Posts

এস এম তিতুমীরের ছড়া

Image
ছড়া কারিগর ছড়া ছড়া ছড়া, ছড়া দিয়ে গড়া ওঠা আর পড়া, এই ধরাধামে বেঁচে থাকে নামে, ছড়া কারিগর যুগ যুগ ভর, বেঁধে ছড়া ঘর ছড়া দিয়ে ছাদ, দেখা দিল চাঁদ হাসে আমজাদ, এই মাঝ রাতে জাগি তার সাথে, তারা মালা গাঁথে ভোর ডেকে হাতে, ফুল দিয়ে বলে মন খুলে চলে, মেঠো পথ বন অভিনন্দন, ফুল দিয়ে বলে অভি নন দন, থাকো মশগুল ছড়া অমীরুল, ছন্দের টন লুৎফর রিটন, ওয়াসিফ-এ-খোদা ছন্দের গোদা, রমজান মাহমুদ রবি সোম বুধ, কাগজেই বুঁদ শব্দের উৎপল, আসলাম সানী টেনে যায় ঘানি, সুজন বড়ুয়া বড় বেশি পড়ুয়া, সাধে ছড়াখানি দাদাভাই ওই, ছড়া তরী ছৈ-ই রামধনু ডেকে, ভালোবাসা এঁকে হয়ে গেল তারা, আকাশের গায় জোনাকের ঘর, ছড়া কারিগর জেগে থাকে রোজ, হৃদয়ের গাঁয়

পলাশ বসুুর ছড়া

Image
  সকালটা হোক শুরু পাখিদের ডাক শুনি  ভোর হয়ে এলে তাড়াতাড়ি উঠি পড়ি  ঘুমটুকু ফেলে। পাখি ডাকে কিচিমিচি  করে হৈ চৈ আমি দেখি চেয়ে চেয়ে  তুমি কোথা সই? হাত-মুখ ধুয়ে টুয়ে  করি আমি- নাস্তা চা আমি খাই নাকো  খেতে ভালো- পাস্তা। করোনার এই কালে  থেকো সবে সাবধানে, সকালটা হোক শুরু  জীবনের জয় গানে।

বাদশা আলমের ছড়া

Image
  ঘুমের দেশ ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি মোদের বাড়ি এসো , আমার বাবু ঘুম আসবে চুপটি করে বসো । মাসি তুমি শুনে রাখো পিসি তুমি শোনো , আমার মেয়ের ঘুম যেন চাঁদের দেশ থেকে এনো । চাঁদ মামা সূর্য মামা তোমরা শুনে রাখো , আমার আম্মু ঘুমিয়ে গেলে ছড়িয়ে দিও আলো । আকাশ বাতাস তোমরা শোনো , বলো না কথা বেশি । আমার মামনি ঘুম আসবে , খাঁটি বাংলাদেশি । [ মোঃ বাদশা আলম সহকারী   অধ্যাপক ,  রাজশাহী   বিশ্ববিদ্যালয়   স্কুল ,  রাজশাহী]

জারিফের ছড়া

Image
  বৈশাখ বৈশাখ আসে চড়ে ঝড়ে, ঝড় আসে সমুদ্রে আর হাওরে হাটবাজারে বসে মেলা খুব মজাতেই কাটে বেলা। গ্রীষ্ম মানেই গরমকাল মাঝি নৌকা চালায় তুলে পাল। বৈশাখের মাঝামাঝিতে কালবৈশাখী বয়ে যায়। গ্রামের সব শিশুরা তখন  অনেক ভয় পায়, অনেক মজাও করে কেটে যায় বেলা, এই সময়টাকে কেউ  করো নাকো অবহেলা। [জাওয়াদ আব্দুল্লাহ্ জারিফ, অষ্টম শ্রেণি, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]

শিশু কাগজ: এপ্রিল ২০২২- চতুর্দশ সংখ্যা

Image
বাং লা নতুন বছরের শুরুতেই এলো এবারের শিশুকাগজ। এটি শিশুকাগজের চতুর্দশ, অর্থাৎ চৌদ্দতম সংখ্যা। পয়লা বৈশাখ ঘিরে আমাদের চারপাশে রঙের হুল্লোড় দেখতে পাই। যদিও অতিমারির কারণে গত দুবছর নতুন বর্ষ পালনে তেমন ঘটা ছিল না। এবার পরিস্হিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় পুরনো আমেজে অনেকেই বাংলা নববর্ষ পালনের আনন্দে সামিল হয়েছিলেন। শিশুরা 'আমরা'য় আনন্দ খুঁজে, 'আমরা সবাই রাজা' বলতে ভালোবাসে। প্রতিটি শিশুর ভাগ্যে আনন্দের ভাগ বরাদ্দ হোক সেটাই একান্ত চাওয়া। নতুন বছর সবার জন্য স্বস্তিময় হোক। বর্তমান পরিস্হিতি আপাত স্বাভাবিক মনে হলেও কোভিড কিন্তু পাততাড়ি ঘুটিয়ে পালিয়েছে এমনটা নয়। কাজেই নিজেদের নিরাপদ এবং সুস্হ রাখতে স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলায় অবহেলা করলে চলবে না। বরাবরের মতো এবারের সংখ্যায় শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও লিখেছেন। আয়োজনের লেখাজোকা পড়ে/দেখে বন্ধুদের ভালো লাগবে আশা করছি। আমাদের এই আয়োজন মূলত শিশুদের ঘিরে, আমরা চাই আরো বেশি সংখ্যক শিশু 'শিশুকাগজে' অংশ গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠুক। অভিভাবকদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা আশা করছি। চৌদ্দতম সংখ্যায় যারা লিখেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভালোবাসা...