এস এম তিতুমীরের ছড়া

বিসর্জন বেলা



গোমড়া আকাশ, বাতাস ভারি

বিদায় দিনের সুর

বাজলো যখন সাঁঝের বেলা

ভেঙেই হলো চূর ৷

মায়ের মহান ছায়ার ছাতা

সরে যেতেই ডর

করলো বুঝি দুর্গতি সব

মাথার ওপর ভর ৷

দেবীর চরণ যায়না, আসে

বছর ঘুরে ঘুরে

ছড়ায় আলো সকল প্রাণে

মর্ত্য মলিন পুরে

লক্ষ্মী পরশ সরস করে

নিরস তৃণ খড়

ভাসান বেলায় যায় তলায়ে

অসম্প্রীতির ঝড়






দুঃখহরা, হাকিনী-ঈশ্বরী ওই


তোমার হলুদ খাম ৷ নাম, বেনাম

সাথে খানিক খিস্তি খেউর, বদনাম

করে লোকে ৷ শ্লোকে শ্লোকে

ভালোবাসি তাই ওসব নস্যি, ধূলো

সমাজটা তাই প্রেমিক চোখে, মুলো

পূজোর ছুটি-

ছুটির কদিন রাখলে চোখে চোখ

আমার অন্তলোক ৷ পূজোই বসে

ডুবে ভাসে হাজার কথার রসে, লক্ষ্মী তুমি

আর কিছুক্ষণ যাও না থেকে

জগৎ ক্ষেতের সবকটা কাজ বাঁয়ে রেখে

হৃদয় আমার নৈবেদ্য, ফুল ফলাদি সব

দূর্গা তুমি আপনি নিয়ো থামিয়ে কলরব

এই নিবেদন ৷ ধুনোচি-ধূপ কাঁসর ঢাকে

কাশ-বিহারী নোলক রেখো সদায়, নাকে

ও দেবী ও সরস্বতী, হংসরাজের নায়ে

বীণাপানির বর্ণবিভা ছড়াও পায়ে পায়ে

দেবী তুমি, তোমার চিঠি আপন মনে আসে

সাহস কোথায় খুলে দেখি, মনটা জলে ভাসে

এবার তবে ভিজিয়ে পরাণ, আচমন জল পাত্রে

দুঃখহরা হাকিনী-ঈশ্বরী ওই, হাতটা রেখো গাত্রে

এবার পড়ি তোমার দেওয়া অবিনাশী পত্রখানি

'মর্তে সকলই আমার পরাণ, এইতো আমি মানি '


No comments:

Post a Comment