিল। মায়েরা কি আর ছেলে মেয়েরা রাতে বাড়ি না ফিরলে ঘুমোতে যেতে পারে ! আমিও তাই জানালার ধারে বসেছিলাম। পাই ফিরে না এলে আমার চোখে ঘুম আসবে না।
আকাশে চাঁদ একবার মেঘের আড়ালে ঢুকছে, আবার বেরোচ্ছে। ভরপেট খেয়ে পাড়ার কুকুরগুলো ঘুমোচ্ছে। হাঁ করে দেখছি, নিম গাছটার মাথার ওপরে দেখা যাচ্ছে যেটুকু আকাশ সেখানটায় মাঝে মাঝে তারা খসে যাচ্ছে। মনটা আরো ভারি হয়ে হয়ে উঠছিল। পাইকে কি আর ফিরে পাব ?
হঠাৎ দেখি আমার জানালার সামনের বাগানের বেড়ার কাছে ঘন কচুবনের মধ্যে একটা সাদা সাদা কী যেন নড়াচড়া করছে। পাগলের মতো ছুটে গেলাম নিচে। হাঁকড়েপাকড়ে সেখানে ঢুকে দেখি পাই ছটফট করছে। ওর একটা পা বেড়ার ফাঁকে এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে ও পালাতেও পারছে না।
বাজির শব্দে ভয় পেয়ে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে দৌড়ে কচুবন পেরোতে গেছে, তখনই পা আটকে গেছে। ভাগ্যিস কুকুরগুলো ওকে দেখতে পায়নি। নাহলে দাঁতে ছিঁড়ে ফেলতো। আমি পাইকে কোলে তুলে চুমু খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ঢুকলাম। ভোর রাতে সবাই উঠে পড়ে সে কী আদরের বন্যা বইয়ে দিল ! পাই শুধু বোকার মতো সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে। তারপর অনেকটা জল খেয়ে সেই যে ঘুমিয়ে পড়ল, উঠলো পরদিন বেলা তিনটেয়।
(ছবি: ডোরা হাথাজি)
Comments
Post a Comment