দেবাঙ্গনার শ্যাডো থিয়েটার

এটি একটি ছায়া গল্প, শোনাচ্ছেন দেবাঙ্গনা

সারস ও শেয়ালের গল্প 




(ছবির ওপর ক্লিক করে ইউটিউবে দেখা যাবে) 

লেখকের নিজের কথা ও পরিচিতি:

আমি একজন শিল্পী এবং ছোটোদের স্কুলের ছবি আঁকার শিক্ষিকা। আমি থাকি টেক্সাসে। এই করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বেশ দীর্ঘ সময় একেবারে গৃহবন্দী অবস্থায় পড়েছিলাম। স্কুলের ছোটো ছেলেমেয়েদের এতদিন দেখতে না পেয়ে তো খুব মন খারাপ হচ্ছিল। কি উপায়! কতদিন আর মন খারাপ করে বসে থাকব। তখন ভাবতে লাগলাম এমন কি করা যায় যাতে আমার আট বছরের মেয়ে ইরাবতীকে সঙ্গী করে আমাদের শিল্প চর্চা, বাংলা ভাষার চর্চা হতে পারে? বাড়িতে এমন কি আছে যা দিয়ে আমরা কিছু বানাতে পারি? ভেবে দেখলাম শ্যাডো থিয়েটার বা ছায়াপুতুল নাচ করলে তো তো বেশ হয়! নিজেরাই নাট্যরূপ দেব, গান লিখব, সুর দেব, নিজেরাই বাজনা বাজাব, পুতুল বানাব তাতে আলো ফেলব আর একটা বড় বাক্স কেটে ছায়া পুতুল নাচের মঞ্চ বানাব!

ব্যাস শুরু হয়ে গেল কাজ। প্রচলিত গল্পকে নাট্যরূপ দিলাম ইরাবতী আর আমি। তার সঙ্গে কখনো বাজনা বাজিয়ে কখনো গান লিখে সুপর্ণও (ইরাবতীর বাবা) যোগ দিল। কখনো ইরাবতীর বন্ধুরা কন্ঠশিল্পী হিসেবে মহা উৎসাহে দূর থেকেই যোগদান করল। আমার বন্ধুরা কখনো বাজনা বাজিয়েও পাঠাল। এরকম করে সবার মধ্যে বেশ একটা উৎসাহ জেগে উঠল। আমি এর মধ্যে কিছু ডিমের খোলা দিয়ে পুতুল বানিয়ে, সেই পুতুলদের নিয়ে একটা গল্পও লিখে ফেললাম। তিনজনে মিলে সব বানিয়ে তারপর মহড়ার পালা। কি যে আনন্দ হলো! এমন সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে দিয়ে আমরা চারিদিকের অনেক দুর্ভাবনাকে জয় করতে পারলাম। গোটা বাড়িটাই যেন হয়ে উঠল নাটকের মঞ্চ। আমরা তিনজনে সবথেকে উপভোগ করলাম চারদিক অন্ধকার হলে, রাতের খাওয়া দাওয়ার পালা সেরে মহড়া দেবার সময়টা।

আমরা সবাই শিখলাম কি করে নিজেরা বাড়িতে যা আছে তাই দিয়ে সৃজনশীলতার মধ্যে মন ভালো রাখা যায়। আমাদের তৈরি কয়েকটি গল্প ইউটিউবে রাখা আছে। তোমরা সবাই দেখো। আমার খুব আনন্দ হয় তোমরা দেখলে। আর নিজেরা যদি গল্প বানাও তবে তো কথাই নেই। আমাকে সে সব পাঠিও। আমি নিশ্চয়ই দেখব! ভালোবাসা নিও আমার।












Comments

Popular posts from this blog

ভিনদেশী রূপকথা

আতনিন বিন জহির

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা