Posts

Showing posts from June, 2024

নতুন চেহারায় পুরোনো শিশুকাগজ!

Image
   দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর শিশুকাগজ নতুন রূপে ফিরেছে। এখন থেকে  শিশুকাগজ আবারো চালু থাকবে। তবে আগের মতো মাসিক পত্রিকা থাকবে না। যখন লেখা আসবে তখনই প্রকাশ করা হবে।  শিশুদের জন্য যারা লিখতে চান, তারা যে কোন মজার লেখা পাঠিয়ে দিন। এখানে লেখার কোন বিশেষ যোগ্যতা লাগে না। শুধু শিশুদের উপযোগী যে কোন লেখা শুদ্ধ বাংলায় লিখতে পারলেই চলবে। আমরা ইউনিকোডে লেখা গ্রহন করি। গদ্য, পদ্য, ফিচার, কৌতুক, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, যে কোন বিষয়ে যে কেউ লিখতে পারেন।  নতুন শিশুকাগজে স্বাগতম!

বিশ শতকের সৌভাগ্যবান লাজার সিলবারিস

Image
কোনটা যে সৌভাগ্য আর কোনটা দুর্ভাগ্য সেটা মাঝে মাঝে গোলমাল পাকিয়ে যায়। আজকে যে লোকটা ভাবছে সে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগা, আগামীকাল হয়তো সেই লোকটাই নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবান হিসেবে দেখতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্তিনিক দ্বীপের বাসিন্দা লাজার সিলবারিস ছিল সেরকম বিরল ভাগ্যবান এক মানুষ। বিশ শতকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান লোক বলা হয় তাকে।  ১৯০২ সালের ৭ মে তারিখেও ওই দ্বীপের সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ ছিল ২৬ বছর বয়সের সিলবারিস। ভয়ংকর সব অপরাধের কারণে তাকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল দ্বীপের সবচেয়ে দুর্ভেদ্য কারাগারের নির্জন এক গুহায়। পাহাড়ের গায়ে নির্মিত ওই কারাগারে নিঃশ্বাস নেবার জন্য শুধু সামনের অংশে ছোট্ট ফোকর বাদে আর কোন দরোজা জানালা ছিল না। ওই কারাগার থেকে জীবনেও পালানো সম্ভব নয়।  কিন্তু তার ভাগ্যে লেখা ছিল অন্য কিছু। ১৯০২ সালের ৮ মে তারিখ সকালে ভয়ানক এক অগ্ন্যুৎপাতে  মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ওই দ্বীপের ৩০ হাজার বাসিন্দার সমাধি হয়েছিল উত্তপ্ত লাভার নীচে। চারদিন পর ধ্বংসস্তুপ থেকে আধপোড়া অবস্থায় শুধু একজনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছিল। তার নাম লাজার সিলবারিস। দুর্ভেদ্য পাথরের কারাগারই তাঁকে রক্ষা...

তারেক অণু

Image
কাঠ ঠোকরার মজার কথা আজ সকালে হাঁটতে যেয়ে এক জোড়া সোনালী পিঠের কাঠঠোকরা দেখে নেটে দেখা এদের সেই জিহ্বার কথা মনে পড়ল, অবিশ্বাস্য লম্বা জিহ্বা, সেটি খুলির সাথে কিভাবে যে পেচিয়ে থাকে সেটা ছবি না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। এদের জিহ্বা শুরু হয় কপাল থেকে, একেবারে পেঁচিয়ে তারপরে চঞ্চু দিয়ে বের হয়। আমরা যেটা দেখলাম বা সাধারণত আপনি যেটা দেখেন সেটার নাম কিন্তু বাংলার নামে বাংলা-কাঠঠোকরা, (Black-rumped Flameback, /Dinopium benghalense)। কয়েক হাজার বছরের পুরোনো ধাঁধা হচ্ছে কাঠঠোকরার ঠকঠকে মানুষের মাথা ধরে যায় তাহলে কাঠঠোকরার কী হয়? এখন আমরা জানি তাদের কিছুই হয়না এই শব্দ তাদের মগজ পর্যন্ত সেই ভাবে আঘাত হানে না। কিন্তু এই সমস্ত গবেষণা করতে যেয়ে মানুষ পেয়েছে বিস্ময়কর একেবারেই অবিশ্বাস্য সব তথ্য- একটি কাঠঠোকরা সেকেন্ডে ২০ বার ঠোকরাতে পারে, কিন্তু এরচেয়েও অনেক বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে তারা কত গতিতে এই ঠোকরটা দেয়, কোন বস্তুর পতনের সময় তার উপর কাজ করা g ফোর্স তো আপনাদের সকলের খেয়াল আছে যে ৯.৮১ মিটার/সেকেন্ড, একজন মানুষ যেখানে ৬০/১০০ g ফোর্স পর্যন্ত নিতে পারে ফাইটার বিমানের পাইলট বা মহাকাশচ...